রাত ১২ টা। নতুন বছরের তৃতীয় দিন শুরু। জীবনটা আগের মতই। শুধু বয়সটা বাড়ছে। নিজের সিগারেট খাওয়ার স্টামিনা দেখে নিজেই হতবাক হই। ঘর ভর্তি ধোঁয়া। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তোমার জন্য আর অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। তুই ভালো থাক। অনেক ভাল।আমিও একদিন ভালো থাকব। সত্যি ভালো হয়ে যাব। স্বপ্ন দেখি ভালো থাকার। জীবনটা আবার নতুন করে শুরু করার। কিন্তু ঘুমটা ভাঙলেই স্বপ্ন গুলও ভেঙ্গে যায় ঘুমের সাথে। শুরু হয় যন্ত্রণার জিবন।আমি ক্লান্ত। ফাইটব্যাক করার কোন শক্তি অবশিষ্ট নাই। এই পিছুটান আমার আর ভালো লাগে না। এত বেশি ভুল করে ফেলেছি আর সংশোধন সম্ভব না। জয়তু সিগারেট …… জয়তু কষ্টেরা ………
I’m loving you
Nothing to lose
রাত যত বাড়ে সিগারেটের সাথে আমার সম্পর্ক গভীর হইতে থাকে। খালি একটাই জিনিস মাথায় ঘুরপাক খায়। তোর কি একবারও আমার কথা মনে হয় না। তুই ভাল থাকতে পারলে আমি কেন পারিনা। ক্রমশ বেঁচে থাকার ইচ্ছাটা মরে যাচ্ছে। সব কিছু কেমন জানি ঘোলাটে। বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা হয় না। কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। মনটা অস্বাভাবিক রকমের খারাপ থাকে সব সময়। পরাজয় মেনে নিতে নিতে আজ আমি এতোটাই ক্লান্ত Read More
সঞ্জীব চৌধুরী
এক পলকেই চলে গেল আহ কি যে তার মুখ খানা
রিক্সা কেন আস্তে চলে না……………………………
আজ আমার অন্যতম প্রিয় গায়ক সঞ্জীব চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে আমার পরিচয় বায়স্কোপ গানটা দিয়ে। এত সুন্দর সুন্দর লিরকিসের গান অত্র বাংলার খুব কম গায়ক এর কাছে শুনেছি। চলতে চলতে নামক একটি গানে তিনি বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেছেন যেন বিধাতা আখের রসে আরেকটুখানি মিষ্টি দেন। কি আজব একটা আবদার। এক কথায় Read More
কবে যাবো পাহাড়ে
মাল্টি ন্যাশনাল কোন কোম্পানিতে জব, কিংবা বিজনেস টাইকুন হওয়ার স্বপ্ন কোনটাই ছিলোনা কখনও আমার। অতি অল্প তে সন্তুষ্ট হওয়ার গুণটি আমার আব্বাজানের কাছে থেকে পাওয়া। দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কোন ইচ্ছাও নেই। কিন্তু এই সিমেন্টের জঙ্গলে গাড়ির হর্ন শুনতে শুনতে আজ আমি ক্লান্ত। খুব ইচ্ছা ছিল চা বাগানে ম্যানেজার এর জব করবো। স্ট্রেস ছাড়া একটা লাইফ। অথবা সী-বিচে একটা ছোট্ট একটা জুসবার। যতদূর চোখ যাবে নীল সমুদ্র অথবা চা বাগানে রাতের ঝি ঝি পোকার ডাক। বিকেল বেলা নদীর তীরে হাটতে যাওয়া। হাজারটা ওয়াইফাই সিগন্যাল এর মাঝে চোখ বুজলেই আমি চলে যাই পাহাড়ে। অনেক মাইল দূর থেকে আমি সমুদ্রের গন্ধ পাই। চোখটা খুললেই আবার আমার সামনে সেই কম্পিউটারের মনিটর কিংবা হাতে একটা স্মার্টফোন। আজ আমি চাইলেই পাহাড়ে চলে যেতে পারিনা। আজ আমি চাইলেও সমুদ্র সৈকতে খুলতে পারিনা একটা জুসবার। আমার হাত পা যে শিকলে আটকা। দামি দামি গেজেটস আর এখন আমাকে টানে না। ছোট বেলায় পড়া হেনরি রাইডার এর অ্যাডভেঞ্চার গল্প গুলো পাগলের মতন ডাকে আমাকে। পাগলের মতন মনে হয় তখন। সারা রাত আকাশে তারা গোনার কোন জব পাওয়া যায় কি? জানি যায় না। আমি ঠিকই মনে মনে চোখ বুজে তারা গুনি। কিন্তু একটু পরেই জীবন্ত লাশ হয়ে আবার ফিরে আসতে হয় আমার দুর্গন্ধময় বাস্তবতার জগতে। একদিন এই শহর টা একটা মেগাসিটি হবে। সব কিছুই বড় বড় হয়ে যাবে। শুধু ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশার খবরগুলো কেউ রাখবেনা।
কবে যাবো পাহাড়ে … আহারে ………………
Don’t grow up. trust me its a trap
স্কুল লাইফটা একটা পেইন ছিল আমার জন্য। বাবা মার কড়া শাসন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে না দেয়া, সব সময় ঘরে বন্দী থাকা আরও কতো কি। একতাই অস্থিরতা কবে বড় হবো, কবে ? কিন্তু রাতের বেলা দুই চোখ ভর্তি ঘুম ছিল। অতি সামান্য কিছু পাওয়া তেই এক আকাশ সুখ ছিল। শুধু রেজাল্ট এর দিন এর টেনশন। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে গ্রামে ঘুরতে যাওয়া , তিন গোয়েন্দা কিংবা চাচা চৌধুরী এর কমিকস কিনে দিতো বাবা, সে এক অদ্ভুত আনন্দ। সাথে শুধু চিন্তা কবে যে বড় হবো। নিজের টাকায় তিন গোয়েন্দার সব গুলা বই কিনব অথবা সারা দিন চক্লেটস খাবো। হটাত করেই আবিস্কার করলাম বড় হয়ে গেছি। কোন বাধা নেই। আমি মুক্ত। কিন্তু মনে শান্তি নেই। বুক ভর্তি কান্না। ওষুধ ছাড়া রাতে ঘুম আসে না। চলতে ইচ্ছা করে না। দুই পায়ে ১০ কেজি করে ইট বেধে দিসে যেন কেউ। মনটা অস্বাভাবিক ক্লান্ত। কোন কাজ করতে ইচ্ছা করেনা। সিগারেট এর পর সিগারেট, কখনও গাজায় টান। বাবা মা এর সামনে পরতে ইচ্ছা করেনা। তাদের বুড়িয়ে যাওয়া মুখ গুলো দেখলে প্রচণ্ড ভয় হয়। বয়স ত্রিশ হতে চলল। কিছুই করতে পারিনি এখনো। প্রেমে ব্যর্থ , ক্যারিয়ার বানাইতে ব্যর্থ , বাপ মা কে খুশি করতে ব্যর্থ আরও কতো ব্যর্থতা। মরে যাওয়ার চেয়ে বেশি ভয় লাগে এখন বেচে থাকতে। আবার সেই স্কুলে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে, বাস্তবতার চাবুকের বাড়ির চেয়ে স্যার দের বেতের বাড়ি অনেক ভালো। Don’t grow up. trust me its a trap.