তুমিও না

তুমিও না!

Spread the love

তুমি বলেছিলে, তুমি জানো
আমার প্রিয় রঙ কোনটি
আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত তোমাকে দেখছিলাম
বললাম বলোতো আমার প্রিয় রঙ কি
তুমি বললে নীল,
বিশ্বাস করো ঠিক সেদিন থেকেই আমার প্রিয় রঙ নীল
তুমি চলে গেলে কিন্তু
এখনো আমার প্রিয় রঙ নীল Read More


Spread the love

সেথান ভ্যালি – মানলির গভীরে প্রায় অনাবিষ্কৃত এক টুকরো রত্ন

Spread the love

শেষ রোজার ইদ থেকেই ভারত যাওয়ার প্ল্যানিং করতেছিলাম আমি আর আমার বয়েসে জুনিয়র কিন্তু অফিসে সিনিয়র কলিগ সাদু (সাদমান) এর সাথে। কিন্তু কুত্তামারা প্রেশার আর সঠিক সময়ে ভিসা না পাওয়ায় ট্যুর পেছাতে পেছাতে কুরবানির ইদ চলে আসলো। এবার আর মিস দেয়া যাবেনা। রবিবার ইদ হওয়ায় কোন মতে বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি ম্যানেজ করলাম। টার্গেট কোলকাতা হয়ে দিল্লি, আর দিল্লি থেকে মানালি। Read More


Spread the love
প্রিয় ঢাকা

প্রিয় ঢাকা

Spread the love

মানুষ সাধারণত প্রকৃতির প্রেমে পড়ে। পাহাড়ের নিরবতা, সমুদ্রের গর্জন, নির্জন বনে একটা কেবিন, রাতের আকাশের নর্দান লাইটস, আরো কত কি! অনেকেই আবার বড় বড় শহরের প্রেমে পড়ে। পৃথিবীর সব চেয়ে রোম্যান্টিক শহর প্যারিস, নিউ ইয়র্কের রাত কিংবা দুবাইতে নাইট ক্লাবে আলো ঝলমলে একেকটা রাত আসলেই শহরগুলোকে ভালবাসতে শেখায়। কিন্তু একটা ঘিঞ্জি , ময়লা , দূষিত শহরকেও যে ভালোবাসা যায় সেটা আমাকে শিখিয়ে ছিলো অঞ্জন দত্ত আর কবির সুমন। স্যাঁতস্যাঁতে লোনা ধরা বাড়ির দেয়াল, কানাগলি , মাঝে মাঝেই ডাস্টবিন থেকে আসা উৎকট দূর্গন্ধ সব কিছু মেনে নিয়েও কি সুন্দর ভালোবেসে ফেলেছি ঢাকাকে। Read More


Spread the love

তুমি থাকলে না

Spread the love

তাকে বলেছিলাম থেকে যেতে
বলেছিলাম তুমি থাকলে আমি সব ঠিক করে দেবো
এই ধূসর রুক্ষ শহরে আবার নিয়ম করে বৃষ্টি নামাবো
প্রতিটি ঘরের কার্নিশে বাসা বাধবে চুড়ই
সেবারের কালবৈশাখীতে যত বাবুই বাসা হারিয়েছে
সবার বাসা সরকারি খরচে
মেরামত করে দিতে পার্লামেন্টে বিল পাস হবে
রমনা পার্কের সব চেয়ে বড় গাছটায়
একটা ছোট্ট পরিপাটি একটা ট্রিহাউজ থাকবে আমাদের
যেখানে তুমি আর আমি শীতের বিকেলে কফি খাবো
তোমার জন্মদিনের দিন পুরো শহরে
কোন অনাথ অভুক্ত থাকবেনা
যেদিন তোমার মন খুব বেশি খারাপ হবে
দুপুরে হাত ধরে হাটতে হাটতে
মাহীনের ঘোড়াগুলির গান শুনবো
তোমার মন ভালো করতে মরিচ বাতি দিয়ে
ছেয়ে দিবো পুরো মানিক মিয়া এভিনিউ
আমি জানি তোমার পাহাড় অনেক পছন্দের
তাই তোমার বাড়ির সামনের রাস্তায়
থাকতো রডোডেন্ড্রন ফুলের গালিচা
শহরের যেই রাস্তাতেই যেতে তুমি
কানে তালা লাগা দুঃসহ গাড়ির হর্নের
বদলে শুনতে তুমি পাহাড়ি ঝর্ণার কলকল শব্দ
তুমি একা থাকতে চাইলে
পুরো শহরে কারফিউ জারি হতো
শুধু একটা রিকশা তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো
কিন্তু তুমি থাকলে না
থাকলো শুধু এক আকাশ কষ্ট
আর এক সাগর যন্ত্রণা …


