ইচ্ছার মৃত্যু এবং দুঃখ বিলাস

ইচ্ছার মৃত্যু এবং দুঃখ বিলাস

Spread the love

মানুষের বাচতে কি লাগে ? বেসিক নিডস গুলাই কি সব ? কিংবা আরও কিছু লাক্সারি । যদি আপনার বেচে থাকার ইচ্ছাই মরে যায় ? কোটি টাকার ইনজেকশন দিয়েও ওই ইচ্ছাকে জাগানো যায় না। ঠেলা গাড়ির মতন দেহকে ঠেলে বেড়ানো সারাদিন। কখনো কখনো মরে যাওয়া আশা গুলোর সমাধিতে ঘুরে আসা। নিস্তব্ধতায় বসে সিগারেটের সাথে  কথোপকথন। নিকোটিন টাই যখন একটু শান্তি দেয়। আনমনে ফিরে যাওয়া শৈশবের দিন গুলোতে ফিরে যাওয়া। সেখানে ফিরে যেতে পারলে কি আবার জীবনটাকে আবার একটু নতুন করে গুছিয়ে নেয়া যেত ? চিন্তা করলেও কষ্টে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। মাঝে মাঝেই স্বপ্নে দেখি সব ঠিক ঠাক। স্বপ্নের মাঝেও ঠিকই টের পাই এটা স্বপ্ন। কিন্তু খুব অল্প সময়ের জন্য কিছুটা আনন্দ অনুভূতি হয়। ঘুম থেকে উঠলেও একটা রেশ থাকে। আস্তে আস্তে আবার কঠিন বাস্তবে ফিরে আসা। মানুষ কেন দুঃখ বিলাসী  হয়? দুঃখ কি লাক্সারি প্রোডাক্ট ? দুঃখ নিয়ে বিলাস করার কি আছে ? হয়তো কিছু আছে। যার অন্য কিছু নাই সে দুঃখ নিয়েই বিলাস করবে। হয়তো এটাই স্বাভাবিক, হয়তোবানা। কিন্তু কি যায় আসে।

গুড়ো গুড়ো নীল
রং পেনসিল
জোছোনার জল
ঝুরো ঝুরো কাচ আগুন ছোঁয়া
ঢেকেছে আঁচল
ফুঠপাথ ভিড়
জাহাজের ডাক
ফিরে চলে যায়
কথা ছিল হেটে যাবো ছায়াপথ
আজো আছে গোপন ফেরারি মন
বেজে গেছে কখন সে টেলিফোন


Spread the love
কবে যাব পাহাড়ে, আহারে

কবে যাব পাহাড়ে, আহারে

Spread the love

আমার জন্মটা যদি পাহাড়ে হত? শহরের কনক্রিটের বস্তির বদলে পাহাড়ি কোন বস্তিতে বেড়ে উঠতাম। সকালে রাস্তায় নেমে জঘন্য গাড়ির হর্নের শব্দের বদলে পাখির কিচিরমিচর। ছেড়া প্যান্টের পকেটে পাহাড়ি ফল। রাতের বেলা কোন আলো দুষন নাই। শান্ত চোখে আকাশ দেখা। চাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা অনেক সাধারন। হয়তো আ্যম্বিশন গুলাও অনেক ছোট থাকতো। ক্যাপিটালিস্টিক সোসাইটিতে সারাক্ষণই বড় হবার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। প্রতিটা বিজ্ঞাপনের পিছনে থাকে কোন না কোন প্রডাক্ট বেচার ধান্দা। ওরা যাকে আশা বলে সেটা আসলে মরীচিকা। মরীচিকার পিছনে ছুটে চলতে চলতেই একদিন সব শেষ। আমি চাই না কোন মরীচিকার পিছনে ছুটতে। পাহাড়ে ছুটতে চাই, ছুটতে চাই বনে বাদারে কিংবা সাগরের তীরে। রাতে চোখ ঝলসানো দেখতে চাই না। অনেক কষ্ট হয় চোখে শহরের তীব্র আলোকসজ্জা দেখতে। লেটেস্ট মডেলের মার্সিডিজের চলা কোন বড় কোম্পানির CEO হওয়ার স্বপ্ন দেখিনা। পাহাড়ের উপর বিচ্ছিন্ন একটা কটেজ। সকালে করা এক কাপ চায়ের সাথে একটা সিগারেট। খালি পায়ের নিচে কুয়াশায় ভিজা ঘাস। দূরের কোন পাহাড়ে সজ্জিত চা বাগান। কোন দিন বৃষ্টি ঝরাবে মমতা ভরা মেঘের দল। শহরের ডিজিটাল বস্তিতে আস্তে আস্তে দম শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিকোটিনে ভরা ফুসফুসে খুব বেশি শ্বাস বাকি আছে বলে মনে হয় না। জীবনের প্রতিটা জায়গা তেই চরম ভাবে ব্যর্থ আমি। পড়াশোনা থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার, কিংবা ভালোবাসায়। জীবনে চাওয়ার লিস্ট টাও  Read More


