রডোডেনড্রন আর স্যালমনের গল্প

রডোডেনড্রন আর স্যালমনের গল্প

Spread the love

কোন এক পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে ছোট একটা দোকান। চা, সিগারেট আর পানের সাথে ট্যুরিস্টদের জন্য ইন্সট্যান্ট নুডুলস। সারা দিন বেচা বিক্রি শেষে দোকান বন্ধ করে একটা সিগারেট ধরায় বাসায় ফেরা। হয়তো সেখানে কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করছেনা। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি সেই নিস্তব্ধতার। ছোট একটা কাঠের ঘর ধোঁয়ায় ভর্তি। বাইরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। সকালে ঘুম ভাঙতেই পাহাড়ের রডোডেনড্রন ফুলের উপড়ে শিশির বিন্দুর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে অনেকটা সময় চলে যাবে। তারপর আবার গিয়ে দোকান খোলা। দোকানটা বেশ নিরিবিলি জায়গায় হবে। খুব বেশি ট্যুরিস্ট আসবেনা। যারাই আসবে অনেক কথা বলবো তাদের সাথে। তারপর আবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। আমার আবার বাড়ি ফেরা। লোকাল বিড়ি টানতে টানতে। তোমাদের বিল গেটস কিংবা ওয়ারেন বাফেট হওয়ার স্বপ্ন তোমাদের কাছেই থাক। তোমাদের মোটিভেশনাল স্পিকাররা বেচুক সেসব স্বপ্ন। আমি কারো বেচা স্বপ্ন কিনতে চাই না। তোমাদের মতন বড় ও হইতে চাইনা। Read More


Spread the love

ফ্লয়েড, একটি প্রেগন্যান্ট হাতি ও অন্যান্য

Spread the love

এই দুনিয়া তে সব চেয়ে সস্তা সম্ভবত মুসলমানের জীবনের মূল্য। গত কয়েকদিন ধরে ফ্লয়েডের জন্য হোমপেজ ভর্তি পোষ্ট দেখেছি। শেষ দুদিনে কেরালায় মৃত প্রেগন্যান্ট হাতির জন্য। কয়েক দিন আগেই দিল্লি দাঙ্গায় ৫৩ জন মুসলমানের মৃত্যুর খবর এসছে। যারা ফ্লয়েড আর হাতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব তাদের কাউকেই সামান্য দুঃখ প্রকাশ করতে দেখই নাই। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশে না প্রকাশে কিছুই আসে যায় না। প্যালেস্টাইন কিংবা সিরিয়ার জেনোসাইডের জন্য কেউ এতটুকু বিচলিত না। যদি কারো বিচলিত হওয়া না হওয়ায় কিছুই আসে যায় না কিন্তু যে বিষয়টা অ্যাালারমিং মনে হয়ে সেটা হলো আমাদের এই নতুন ফেসবুক জেনারেশন কে আমেরিকায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ এর মৃত্যু কিং পোয়াতি হাতির মৃত্য যতখানি নাড়া দেয় তার ১% ও নাড়া দেয় না ৫০ জন মুসলিমের মৃত্য। সম্ভবত এরা স্মার্টনেস মনে করে আমেরিকায় ইস্যুতে প্রতিবাদ জানানো। কিন্তু লাখখানেক মুসলিম হত্যা হলেও একটা সামান্য পোস্ট দিতে এদের লজ্জা লাগে। হয়তো মনে করে মানুষজন জঙ্গি ভাববে। ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর প্রিয় হলিউড সেলেব্রেটিদের সাথে গলা মিলায় বলতে পারে ‘I can’t breathe” কিন্তু হাজার খানেক সিরিয়ানের মৃত্যু তাদের সামান্য নাড়াও দেয় না। শেষ বিচারের দিন আমাদের আমাদের মুসলিম ভাই বোনে দের নির্বাচারে হত্যার জন্য আমাদের কি ভূমিকা ছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। আমেরিকার ফ্লয়েড কিংবা কেরালার হাতি নিয়ে না। চোখের সামনে একটা ব্যাকবোনলেস আবাল ফেসবুক জেনারেশন দেখে আসলে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা হয়।


