রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র

Spread the love

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়া এত ফালাফালির কি আছে ? আচ্ছা বাঁচবেন কয়দিন আপনি ? এই কয়দিনে তো আর সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে না। তো আপনি চাইলেই সুন্দরবন ভ্রমন করতে পারবেন, দেখতে পারবেন। আর কি চান? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করতেছেন ? আপনার কি আসে যায় যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দরবন দেখতে না পায়। চেষ্টা করুন পজিটিভ হতে। নিউজ সাইটের পেইজ গুলো আনলাইক করে দিন। অনলাইন আক্টিভিস্ট যারা Read More


Spread the love

বঙ্গবাহাদুর

Spread the love

লোকজন বেশ উত্তেজিত হাতি নিয়া। এক পক্ষ বলতেছে চারপাশে লুঙ্গি পড়া জঙ্গিরা গিজগিজ করতাছে, সুন্দরবন ধ্বংস কইরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানো হইতেছে তার মধ্যে হাতি নিয়া এত ফালাফালি করার কি আছে। আমার জনৈক বন্ধু হাতি নিয়া ফালাফালি করা সাংবাদিকদের হাতির পিছন দিয়ে ভরে দেয়ার পক্ষে। কিন্তু একজন অকৃত্রিম পশুপ্রেমি হিসাবে আমি হাতিটার বেপারে বেশ উৎসাহী। যেখানে ভারত থেকে গরু আসা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে সেইখানে বানের পানিতে ভাইসা পাহাড় সমান এক হাতি আইসা হাজির। এইটা কি কম কেরামতির কথা। হাতি হইলো গিয়া Spiritual Animal অর্থাৎ আধ্যাত্মিক প্রাণী। হাতিদের নাকি কবরস্থান থাকে। সেইখানে হাতিরা বছরে একবার ভিজিট ও করে। যাই হউক হাতিটার নাম দেয়া হইছে বঙ্গবাহাদুর। নাম দিয়েছে বনবিভাগ। হাতির নামকরনের পর আকিকা দেয়া হয় নাই এখনো। আকিকা দিলে খাইতে যাওয়ার প্লান আছে। ততদিন পর্যন্ত হাতিটা বহাল তবিয়তে থাকুক। keep it up বঙ্গবাহাদুর !!!


Spread the love

ঘুম

Spread the love

সবাই ক্লান্ত হয়ে ঘুমাতে যায় আর আমি ক্লান্ত হয়ে উঠে আসি বিছানা থেকে। এমন হলো কেন? সেই ছোট বেলায় রাতে ঘুমাতে যাবার সময় লাইটের সুইচ টা বন্ধ করে এক দৌড়ে চলে আসতাম বেডে। ভয় লাগত। কিন্তু একবার সাক্সেস্ফুলি বেডে পৌছাতে পারলে ঘুমিয়ে পরতে আর সময় লাগত না। চিন্তা করতাম বড় হলে আর ভয় থাকবেনা। তখন অনেক শান্তিতে ঘুমাব। চলে গেছে ভয়। কিন্তু সাথে করে নিয়ে গেছে শান্তিও। Insomnia, Depression, Anxiety এখন আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। আগে ঘুমের বড়ি কাজ করতো। এখন তাও করেনা। নিজেকে অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছি। এখন টিকে আছে শুধু শরীর নামের খোলসটা। শুধুমাত্র খাওয়া ছাড়া Read More


Spread the love

বিরক্তিকর

Spread the love

চোখ বুজে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনা। মা বকা দেয়। বলে আমি নাকি সারা দিন ঘুমাই। চোখ খুলতেই সামানে অস্বাভাবিক বিরক্তিকর পৃথিবীটা। যেখানে আমার জন্য আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বাইরে যেতে ইচ্ছা করেনা। গাড়ির হর্ন শুনলে সব কিছু ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা করে। নিস্তব্ধতা ভাল লাগে। অন্ধকার ভাল লাগে। আর ভাল লাগে সিগারেট। ভাল দিনগুলো চলে গেছে জীবন থেকে। শেষ কবে একটু ভাল বোধ করেছিলাম মনে করতেও কষ্ট হয়। পুরা মাথাটা ফরম্যাট দিয়ে Read More