Spread the love
কথা দিচ্ছি

কথা দিচ্ছি

Spread the love

কথা দিচ্ছি তোমার প্রেমে পরবো না
প্রেমে পরার বয়েস কবেই তো পার করে এসেছি
অঞ্জনের ম্যারি অ্যান আর নচির নীলাঞ্জনা শুনতে শুনতে
বড় জোর তোমার ঘরের চৌকাঠে উষ্টে খেয়ে পরতে পারি

কথা দিচ্ছি তোমার হাত ধরতে চাইবো না
মৃত আমি আর বরফের মত ঠান্ডা আমার স্পর্শ
তোমাকে শিহরিত করবে না সেটা আমি ভালো করেই জানি
বড় জোর তোমার আচল আলতো করে ছুয়ে দিবো Read More


Spread the love
পেঙ্গুইন

পেঙ্গুইন

Spread the love

যেদিকে পেঙ্গুইনটি যাচ্ছে, তা হল বিশাল পর্বতমালা যা একটি পেঙ্গুইনের জন্য নিশ্চিত মৃত্যুর প্রতীক। এই বিস্তৃত বরফময় প্রান্তরে যা অবশিষ্ট থাকে তা হল এর একাকী বিষণ্ন অবয়ব। হঠাৎ পেঙ্গুইনটি থামে এবং ফিরে তার সঙ্গী পেঙ্গুইনদের দিকে তাকায়। তারা দলবদ্ধ হয়ে, তাদের বাসস্থানে ফিরে যাচ্ছে । একটি গভীর হৃদয়স্পর্শী দৃষ্টি দেওয়ার পর, পেঙ্গুইনটি বরফাবৃত পর্বতমালার দিকে তার যাত্রা অব্যাহত রাখে। আসলে, পেঙ্গুইনরা একগামী প্রাণী। যদি এক সঙ্গী মারা যায়, অন্যটি একা থাকতে চায় না, অন্যেরা হয়তো পেঙ্গুইনটিকে থামাতে চায়। হয়ত অন্য পেঙ্গুইনরা তাকে ফেরত নিয়ে যাবে তাদের আস্তানায়। Read More


Spread the love
দেখো দেখি কান্ড

দেখো দেখি কান্ড!

Spread the love

নব্বই এর দশক। গোলকপাল লেন। একটা কানাগলি। সূর্যের আলো অনেক কষ্টে ঢুকলেও সবজিওয়ালার ভ্যান ঢুকে যায় অনায়সে। গলির শেষ মাথায় একটা চারতলা বাড়ি। স্যাতস্যাতে জীর্ণ বাড়িটার ছাদে একটা চিলেকোঠা। সেখানে কোন সেপাই থাকেনা। থাকে সদ্য বাসা থেকে পালিয়ে বিয়ে করা এক দম্পতি। বাড়িওয়ালা ভাড়া দিবোনা দিবোনা বলেও দিয়ে দেয় ভাড়া। মায়া লাগে ছেলে মেয়ে দুটোকে দেখে। ভাড়া দেয়ার আগে কয়েক বার যাচাই করে নেয় কাবিননামা। তারপর সেই স্যাতস্যাতে ছাদে দুই টোনাটুনির সংসার। মাত্র ইন্টার পাশ ছেলেটার কাছে অল্প কিছু জমানো টাকা। পুরোটাই টিউশানি করে জমানো। আর মেয়েটা? জানেই না দাম্পত্যের মানে! জানেনা কিভাবে টাকা বাচিয়ে সংসার চালাতে হয়। শিল্পপতি বাবার সব চেয়ে আদরের ছোট মেয়েটা কিভাবে এই ভীষন মধ্যবিত্ত ছেলে টার প্রেমে পরলো সেটা বুঝার জন্য ফ্রয়েড সাহেবের কাছেই যেতে হবে। Read More


