আমি ভাল আছি

Spread the love

একটা আধভাঙ্গা ক্যাসেট প্লেয়ার, সাথে অঞ্জন দত্ত, মান্না দে, হেমন্ত, নচিকেতা, জেমস, বাচ্চু এর কয়েকটা ক্যাসেট। আর রাতের বেলা কিছু বাংলায় ডাব করা টিভি শো। কিন্তু এত কম বিনোদনের মাঝে থেকেও দিন গুলো আমার অস্বাভাবিক সুন্দর ছিলো। কোথায় হারায় গেলো দিনগুলা। আমি জানি না। এখন সকালে ঘুম থেকে উঠি এক গাদা যন্ত্রণা আর টেনশন নিয়ে। যন্ত্রণাগুলো ব্লক করার কোন সফটওয়ার যদি ইন্সটল করতে পারতাম মাথায়। আর কিচ্ছু ভালো লাগে না এখন। লোডশেডিং ও উপভোগ করতাম। পুরো পাড়া অন্ধকার হয়ে যেত। আকাশ দেখা যেত সুন্দর করে। এখন জেনারেটরের জালায় লোডশেডিং তাও বুঝি না। মাথায় কোন টেনশন ছিল না। মোটা একটা চশমা পরতাম। খুলে গেলে কিছুই দেখতাম না। তাও কতো রঙিন ছিলো সময়গুলো। প্রথম প্রথম সিগারেট খাওয়া শিখার পর কতো কাহিনী। মনে হতো অনেক বড় হয়ে গেছি। বুঝিনি বড় হওয়ার সাথে সাথে কমে যেতে থাকে চোখের জল। পাহাড় সমান যন্ত্রণা আর কষ্ট নিয়ে হাসি মুখে বলতে হয় ভালো আছি। আমি ভাল আছি।


Spread the love

আকাশগঙ্গা

Spread the love

প্রায় প্রতি রাতে ছাইপাশ লিখি ফেসবুকে। কেউ পড়ে বলেও মনে হয় না। কিন্তু ভাল্লাগে লিখতে। আজকেও লিখবো । যা ইচ্ছা লিখবো। আমার মনে হয় তুই আমার লিখা পড়িস মাঝে মাঝে। খুব জানতে ইচ্ছা করে কেমন আছিস। ভয় লাগে ফোন দিতে। নিজের উপর কন্ট্রোল হারায় ফেলি। পাগলের মতন মনে হয়। প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। কোনমতে একটা সিগারেট ধরাই। আস্তে আস্তে সব শান্ত হয়ে আসে। তখন হাসি পায়। আমি আসলেই একটা অপদার্থ। সামান্য কষ্ট থেকে বের হতে পারিনা। জীবনটা কোন দিকে যাচ্ছে কে জানে। চিন্তা করতেও ইচ্ছা করেনা। তোর মত হতে ইচ্ছা করে। পারিনা হতে। জানিনা কবে মুক্তি পাবো। আদৌ পাবো কিনা কে জানে। শহুরে জীবন থেকে মুক্তি পেতে ইচ্ছা করে। সেন্ট মারটিনে বসে সারারাত যদি আকাশগঙ্গা দেখতে পারতাম … কোন চাওয়াই পুরন হোল না। বসে বসে তাই সিগারেট টানাই বেটার। সিগারেট এর ধোয়া দিয়ে ঘর ভর্তি করার একটা অমানুষিক আনন্দ আছে


Spread the love

কেমিক্যাল লোচা

Spread the love

মাঝে মাঝে মাথায় কেমিক্যাল লোচা হয়। মনে হয় তুই সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে আমার কাছে চলে এসেছিস। শহরের কোন একটা চিপায় ছোট্ট একটা বাসায় আমরা আগোছালো একটা সংসার শুরু করেছি। আরও কত কি! রাতের বেলা দুজন হাত ধরে ছাদে হাঁটছি। কিন্তু চোখ খুললেই ঘোর কেটে যায়। নিজেকে ঠিকই ছাদে পাই তবে একা। হাতে জলন্ত সিগারেট। চারপাশে সাজানো বাগান, শুধু আমি একাই ক্লান্ত। ঘুম ঘুম ভাব কিন্তু ঘুম আসেনা। কতো সহস্র বার তোর মোবাইলে কল দিয়ে যে কেটে দেই। মাঝে মাঝে তাও কল ঢুকে যায়, তখন তুই কেটে দিস। আস্তে আস্তে লাইফ ও কেটে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে ভাবি কষ্টের রঙ নীল কেন? আকাশের রঙও তো নীল। আকাশের কি অনেক কষ্ট ? আজাইরা চিন্তায় মাথাটা ভারি হয়ে থাকে। এই পিছুটান আমার আর ভাল্লাগেনা। আমি জানি একদিন তুই আমারে খুজবি। বাজেভাবে আমারে চাইবি। সত্যি আসবে সেই দিন, সত্যি আসবে ……