Spread the love

অস্থির

Spread the love

প্রচণ্ড অস্থির লাগতেছে। আলো সহ্য হচ্ছেনা। তীব্র অন্ধকারে যেতে ইচ্ছা করতেছে। এখন আর কোন স্বপ্ন নেই। আশা নেই। বেঁচে থাকার জন্য বেঁচে থাকা। আমার প্রভু নিজেকে হত্যার অনুমতি দেয় না। অনুমতি দিলেও বোধ হয় সাহস হতো না। আমি জানি না মুক্তির উপায় কি। কোন কাজ করতে ইচ্ছা করেনা। শুধু স্থবির হয়ে বসে থাকতে ইচ্ছা করে। আমি ভয়ঙ্কর রকমের অসহায়। একাকীত্ব আমাকে ক্রমশ গিলছে। সৈকতে শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে খুব। সমুদ্রের গর্জন কতদিন শোনা হয় না। একদিন ঠিকই সমুদ্রের পাড়ে একটা বাড়ি থাকবে আমার। চিন্তা ভাবনা গুলো কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। আমার জীবনে কোন কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। ঠিক মতন মনে করতে পারিনা শেষ কবে একটু স্বাভাবিক ছিলাম। প্রচণ্ড কষ্ট হয়। কেন হয় জানি না। নিজের জীবনটারে একটা বিশাল বড় শুন্য মনে হয়।


Spread the love

তুমি যাকে ভালোবাসো

Spread the love

তুমি যাকে ভালোবাসো
স্নানের ঘরে বাস্পে ভাসো
তার জীবনে ঝড়

তোমার কথার শব্দ দূষণ
তোমার গলার স্বর
আমার দর্জায় খিল দিয়েছি
আমার দারুন জ্বর Read More


Spread the love

জঙ্গি সমস্যা এবং বিয়ে

Spread the love

ইসলামে নির্দেশ দেয়া আছে ছেলে মেয়েদের আগে ভাগে বিয়ে দেয়ার জন্য। আগে মনে করতাম আগে বিয়ে হলে নানা প্রকার কুঅভ্যাস দূর হয়। কিন্তু এখন দেখলাম বিয়ের আরও অনেক সামাজিক সুফল আছে। নিব্রাস ইসলাম নামের যেই ছেলেটি মারা পড়লো সে ছ্যাকা খাওয়া ছিল। তার টুইটারে ঢুকে নিশ্চিত হলাম। যদি ছেলেটির আগে ভাগে বিয়ে হইত তাইলে জঙ্গি হউয়ার ভূত কখনই তার মাথায় ঢুকতো না। বিয়ের পর মানুষের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। আর দুই একটা বাচ্চা কাচ্চা হইলে তো কথাই নাই। ছ্যাকা খাওয়ার পর ছেলেরা অনেক vulnerable থাকে। তখন তাদের ব্রেইনওয়াশ করাটা অনেক সহজ হয়ে পড়ে। বিবাহিত মানুষের জঙ্গি হওয়ার প্রবনতা অনেক কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আর্লি বিবাহ আমাদের সমাজে সহজভাবে নেয়া হয় না। আর্লি বিবাহ জঙ্গি সমস্যা প্রতিকারে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।


Spread the love

আমার রাস্তা আমার বাড়ি – অঞ্জন দত্ত

Spread the love

আমার রাস্তা আমার বাড়ি
আমার ফাটা দেয়াল
আমার পোড়া মনের অজস্র জঞ্জাল

ভাঙছে কেবল ভাঙছে
শুধু যাচ্ছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
আমার রাত্রি আমারই সকাল Read More