Spread the love
চ্যাট

চ্যাটিং

Spread the love

চ্যাটিং এর অভ্যাস কিংবা বদভ্যাস টা হয় ২০০৬/২০০৭ এর দিকে। ‘পানু’ টাইপ জিনিস পাতি দেখতে আর দশটা টিনেজারের মতন সাইবার ক্যাফেতে যাওয়া আসা ছিলো। ক্যাফের প্রায় সব পিসিতেই BDChat ইন্সটল করা থাকতো। নিক একটা নিয়েই ঢুকে যাওয়া। চ্যাট করতে করতে এক সময় খুব চমকপ্রদ একটা জিনিস আবিষ্কার করলাম। অনলাইনে একজন স্ট্রেঞ্জার এর সাথে যতটা প্রাণ খুলে কথা বলা যায় সম্ভবত নিজের সব চেয়ে কাছের বন্ধুর সাথেও বলা যায় না। BDChat কিংবা  Yahoo Chatroom গুলোতে সারা দিন এ পড়ে থাকতাম। খুব ভালো শ্রোতা হওয়ার জন্য কত মানুষের দুখ-কষ্টের কাহিনী শোনা লাগতো তার কোন ইয়াত্তা নেই। সব সময় যে বিপরীত লিঙ্গের মানুষের সাথেই কথা হত ব্যাপারটা এমন না। কিন্তু শুনতাম। বেশিরভাগ সময় খেয়াল করতাম অনলাইনে সুখী মানুষের উপস্থিতি খুব কম ( ২০০৭ – ২০১০ এর কথা বলছি)। বড় চাকুরীজীবী, গায়িকা, ডিজে, ও-লেভেল ফেল করা কিশোর এমনকি পতিতারও সুখ-দুখের কথা শুনেছি। ঘন্টার পর ঘন্টা চ্যাট করেছি। আবার মুহূর্তেই যে যার মতন গায়েবও হয়ে গিয়েছি। অনেকেই পরিচয় গোপন রেখে তাদের অনেক ভীষণভাবে ব্যক্তিগত ব্যাপার গুলো বলতো। কখনো কখনো বিরক্ত লাগতো আবার কখনও বা ভালোই লাগতো। এমনও অনেক মানুষ ছিলো যাদের সাথে বছরের পর বছর কথা বলে গেছি কিন্তু তাদের আসল নামটাও জানতাম না। ফেসবুকে থাকা এই জেনারেশন কোনদিন ওই সময়ের চ্যাটের অভিজ্ঞতা পাবেনা। Yahoo Chat রুমের পাকিস্তানি রুমে গিয়া বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজায় রুম থেকে গালি খাওয়ার পর যে আদিম আনন্দ প্রাপ্তি হইতো সেটা ভাষায় বোঝানো সম্ভব না। Read More


Spread the love
IMG_6417

করোনার দিনলিপিঃ পার্ট -১

Spread the love

করোনা তে কি কি ফেরত আসছে দেখছিলাম। কক্সবাজার বীচে সাগরলতা, ডলফিন, কিংবা বাতাসে শুদ্ধতা। আজকে কত নাম্বার দিন ঠিক জানি না। হিসেব থাকে না কোন কিছুর। তবে মনে হয় আকাশে শকুন  আসতেও খুব বেশি বাকি নাই। মৃতদেহের লোভে ঢাকার আকাশেই হয়তো দেখা যাবে ওদের। হটাত মৃত্যুকে খুব বেশি ভয় পেতে শুরু করেছি। কত কিছুই না করার ছিলো। শিখার ছিলো।  ইচ্ছা ছিলো একদিন আমি কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়া আলাদা করে চিনতে পারবো। ধরতে পারবো বট আর অশ্বত্থ তফাতটাও। ঘরে রাখার জন্য একটা পরিত্যাক্ত বাবুই পাখির বাসাও যে খুজে ফিরছিলাম। চারিদিকে মৃত্যুর নিস্তব্ধতা। পাহাড়ে হাঁটতে হাঁটতে রডোডেন্ড্রনের উপর জমে থাকে শিশিরও আর কোন দিন দেখা হবে না। শান্ত আর নিস্তব্ধ ঢাকা শহর খুব কাঙ্ক্ষিত ছিল। কিন্তু এভাবে আমার শহরকে দেখবো, কখনো চাইনি। এমনটা কি হবার কথা ছিলো ? একটাই তো জীবন। কি নিদারুণ অপচয়। আকাশের চাঁদটাও যেন ডুকরে কাঁদে। চোরাবালি কি চুরি করা যায় ? খামখেয়ালী স্বপ্ন গুলো বার বার ফিরে ফিরে আসে। ভীষণভাবে  আস্তিক আমি এখন শুধু মহান স্রষ্টার একটা মিরাকলের অপেক্ষায়।