Spread the love
পাশের পাহাড়ে, যেখানে সকালে ফুটতো রডোডেনড্রন আজ সেখানে ফুটছে ক্যারিয়ন ফ্লাওয়ার ফুল থেকেও যে পচা লাশের গন্ধ আসতে পারে সেটাও আজ জানলাম

ক্যারিয়ন ফ্লাওয়ার

Spread the love

মৃত বুনো শুয়োরের গলা পচা দেহ থেকে
তীব্র ঝাঝালো দুর্গন্ধ আসছে
কয়েকটা বাচ্চা এখনো জীবিত
পচা গলা ওলান থেকে দুধ বের করার চেষ্টায়
বেরিয়ে এলো কিছু ক্রিমি আর কীট
এই দৃশ্য আর দূর্গন্ধে আমার পেট গুলিয়ে ওঠার কথা ছিলো
কথা ছিলো দৌড়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার
কিন্তু আমি একটা অথর্ব জীবের মতন দাঁড়িয়ে দেখছি
আরো দেখছি মৃত প্রানীদের সাথে
জীবিত নেক্রোফিলিয়াক দের বীভৎস যৌনতা Read More


Spread the love
শুভ জন্মদিন মালা

শুভ জন্মদিন মালা

Spread the love

অঞ্জন দত্তের গান শুনে অনেক গুলা ক্রাশ খাইছিলাম। রঞ্জনা, রমা, জঈতা, দেবলীনা, সঙ্গীতা, সুজানা সহ আর কত জনের । কিন্তু এর মধ্যে সব চেয়ে সব চেয়ে আলাদা ছিল মালা। Peter Sarstedt এর Where Do You Go to My Lovely বাংলা অ্যাডাপশন ছিলো অঞ্জনের মালা গানটা। Peter Sarstedt এর গানটা বিখ্যাত ইটালিয়ান মুভিস্টার সোফিয়া লরেন কে নিয়ে লেখা বলে ধারনা করা হয়। সেই সোফিয়ার বাংলা ভার্সন ছিল মালা। বারোই মে মালার জন্মদিন। মালার জন্মদিন সেলিব্রেট করতে ঢাকায় এসছে অঞ্জনদা। যে মালা তার জন্মদিন উদযাপন করে জংলাপাড়ের ঢাকেশ্বরী শাড়ী আর পিসি চন্দ্রের ঝুমকো কানের দুলে। যে মালার বৃষ্টির দিন কাটে জ্যায়সালমির আর শীতকাল কোদাই ক্যানালে। কিন্তু রাতে সবাই ঘুমালে নির্ঘুম মালা ফিরে যায় এন্টালী সিনেমার পেছনের বস্তিতে, ফেলে আসা অতীতে।

শুভ জন্মদিন মালা।


Spread the love
খালিদ ভাই

খালিদ ভাই

Spread the love

খালিদের চাইম, জেমসের ফিলিংস , আর্ক , মাইলস এই সব ব্যান্ডের গান দিয়েই গান শোনার শুরুটা হয়েছিলো। এর মধ্যে সব চেয়ে আন্ডাররেটেড ছিলেন সম্ভবত খালিদ ভাই । প্রিন্স মাহমুদ, তরুণ মুন্সি কিংবা মারজুক রাসেলদের লিরিক্স মনের মধ্যে গেঁথে থাকতো। ” তোমার অশ্রু আমার দূর্বল করে দেয় ” / “অশ্রু যত গড়িয়ে পরা রাখা যেত যদি ধরে , সাগর না হলেও হত সে নদী আমার জীবন টা ভরে ” / “আকাশ নীলা তুমি বল কিভাবে, আমার শূন্য মনে সুখ ছড়াবে ” / ” মনে পড়ে না আবার মনে পড়ে, ভালো লাগে না আবার ভালো লাগে ” / ” তুমি নেই তাই তোমার জন্য দহন সারা বেলা ” / ” যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি পড়ে , ততটা মেঘ বুকে রেখেছি পুষে , কিভাবে আমায় তুমি কাঁদাবে বল ” / ” নীরা ক্ষমা করো আমাকে ” এই গান গুলো নব্বইয়ের দশকে ছ্যাকা খাওয়া তরুণদের মুখে মুখে ফিরতো। আজকাল ইমরান, প্রিতম এই সব বালছাল গুলা যে কি গায় , না আছে সুর না আছে লিরিক্সের কোন গভীরতা।


Spread the love