Spread the love

কক্ষনো না

Spread the love

তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, জুল্ভারন, শার্লক হোমস, কাকা বাবুর সাথে ভালই কাটছিল আমার দিনগুলো। কখনো ফেলুদার সাথে তোপসে হয়ে কেস সল্ভ করতে ইচ্ছা করতো, কখনো বা ওয়াটসন হয়ে শার্লক হোমসের সাথে। বাসায় বন্দি থাকতাম কিন্তু আমার দুনিয়াটা অনেক বড় ছিল। নষ্ট ছিলাম না আমি। ফ্যান্টাসিতে চলে যেতাম নর্থ পোল কিনবা হিমালয়ের চূড়ায়। কল্পনায় আমার বাসা ছিল মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ডে। কখনো অলিভার টুইস্ট কিংবা লা-মিজারেবল পড়ে দু ফোটা পানি পরতো চোখ দিয়ে। কোন একটা বই পড়া শেষ হয়ে গেলে আজব অনুভূতি হত। দুঃখ আর সুখ মেশানো অনুভূতি। আস্তে আস্তে আরেকটু বড় হলাম। আমার দুনিয়া দখল করা শুরু করলো হিন্দি মুভি। আর চুরি করে একটা দুটা সিগারেট খাওয়া। তারপরও সুখি ছিলাম অনেক। যশ রাজের মুভি দেখে প্রেমে পরতে ইচ্ছা হত। কিন্তু বয়েজ স্কুল আর কলেজের আশীর্বাদে ছোট বয়েসে ওইরকম কোন অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। প্রেমে পরলাম ভার্সিটি লাইফের তৃতীয় বর্ষে। খুবই ক্ষণস্থায়ী ছিল প্রেমের আনন্দটা আমার জন্য। জীবনটা এখন একটা দোজখে পরিনত হইসে। যদি একবার টাইম ট্রাভেল করে ছোট বেলায় ফিরে যেতে পারি তাহলে আমি কক্ষনো আর বড় হতাম না। কক্ষনো না


Spread the love

ভূমিকম্পের পর কি হয়

Spread the love

ভূমিকম্পের পর কি হয় খুব জানতে ইচ্ছা করতেসে। বেচে থাকা মানুষ গুলা কিভাবে সারভাইভ করে? কত দিন সময় লাগে নতুন করে বাসা বানায় সেই বাসায় যেতে? আমাদের মধ্যে থেকে কোন আত্মীয় কিংবা বন্ধু মারা গেলে কতো খারাপ লাগে। আর একসাথে কত বন্ধু আর আত্মীয় হারা হবো কয়েক মিনিটের মধ্যে। মোবাইলের নেটওয়ার্ক কি কাজ করবে? লাশ পচতে কত সময় নিবে কংক্রিটের নিচে? আর যদি আধ্মরা হয়ে বেঁচে থাকি তাহলে সাহায্য নিয়ে কে আসবে ঢাকায় ? কয় জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী জীবিত থাকবে সাহায্য করার জন্য ? তারা কি নিজেদের বন্ধু বান্ধব আর আত্মীয়দের কাছে আগে যাবে? গুন্ডা মাস্তান আর ডাকাত গুলা কি করবে? সোনা আর টাকা পয়সার কি সত্যি কোন মূল্য থাকবে তখন? কত দিনের জন্য বন্ধ হবে ঢাকা ভার্সিটি ? চাকুরেরা কি বেতন পাবে? too much questions