Spread the love

আমার আমি

Spread the love

আমার কাছে দুনিয়ার সব চেয়ে কঠিন কাজটা মনে হয় নিজের সম্পর্কে লিখা। সবার দেখাদেখি আমারো একটু লিখতে ইচ্ছা করলো। ভীষনভাবে মধ্যবিত্ত একটা পরিবারে বেড়ে ওঠা আমার। মায়ের মুখে শুনেছি আটাশির বন্যায় আমার জন্ম। জন্ম তারিখটাও কেমন যেন ৮/৮/৮৮।  যাই হোক স্কুলশিক্ষক বাবাকে খুব কাছে থেকে দেখেছি অতি অল্প রোজগারে পাঁচ জন মানুষের একটা সংসার  টানতে। ছোট বেলায় আমার খুব কম চাওয়াই বাবা পূরণ করতে পারতেন। তখন অনেক দুঃখ হলেও এখন বুঝি সেটা আমার জন্য একটা বিশাল শিক্ষা ছিলো। ঢাকায় যে এলাকায় থাকতাম সেখানে অন্য সমবয়েসী ছেলেদের সাথে আমার মেলামেশা এক প্রকার বারণ ছিলো। স্কুল আর কোচিং টাইমটা বাদ দিয়ে বেশিরভাগ সময় ঘরে বন্দি কাটতো। তাতে একটা উপকারই হয়েছিলো। বই পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠতে লাগলো। ক্লাস নাইনে ওঠার আগেই গল্পগুচ্ছ, শরৎচন্দ্র রচনাবলী, জুল্ভার্ন,  শার্লক হোমস সহ আর কত বই সাবাড় করে ফেলেছিলাম। সাথে তো তিন গোয়েন্দা থাকতোই। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে পাশ করে ঢাকা কলেজে ভর্তি হলাম। আস্তে আস্তে আমাকে শিকল খুলে মুক্ত করে দেয়া হলো পরিবার থেকে। কলেজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ। ভার্সিটি জীবনে প্রথম প্রেমে পড়া। আবার প্রথম প্রেম হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো। সব মিলিয়ে জীবনটা কেমন কঠিন হতে লাগলো দিন দিন। আমার স্বপ্নগুলো খুব ছোট ছিলো। একটা প্রেম করবো। পালিয়ে বিয়ে করবো। প্রথম প্রথম বাসা থেকে মেনে নিবে না। হয়তো কোন ছাদের এক চিলেকোঠায় টোনাটুনির সংসার পাতবো। বাবার মতই অল্প আয়ে টেনেটুনে সংসার চলবে। যাই হোক কোন স্বপ্ন পূরন হলোনা। গদবাধা জীবন থেকে দূরে থাকতে ফ্রীল্যান্সিং কে পেশা হিসাবে নিয়েছি। এখন জীবনে একটাই স্বপ্ন ঘুরে বেড়ানোর। বোহেমিয়ান জীবন আমাকে চুম্বকের মতন টানে। কখনো জেলেদের সথে নৌকায় ঘুরবো, কখনোবা ট্রাকের হেল্পারের সাথে বস্তার উপর শুয়ে শুয়ে রাতের তারা গুনবো। প্রতি রাতে এমন একটা জীবনের কথা চিন্তা করতে করতেই ঘুমাতে যাই। হয়তো সত্যি সত্যি এমন একটা জীবন আমার জন্য অপেক্ষা করছে। খুব বেশি কিছু লিখতে পারি না নিজের সম্পর্কে তাও অনেক কিছু লিখলাম। সবাই ভালো থাকবেন। পরম করুণাময় আমাদের সবাইকে এই বিপদ থেকে হেফাজত করুন। আমীন।


Spread the love
biri

বিড়ির স্বাদ

Spread the love

বিড়ি কিংবা সিগারেট খুবই আজব প্রকৃতির একটা জিনিস। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন প্রভাবকের  জন্য এর স্বাদ ও পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যেমনঃ বাজারের টাকা বাঁচাইয়া কিনা বিড়ির এক টেস্ট।  বড়লোক বন্ধুরে ছিল দিয়া খাওয়া বিড়ির আরেক টেস্ট। মনের দুঃখে টানা বিড়ির টেস্ট আর মনের সুখে টানা বিড়ির টেস্ট কখনোই এক হয় না। নতুন প্যাকেট খুইলা ফ্রেশ একটা বিড়ির স্বাদ যেমন অনন্য আবার ড্রয়ারে খুজে পাওয়া বহুত দিনের পুরান একটা ড্যাম বিড়ির স্বাদ টাও মন্দ না। গার্লফ্রেন্ডের সাথে বইসা টানা বিড়ি আর বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বইসা টানা বিড়ির টেস্টের মধ্যেও তফাৎ আছে। ম্যাচের কাঠি দিয়া বিড়ি ধরাইলে বারুদের একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় আবার গ্যাস লাইটার দিয়া বিড়ি ধরাইলে গ্যাসের ফ্লেভার। জিপ্পো দিয়া বিড়ি ধরাইলে তো পুরাই গ্যাসোলিনের ফ্লেভার। অর্ধেক বিড়ি খায়া নিভায় রাইখা পরের দিন বাকি বিড়িটা ধরাইলে আবার তিতা স্বাদ । বিড়ির পিছন দিয়া এক টুকরো মেনথল ঢুকায় খাইলে রিফ্রেশিং ফ্লেভার। কালবৈশাখীতে প্রচণ্ড বাতাসে বিড়ির এক টান সাথে মুখে ছিটা আসা ঝড়ের ঝাঁপটা। এমন টেস্ট আর কোথায় পাওয়া যায় !!! Read More


