আমি মানে খুঁজে পাইনি
হৃদয়ের কোণে জমে থাকা কষ্ট গুলোর
চড়া দামে কেনা ছিলো সেগুলো
তবে আজ কেন পরিত্যাক্ত আমার দুঃখেরা
আমি মানে খুঁজে পাইনি
বার বার প্রেমে পড়ার
প্রতিবার স্বর্গসুখের আশায়
আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছিলাম
নরকের স্যাঁতস্যাঁতে গলিতে Read More
একাকীত্ব
একাকীত্বের কাছে কি নিদারুণ অসহায় আমরা। দুপুরে বাসের ভীড়ে কিংবা শপিং মলের ঝিলমিল করা আলোর মধ্যে মনের ভেতর তীব্র অন্ধকার। অন্ধকার টানেলের শেষে হয়তো আলো থাকে কিন্তু জীবনের এই অন্ধকারের রাজত্ব যেন চলে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে। মানুষকে সৃষ্টিকর্তার আদলে তৈরি করা হয়েছে। আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা ও কি এমন একা ছিলেন? যখন কিছুই ছিলোনা ? তাই কি আমরা ভিতরে ভিতরে এত একা? শত সুখের মাঝেও হুট করে একা লাগে। Read More
Aami Shei Manushta Aar Nei(আমি সেই মানুষটা আর নেই)| Dawshom Awbotaar |Anupam লিরিক্স
তুমি যাকে দেখো রোজ একা হেটে আসে
তার ঘরে হেরে যাওয়া ধ্রুবতারা ভাসে
আমি সেই মানুষটা নেই
আমি সেই মানুষটা নেই
চোখে তার মায়া ছিল
মুখে তার স্নেহ
ইদিনিং সে গাড়ি চাপা
কুকুরের মৃতদেহ
আমি সেই মানুষটা নেই
মিলিয়ে যেন গেছই ঈশ্বরেই
চোখে জল আসে না
খুবই তুচ্ছ এই ব্যাপার
আমি এগিয়ে যাই এবার
প্রলয়ের জলে আমি বানভাসি
প্রতিশোধ অভিলাষী হয়ে
বার বার ফিরে ফিরে আসি
আমার মুক্তির এই ধরাধামে
বৈকুণ্ঠের খামে
আমি চিঠি হই নেমেসিস নামে
মহীরুহ নত হয়
বুকে তার ক্ষত
দেবতার কথা রাখে
মানুষের মত
আমি সেই মানুষটা নেই
আমি সেই মানুষটা নেই Read More
শৈশব কিংবা কৈশোর
আমার শৈশব কিংবা কৈশোর কোনটাই ফেয়ারি টেলস এর মতন সুন্দর ছিলো না। ঢাকার একটা বাজে এরিয়াতে থাকতাম। স্কুল শিক্ষক নিম্ন-মধ্যবিত্ত বাবা আমাকে নিয়ে খুবই ভয়ে থাকতেন। কখন না যেন বাজে ছেলে পেলেদের সাথে মিশে নষ্ট হয়ে যাই। ক্লাস টেন পর্যন্ত বাসা থেকে স্কুল আর কোচিং ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া এক প্রকার মানাই ছিলো। বিকাল বেলা জানলা দিয়ে পাশের বাসার মাঠে অন্য ছেলেদের খেলতে দেখতাম বিষণ্ণ চোখে। মাঝে মাঝে যেতাম অনেক কান্নাকাটি করে কিন্তু দেখা যেত যাদের সাথে খেলতাম তাদের বকা শুনতে হতো আমার জন্য। সারা দিন বাসায় কিচ্ছু করার নাই। একটা সতেরো ইঞ্চি সাদাকালো টিভি তাও কোন ডিশের লাইন ছিল না। কয়েকটা বিদেশী সিরিজ আসতো। সেটাই সম্বল। কিন্তু আরেকটা জিনিস ছিলো পাশে সব সময়, বই। বই পড়তে যে খুব ভালো লাগতো বিষয়টা তেমন না কিন্তু ভালো সময় কাটতো। ক্লাস নাইনে ওঠার আগেই জুলভার্ন, শার্লক হোমস, রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ, শরৎ বাবুর গৃহদাহ, পথের দাবী , গৃহদাহ আর সাথে তো সেবার অনুবাদ/ তিন গোয়েন্দা/ ওয়েস্টার্ন থাকতোই। Read More
কবি
কবিরা হেরে যায় প্রতিনিয়ত
কখনো অদৃষ্টের কাছে
কখনো হেরে যায় নীল বেদনার কাছে