Spread the love

জ্বিন

Spread the love

শেষ ১ বছরে ৫৫ শিশু খুন। একজন মা কিভাবে পারলেন নির্লিপ্তভাবে গলায় ওড়না জড়িয়ে নিজের পেটের দুই শিশু কে হত্যা করতে? শিশু রাজনের হত্যার ভিডিও টি কি দেখেছেন ? কতো পৈচাসিক ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীর চোখে মুখে ছিল আদিম আনন্দ। সাধারন মানুষজন কেন এভাবে শিশু হত্যা করে চলছে? মনোবিজ্ঞানীরা বলে চলছেন তাদের গদবাধা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কথা। কিন্তু আসলেই কি তাই? যদি ঘটনাগুলার পিছনে কোন অতিপ্রাকৃতিক ব্যাখ্যা থেকে থাকে? আমার মনে হয় জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মানুষজন এই সব শিশু হত্যার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। শিশু রাজন হত্যাকারী এক সাক্ষাতকারে বলেছিল আমার উপর শয়তান ভর করছিল। আমি কোন হত্যাকারীর পক্ষ অবলম্বন করছি না কিন্তু সত্যি সত্যি যদি কিছু ভর করে থাকে তার উপর সেই সময়? জ্বিনেরা অনেক সময়েই এরকম অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অনেক পুস্তকে উল্লেখ আছে। কিন্তু আমরা অনেক স্মার্ট জাতি। নিজেদের মুসলমান বলি ঠিক কিন্তু কেউ জ্বিন নিয়ে কোন কথা বললে হেসে উরিয়ে দেই। আমার মনে হয় হত্যাকাণ্ড গুলো একই সুত্রে বাধা। জানি এটা নিয়ে কখনো কোন তদন্ত হবে না। কেউ বেইল দিবে না আমার এই কথার। কে জানে সামনে আর কি দেখতে হবে। শেষ জামানা চলে আসছে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন ।


Spread the love

মধ্যবিত্ত

Spread the love

মধ্যবিত্ত ৩:
মধ্যবিত্তের স্বপ্ন দেখতে নেই। খুব কম স্বপ্নই পূরণ হয় মধ্যবিত্তের। কিন্তু এই সহজ সত্যটা এরা মানতে পারে না। চিরকাল স্বপ্ন দেখে যায়। যখন নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শেষ হয়ে যায় তখন শুরু হয় সন্তানদের নিয়ে স্বপ্ন দেখা। ছোটবেলাতেই মধ্যবিত্তের ঘরের সন্তানদের কাধে চাপিয়ে দেয়া হয় পাহাড়সম স্বপ্নের বোঝা। কিন্তু যখন একটার পর একটা স্বপ্নগুলোর অপমৃত্যু ঘটতে থাকে তখন এরাও এক সময় অভ্যস্ত হয়ে যায়। নিজেকেই নিজে সান্ত্বনা দেয় হয় এমনটা , ব্যাপার না বলে। হয়তো নতুন কোন স্বপ্ন দেখা শুরু করে যদিও জানে সেইটাও ভেঙে যাবে একদিন। কিন্তু কিছুই করার থাকে না। এই সমাজে মধ্যবিত্তের মধ্যে প্রবল হতাশা বিরাজ করে। কিন্তু খুব কম সময়েই তারা তাদের হতাশা প্রকাশ করে থাকে। ব্যাপারনা, এমনটা হয়, কাল সব ঠিক হয়ে যাবে ইত্যাদি শব্দমালা তাদের নিত্য ভরসা। কখনোবা বালিশের আড়ালে মুখ চেপে একটু কেদে নেয়া। জীবনটা সব সময়েই অনেক বেশি ক্রুর আচরন করে মধ্যবিত্তের সাথে। কখনো স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট, কখনো না পাওয়ার কষ্ট, কখনো বা পেয়ে হারানোর কষ্ট। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কষ্টগুলো থেকেই মধ্যবিত্ত মানুষেরা বেঁচে থাকার প্রেরনা পায়, আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখে।


Spread the love