Spread the love
হার

হার

Spread the love

হার মেনে নিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকারমধ্যে কোন লজ্জা নেই। বিশ্বাস করো, পরাজয় সবাই মানতে পারে না। তুমি স্কটল্যান্ডের লিজেন্ডারি রাজা ব্রুস না যে বার বার আক্রমণ করে একদিন সফল হবে। মাঝে থেকে বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই হয়তো চলে যাবে। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়াই কিছু মানুষের নিয়তি। হার মেনে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটানোর জন্য কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে রাখায় কোন দোষ নাই। সবাইকে কে দেখানোর কিছু নাই যে তুমিও পারো। সবাই পারে না। সবাইকে পারতে হয় না। পরাজয়ের তীব্র যন্ত্রণায় কুঁকড়ে আসা বুকটা শক্ত করে মুখে একটা স্মিত হাসি যদি রাখতে পারো ওইটাই তোমার বিজয়। “এক্সসেপশন” কখনো ‘এক্সাম্পল’ হয়না, কোন মোটিভেশনাল স্পিকারকে এটা বলতে শুনি নাই। ভীষণভাবে মধ্যবিত্ত আমি খুব ভাল হারতে জানি। জীবনটা রূপকথা না যে সবসময় হ্যাপি এন্ডিং হবে। এর শেষ টা খুব শোচনীয় হতে পারে। হয়তো ওই পাড়ে ভালো কিছু থাকবে। কে জানে। Read More


Spread the love

তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান – কবির সুমন

Spread the love

যদিও আকাশ ধোঁয়াশায় মৃয়মান,
তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান।
গলির মুখেই নোংরা-আবর্জনা,
বাস্তু নরকে নাগরিক আনমনা।
মোড়ের সেলুনে রেডিওর মুলতান।
তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান।
কেটে নেয়া গাছ গুড়িটা রয়েছে পড়ে,
তাতে মেলে দেয়া রঙ্গিন লুঙ্গি ওড়ে।
রাস্তার কলে রিকশা ওয়ালার স্নান,
তোমার জন্য লিখছি প্রেমের গান। Read More


Spread the love
যদি

যদি

Spread the love

ব্যর্থ যদি নাই হয় তবে কি সেটা প্রথম প্রেম ?
হ্যাপি এন্ডিং না হলে কি রূপকথা হয় কখনো ?
পাড় যদি নাই ভাঙ্গে তবে তা কেমন নদী
যদি একটা প্রিয় একটা কানা গলি নাই থাকে
তবে কি সেটা আসলেই তোমার শহর ?
পরাজয়ের ভয়ে যদি আগেই গিলোটিনে মাথা দিয়ে দাও
তাহলে কেমন সৈনিক তুমি ? Read More


Spread the love
আমি অপেক্ষায় ছিলাম

আমি অপেক্ষায় ছিলাম

Spread the love

আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা সকালের, যে সকালে আলো ঝলমল করবে
গরম ধোঁয়া উঠা লাল চায়ে একটা আলতো চুমুক
জীবনে পাওয়া – না পাওয়ার হিসেবের খাতাটা ছুড়ে ফেলে
আমি হাঁটবো রাস্তায় , আমার সঙ্গী হবে এক রাশ আনন্দ

আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা দুপুরের , সানকি ভরতি গরম ফেনা ভাত
সাথে বেগুন ভর্তা, ডাল আর কাচকি মাছে চচ্চড়ি
আমি আঙুল চেটে পুটে খাবো যেন অমৃত খাচ্ছি
দুঃখগুলো দূরে বসে আমাকে দেখবে
যেমনটা রাস্তার অভুক্ত কোন শিশু কাউকে খেতে দেখে

আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা বিকালের, যে বিকালে আমি কোন মাঠে
অনেকে মিলে খেলবো বরফ পানি
বিকালের সোনারোদ আমার না পাওয়ার কষ্ট গুলোকে
গলিয়ে পানি করে দিবে
সেই পানি মিশে যাবে সবুজ দুর্বাঘাসে Read More


Spread the love