Spread the love

পিছুটান

Spread the love

রাত ১২ টা। নতুন বছরের তৃতীয় দিন শুরু। জীবনটা আগের মতই। শুধু বয়সটা বাড়ছে। নিজের সিগারেট খাওয়ার স্টামিনা দেখে নিজেই হতবাক হই। ঘর ভর্তি ধোঁয়া। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কিন্তু তোমার জন্য আর অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। তুই ভালো থাক। অনেক ভাল।আমিও একদিন ভালো থাকব। সত্যি ভালো হয়ে যাব। স্বপ্ন দেখি ভালো থাকার। জীবনটা আবার নতুন করে শুরু করার। কিন্তু ঘুমটা ভাঙলেই স্বপ্ন গুলও ভেঙ্গে যায় ঘুমের সাথে। শুরু হয় যন্ত্রণার জিবন।আমি ক্লান্ত। ফাইটব্যাক করার কোন শক্তি অবশিষ্ট নাই। এই পিছুটান আমার আর ভালো লাগে না। এত বেশি ভুল করে ফেলেছি আর সংশোধন সম্ভব না। জয়তু সিগারেট …… জয়তু কষ্টেরা ………


Spread the love

I’m loving you

Spread the love

ছন্নছাড়া জীবনে এখনো পুরোপুরি অভ্যস্ত হতে পারিনি। কোথায় যেন একটা পিছুটান রয়ে গেলো। কোন লক্ষ্য নাই, উদ্দেশ্য নাই কিছুই নাই। এইটা ওইটা করে কিছু কামাই করা, তারপর খেয়ে উড়ায় দেয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠি একগাদা অপরাধবোধ নিয়ে। জীবনে কারও জন্যই কিছু করতে পারি নাই। আর রাত হলেই মনে পড়ে তোর কথা। খুব জানতে ইচ্ছা করে তোর ও কি আমার কথা মনে পড়ে। পরক্ষনেই মনে হয় তুই সুখেই আছিস অন্য কারও সাথে। তাই তোর নাম্বারে ডায়াল করেই কেটে দেই। কথা বলা হয় না তোর সাথে আর। অজান্তেই অঙ্গুলের ফাকে কখন যে সিগারেটটা জ্বলে উঠে নিজেও টের পাইনা। মনটা বাজে রকমের অশান্ত আর খারাপ থাকে। ওষুধের জোরে কান্নাটা চোখ পর্যন্ত আসতে আসতে হাসি হয়ে যায়। Scorpions এর গানটা কানে বাজতে থাকে …

Read More


Spread the love

Nothing to lose

Spread the love

রাত যত বাড়ে সিগারেটের সাথে আমার সম্পর্ক গভীর হইতে থাকে। খালি একটাই জিনিস মাথায় ঘুরপাক খায়। তোর কি একবারও আমার কথা মনে হয় না। তুই ভাল থাকতে পারলে আমি কেন পারিনা। ক্রমশ বেঁচে থাকার ইচ্ছাটা মরে যাচ্ছে। সব কিছু কেমন জানি ঘোলাটে। বাসা থেকে বের হতে ইচ্ছা হয় না। কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। মনটা অস্বাভাবিক রকমের খারাপ থাকে সব সময়। পরাজয় মেনে নিতে নিতে আজ আমি এতোটাই ক্লান্ত Read More


Spread the love

ঝাপসা

Spread the love

চাকরি করি না। আগের মতন ফ্রিলান্সিং কাজ করাও হয় না। কিচ্ছু ভাললাগে না। ২৭ বছর কি করছি কি করি নাই তার হিসাব মিলাইতে মিলাইতে যখন ক্লান্ত হয়ে সিগারেটটায় টান দেই তখনই তোরে মনে পড়ে। ঝাপসা হয়ে আসে চোখ আমার। কাদতে পারিনা আগের মতন। Read More


Spread the love

সঞ্জীব চৌধুরী

Spread the love

এক পলকেই চলে গেল আহ কি যে তার মুখ খানা

রিক্সা কেন আস্তে চলে না……………………………

আজ আমার অন্যতম প্রিয় গায়ক সঞ্জীব চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।  সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে আমার পরিচয় বায়স্কোপ গানটা দিয়ে। এত সুন্দর সুন্দর লিরকিসের গান অত্র বাংলার খুব কম গায়ক এর কাছে শুনেছি। চলতে চলতে নামক একটি গানে তিনি বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেছেন যেন বিধাতা আখের রসে আরেকটুখানি মিষ্টি দেন। কি আজব একটা আবদার। এক কথায় Read More


Spread the love