Spread the love
download

ব্লাডি মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট – সস্তা ড্রিমস

Spread the love

চিলেকোঠায় ছোট্ট একটা বাসা। কিনবা কোন চিপা গলিতে একটা পুরাতন ফ্ল্যাট। কিন্তু পচা গলির ভিতরেও বারান্দায় ঠিকই টুকরা টুকরা রোদের ছিটা আসে। বিকালে গলি দখল করে ক্রিকেট খেলে কত গুলা পোলাপান। ছোট্ট একটা চাকরি। নুন আনতে পান্তা ফুরায় টাইপ জীবন। তারপরেও মাসের প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে একটু ভালো কোন রেস্টুরেন্টে একদিন ডিনার করা। পরের সাত দিন ভর্তা-ডাল খেয়ে সেই টাকা পুরণ করার চেষ্টা। একবারে কপিবুক মধ্যবিত্তের সংসার। কষ্ট আছে, অভাব আছে, অনিশ্চয়তা আছে। বছর শেষে অফিসে খুব ছোট্ট একটা ইনক্রিমেন্ট। দামি ওয়াইন না, সস্তা ভাজা পোড়া আর একটা কোল্ড ড্রিনক্সের বোতল দিয়ে সেলিব্রেশন। পার্কে বসে বাদাম চাবাতে চাবাতে বিকেল দেখা বন্ধের দিন গুলোয়। টাকা জমানো কোন সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়। কিন্তু তার বর্তমান টাও কিন্তু কম সুন্দর না। হয়তো তারো কষ্ট হয় যখন সে বন্ধুর দামি প্রিমিও গাড়ি দেখে। কিন্তু ওপাস থেকে সান্ত্বনা আসে। ব্যাপার না, একদিন আমাদের ও হবে। সেই স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া। সকালে অফিস আছে যে। অফিস থেকে ফেরার সময় পথে মনটা আকুপাকু করে একটা বেনসন সিগারেটের জন্য। কিন্তু মনে পড়ে যায়, ওয়াদা করেছে যে তার কাছে, কখোনো ছোবেনা আর সেটা। আর কেনা হয়না সিগারেটটা, ভাবে ভালোই হোল টাকাটা বেচে যাবে। হটাত করেই বাড়িওয়ালার নোটিশ, ভাড়া বেড়েছে যে!! কপালে আরেকটা চিন্তার রেখা। আরেকটু টানাটানির মধ্যে পড়ে যাওয়া। কিন্তু অপর পাশ ঠিকই প্রেরনা আসে। সবই সম্ভব। শুধু ধৈয্য ধরতে হবে। চিন্তার রেখাটা চলে যায়, যখন সে শক্ত করে হাতটা ধরে। কন্টিনিউয়াস স্ট্রাগল, কিন্তু কোথায় যেন একটা অদ্ভুত প্রশান্তি।

এই রকম লাইফের স্বপ্ন কি কেউ দেখে? নাকি ছোট বেলা তেই সমারেশ মজুমদার আর শীর্ষেন্দু পড়ার সাইড ইফেক্ট? সবাইকেই কি এলন মাস্ক কিংবা বিল গেটস হবার স্বপ্ন দেখতে হয়? নইলে মাল্টিন্যাশনালে জব!!!

Being not ambitious is a serious crime.


Spread the love
unnamed

আত্মহত্যা – আমাদের করনীয়

Spread the love

আত্মহত্যা – আমাদের করনীয়

একটা পাব্লিক কখন আত্মহত্যা করতে চায়? যখন তার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় নাকি যখন সে মনে করে তার জন্য আর কোন দরজা খোলা নেই। প্রেমে ছেঁকা খেয়ে আত্মহত্যা করা কততুকু যুক্তিসংগত? আসলে আমাদের প্রপারলি জাজ করা উচিত। যদি কারও জন্য আত্মহত্যাই একটা ভালো সমাধান হয়ে থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে দেয়াই কি মংগল নয়? এটা হারাম। মানি। আরও হাজারটা হারাম কাজ মানুষ করতেছে। হারামের দোহাই দেয়ার আগে মনে রাইখেন সুদ ও হারাম। পৃথিবীর নেতা দের এটা মনে রাখা উচিত এটাও একটা বেসিক হুম্যান রাইট। একজন মানুষ যদি সত্যি নিজেকে মেরে ফেলতে চায় তাহলে আমাদের উচিত তাকে বুঝানো। যদি তাতে কাজ না হয় তাহলে তাকে চলে যেতে দেয়াই উত্তম। কত কষ্ট করে মানুষ নিজেকে হত্যা করে!! গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পরে, বিষ খেয়ে কষ্ট পায়, ছাড থেকে লাফ দেয়… খুবই কষ্টদায়ক এবং বেদনার। অথচ আত্মহত্যাকে লিগালাইজ করা গেলে এই সুইসাইডাল মানুষ গুলাকে অনেক কম কষ্টে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়া যায়। সামান্য একটা ভালো ইঞ্জেকশন দিয়ে হাসপাতালের বেডেই কাজ সেরে দেয়া সম্ভভ। সারা জীবন পোড় খাওয়া এই মানুষ গুলা একটু ভালো ভাবে চলে যাওয়া কি ডিসারভ করেনা? সব সময় মুদ্রার একই পিঠ দেখা কি ঠিক? এখনি কি সময় আসেনি মানবাধিকার কর্মীদের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার? ভেবে দেখা উচিত। আত্মহত্যাকে লিগালাইজ করা এখন সময়ের দাবি। আমাকে পাগল মনে হতে পারে কিন্তু বছরখানেক আগের Hrittik Roshan এর গুজারিশ সিনেমা এই কন্সেপ্টে করা। পৃথিবিতে অনেক জায়গাতেই এখন এমন দাবি উঠেছে। ছাদ থেকে লাফ দিয়ে কিংবা গলায় দড়ি দিয়ে মৃত কারো লাশ দেখলে বুঝবেন যন্ত্রনাটা। অথচ তাদের ভালোভাবে বিদায় দেয়া যেত যদি আত্মহত্যা কে লিগালাইজ করা যেত!! আবেগ না দিয়ে র‍্যাশনালি আর লজিক্যালি চিন্তা করলে উত্তর পেয়ে যাবেন।