যারা জিতে তারা কবি হয় না
তারা হয় বুর্জোয়াদের পা চাটা কুকুর
লাশের পিলারে বানানো অট্টালিকায়
দিন রাত বসে কষে স্টক মার্কেটের অংক
তাইতো হিটলার কিংবা মুসোলিনির সভায়
কোন কবি থাকে না
কোন কবি থাকেনা রাতের কর্পোরেট পার্টিতে
বাহারি শাড়ি আর গাউন পরে বেশ্যারা বিকোয় দেহ
কোন ফাইভ স্টার হোটেলের রুমে
ঠিক সেই হোটেলের নিচে দিয়েই
অভুক্ত কবি হেটে যায়
শেষ মৃত পাখি – শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য
রহস্যের রোমাঞ্চ যখন কবিতার সিন্ধতাকে স্পর্শ করে তখন সম্ভবত থ্রিলার সাহিত্যের সব চেয়ে বেস্ট প্লট তৈরি হয়। এরকম প্লটের সর্বপ্রথম পরিচয় ঘটেছিলো সৃজিতের কাল্ট ক্ল্যাসিক বাইশে শ্রাবণ সিনেমায়। কিন্তু বইয়ের পাতায় প্রথম পড়লাম শাক্যজিৎ ভট্টাচার্যের “শেষ মৃত পাখি” উপন্যাসে। কিন্তু এখানে কবিতার সিন্ধতার কথা বলেলে ভুল হবে। সত্তরের দশকে নকশাল আন্দোলনের সময়কার জ্বালাময়ী কবিতার সাথে এক উঠতি বিদ্রোহী কবি অমিতাভের হত্যা এবং প্রধান সন্দেহভাজন অমিতাভের কাছের বন্ধু অরুণ চৌধুরীর গল্পে সিন্ধতার ছোঁয়া নেই বলেলেই চলে। Read More
অন্ধকার
আমি রাতের কাছে অন্ধকার চেয়েছিলাম
ঠিক তখনি রাত শেষ হয়ে উকি দিয়েছিলো ভোরের আলো
আলো বাড়তে থাকলো ক্রমাগত
একটা সময় অতিবেগুনী রশ্মি কেড়ে নিলো আমার দৃষ্টিশক্তি
তারপর কতশত বছর অন্ধ ছিলাম , হিসেব করা হয়নি
হিসেব করা হয়নি কতগুলো ফাগুন চলে গিয়েছিলো
তার পর কোন এক শীতের রাতে
ফিরে পেয়েছিলাম চোখের আলো
চোখ খুলতেই দেখলাম নর্দান লাইটস
মুগ্ধ চোখে তাকিয়েছিলাম
ভুলে গিয়েছিলাম শত বছরের অন্ধ থাকার কষ্ট। Read More
যারা রাত্রি জেগে থাকে – সুরঞ্জন দাস
আমার শহর কত কথা বলে রোজ দিনের বেলায়
ভোর হতে আরও অনেক দেরি এখন বোঝা দায়
আমার শহর কত কথা বলে রোজ দিনের বেলায়
আছে দেখবার স্বপ্ন যে যার সকাল হওয়ার আগে
আমি তাদের কথা ভাবি যারা রাত্রি জেগে থাকে Read More
বিষণ্ণতা
চারপাশে এক অদ্ভুত বিষণ্ণতা। এই বিষণ্ণতা সবাইকে ছোঁয় না। কিন্তু যাকে ছোঁয় তাকে আর সুখ কখনো ছুঁতে পারেনা। গাছের পরে যাওয়া পাতারা ঠিক কতটা বিষণ্ণ ? কে জানে। সূর্যাস্তের সময় যেই কমলা আলো ছড়িয়ে পরে তখন ভাবি এর চেয়ে বেশি বিষণ্ণ হতে পারে না। কিন্তু রাতের আকাশ দেখে আরও বিষণ্ণ হয়ে যাই আকাশ গঙ্গা দেখতে না পারার দুখে। ইলেকট্রিক আলো কেড়ে নিলো আমার আকাশগঙ্গা। ভাবি পাহাড়ে যাবো। একা একা দেখবো রাতের আকাশ। কিছুটা জমানো টাকা আর কিছুটা ধার করা টাকা নিয়ে চলে যাই পাহাড়ে। নাগরিক বিষণ্ণতা বিদায় নেয়। ভর করে পাহাড়ি বিষণ্ণতা। ভাবি কেন আমার জন্মটা পাহাড়ে হলো না? কেন আমাকে আবার সেই কংক্রিটের জঙ্গলে ফিরে যেতে হবে? বিষণ্ণ মনে আবার ফিরে যাই। বিষণ্ণতা আর দুঃখ কিন্তু এক না। বিষণ্ণতার জন্য কোণ কারনের দরকার হয়। দুখের জন্য কারণ লাগে। বলিউডের সর্বকালের সেরা সুন্দরী অভিনেত্রী মীনা কুমারী নাকি সারাক্ষণ ই বিষণ্ণ থাকতেন।