https://en.wikipedia.org/wiki/Right_to_die

https://en.wikipedia.org/wiki/Suicide_legislation


Spread the love
imrul-net

শামুকের মতন

Spread the love

অঞ্জনের গানে শুনেছিলাম বয়সের সাথে সাথে নাকি চোখের জল কমে যায়। বুঝি নাই সেই ছোট বেলায়। গান গুলা কেবল শুনতেই ভালো লাগতো। এখন বুঝা যায়। মিডল ক্লাসের যন্ত্রনা সহ্যের ক্ষমতাটা অনেক বেশি। এরা ধাক্কায় পরে যায় কিন্তু মুহুরতেই এক গাল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। খুব কম স্বপ্নই এদের পুর্নতা পায়। মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখাও বন্ধ করে দেয় এরা। সামান্য চাওয়াটাও আকাশ কুসুম মনে হয়। নাগরিক জীবনের অসহ্য যন্ত্রনা, সাথে যোগ হয় হাজারটা দায়িত্ত্ব। তীব্র বৃতৃষ্ণা নিয়ে বেচে থাকা। শামুকের মতন গুটি গুটি পায়ে চলা। মনে হয় কে যেন হাজার কেজি ওজনের পাথর বেধে দিছে পায়ে। এই শহর আমার কাছে থেকে কেড়ে নিয়েছে তারা ভরা আকাশ। তারা দেখা যায়না এখানে। ইটের দেয়ালের চিপায় ফেলে সে নিংড়ে নেয় জীবনের বাকিটুকু চাওয়া। বিনিময়ে দেয় খুব সামান্যই।


Spread the love
hope_and_dreams

অদ্ভুত সমাজ ব্যাবস্থা

Spread the love

একটা অদ্ভুত সমাজ ব্যাবস্থা। আপনাকে অবশ্যই বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় বড় বুলি অউরাতে হবে। আরও আজিব আমাদের মোটিভেশনাল স্পিকার ভাইয়েরা। সবাই আপনাকে শিখাবে কিভাবে বড় হবেন। কাকে ফলো করবেন। আপনি যদি বলেন আপনার স্বপ্ন ছোট একটা কফির দোকান খুলে সারা দিন কফি বেচবেন আর বই পড়বেন। সবাই হাসবে। কারন তারা বলে ড্রিম বিগ। কেউ বলেনা বি হ্যাপী (নট রুবেলের হ্যাপী)। আপনি কেমন ড্রিম দেখবেন, কি হবেন সেটাও সোসাইটি ঠিক করে দিবে। ফ্রি উইল একটা ভ্রম। একবার লুপে পড়ে গেলে আর বের হতে পারবেন না। চিৎকার করে কাদলেও না। আর লুপে পরতেই হবে। লুপে পরা ছাড়া কোন উপায় নাই। সোশাল চাপ, পরিবারের চাপ, বন্ধুবান্ধবের চাপ , কাদেরের চাপ … Read More


Spread the love

লাই লা লাই – আমি আসবো ফিরে

Spread the love

রঞ্জনা আজ তার বাড়ি থেকে পালাবে
নীলাঞ্জন আজ তার অফিসে রুখে দাঁড়াবে
ছেড়ে দেবে তার সস্তার কেরানির কাজ
শিমুল আর শিলা পালিয়ে বিয়ে করবে
সঞ্জয় দুর পাল্লার ট্রেন ধরবে
ছেড়ে চলে যাবে তার চৌক চ্যাপ্টা সমাজ Read More


Spread the love

আমার দুঃখগুলো কাছিমের মতো – দৃষ্টিকোণ

Spread the love

আমার দুঃখগুলো কাছিমের মতো,
গুটিগুটি পায়ে আর এগুতে পারেনা।
আমার দুঃখগুলো কাছিমের মতো,
আমাকে ছাড়িয়ে আর এগুতে পারেনা।
আমার কষ্টগুলো ডালিমের মতো,
লালের জমাট কেউ ভাঙতে পারেনা। Read More


Spread the love