imrul-net

নিঃসঙ্গতা এবং নিস্তব্ধতার

Spread the love

নিঃসঙ্গতা আর নিস্তব্ধতার মাঝে যে একবার ডুব দেয় তাকে আর জনঅরণ্যে ফেরনো যায় না। তার শরীরটা হয়তো কাজের তাগিদে কিংবা সামাজিকতা রক্ষায় ঘুরে হাজারো মানুষের ভীড়ে কিন্তু মনটা পড়ে থাকে কোন একটা ছায়া ঘেরা কোণায়। কনক্রিটের জঙ্গলে সে খুজে বেড়ায় একটু নিস্তব্ধতা। শপিং মলের ঝলমলে আলো আর গাড়ির হর্ন অসহ্য যন্ত্রনার কারন হয়। কখনো কখনো নিজেকে সেই ডুবে যাওয়া জাহাজের সেই  যাত্রী  হিসেবে দেখতে ইচ্ছে করে যে কিনা ভাঙ্গা কাঠের টুকরো ধরে হাজির হয় জন মানব শুন্য  কোন দ্বীপে। যেখানে কড়কড়ে ছাপানো টাকা মূল্যহীন। নিজের নিঃসঙ্গতা যেখানে মিলে বিশাল নীল আকাশের মাঝে। যেখানে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন কম্পিটিশনে অংশ নিতে হয় না। জীবন মানে শুধু খাবারের সন্ধান  আর সন্ধায় রাতের তারা গোণা। আর আশায় বসে থাকা কখন কোন উদ্ধারকারী জাহজ আসবে। জাহাজ আর আসে না। না আসুক, জীবনটা তো আর মন্দ না সেখানে। না, হবে না এমনটা আমার সাথে। বাস্তবে ফিরে আসি মুহূর্তেই। স্বপ্ন, লক্ষ্য আর ফ্যান্টাসির মধ্যে অনেক পার্থক্য। দিনশেষে কোন হিসাব আর মেলে না।  মনে হয় কারো একটা টেলিফোন কলের জন্য অন্তহীন কাল ধরে অপেক্ষা  করছি। কল আর আসে না। কিন্তু জানি একদিন আসবে। ভয় হয় যদি ঘুমিয়ে থাকি সেদিন ? ধরা হবে না আর সেই কলটা। কাশতে কাশতে সিগারেটে একটা টান। তখন কষ্ট গুলা আর যন্ত্রনা দেয় না। কষ্ট আর ছায়ার কোন রঙ হয় না। ছায়া যেমন কখনো ছেড়ে যায়না, কষ্টেরাও যায়না। চোখের কয়েকটি পলকে হারিয়ে ফেলা শৈশব নাকি  প্রথম প্রেমের ব্যর্থতা কোনটা বেশি কষ্টের জানি না। সব কিছুই সমান যন্ত্রনা দেয়। তবে এখন মনে হয় যন্ত্রনাও কম উপভোগ্য বিষয় নয়। বেঁচে থাক যন্ত্রনারা , বেঁচে থাক কষ্টেরা । ওরাই প্রতিমুহূর্তে জানান দেয় বেচে থাকার।


Spread the love
আলাদিন

আলাদিন, জিনি ও অন্ধকারের গল্প

Spread the love

আলাদিন কি কখনো জিনির কাছে এমন কিছু চেয়েছিলো যেটা জিনি তাকে দিতে পারেনি? জিনি কি সব দিতে পারতো? জিনি সব দিতে বাধ্য ছিলো তার মালিক কে। কোন আদেশ পালন করতে ব্যর্থ হলে  জিনির কি মন খারাপ হত? উপকথায় শুধু আলাদিন আর রাজকুমারীর কথাই বার বার আসে। অথচ যে না থাকলে গল্পটাই লিখা হত না সেই জিনির কোন ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরিই নাই। কিভাবে জিনি ট্র‍্যাপড ছিলো একটা সামান্য প্রদীপে? নোবডি কেয়ারস আ্যবাউট জিনি। জিনির উপস্থিতি খুবিই গুরুত্ত্বপূর্ণ কিন্তু অংকের শেষে চিল করে আলাদিন আর রাজকুমারী। জিনির জায়গা হয় প্রদীপের অন্ধকার কুঠুরিতে। অথচ শুধুমাত্র জিনি কে নিয়েই হয়তো লিখা যেত হাজার পাতার কোন উপকথা। আসলে কোন গল্পের প্রধান চরিত্র হবার জন্য গ্ল্যামার টা খুব জরুরী। সেই গ্লামারটাই ছিলোনা তার। না, আমি জিনি না। জিনির মতন ক্ষমতা আমার নাই। কিন্তু কোন ফাকে যেন আলাদিন আর রাজকুমারীর রোমান্স ছাপিয়ে জিনির কষ্ট টাকেই চোখে পড়লো। আলাদিন কি কখনো জানতে চেয়েছিলো জিনি কেমন আছে ? কিংবা জিনির কি ইচ্ছা হয় ? এখনো হয়তো সেই প্রদীপের অন্ধকারে আটকে আছে জিনি। ওর চেয়ে বেশি আর কেইবা একাকীত্ব কে বুঝতে পেরেছিলো ? প্রদীপ টা হারিয়ে গেছে সমুদ্রের অতলে কিংবা পাহাড়ের নির্জন কোন গুহায় …………


Spread the love
images6

একটা কবিতা লিখবো তাই

Spread the love

একটা কবিতা লিখবো তাই রাতের ঘুমগুলোকে বিদায় দেই
দূরের শহরে চলে যায় ঘুমরাশি
শাবল চালাই পুরনো দুঃখ গুলোর কবরে
ব্যর্থতার আগাছারা ঢেকে রাখে সে কবরগুলোকে
টেনে বের করে নিয়ে আসি
লাশকাটা ঘরে নিয়ে একা একাই পোস্টমর্টেম করি
বহুকাল আগেই মরে যাওয়া দুঃখেরা চেয়ে থাকে নির্বাক
ওদের চোখ গুলো যেন মৃত মাছের চোখ
এতকাল মাটিচাপা থেকেও পচে যায়নি
ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকি আমি , একটা কবিতা লিখবো তাই
না, কবিতা আর লিখা হয় না আমার
সাঁড়াশি দিয়ে পেটের ভিতর থেকে থেকে
টেনে বের করে আনতে ইচ্ছা করে সব শব্দরাশি
পারিনা, কোন ভাবেই পারিনা, কিছুতেই পারিনা
কল্পনায় জোর নেই, অন্তঃশব্দে মিল নেই
ব্যর্থতার প্লাবনে হারিয়ে যাওয়া আমার আর কবি হওয়া হবে না
অন্তত এই জন্মে, হয়তো পরের জন্মে কবি হব
সত্যি সত্যি কবি হব কিন্তু
হয়তো রবীন্দ্রনাথ, নজরুল কিংবা শামসুর রেহমান হতে পারবোনা
কিন্তু আমাকে ফেলেও দিতে পারবেনা তখন বাতিলের খাতায়
ভালোবাসবে আমাকে কিংবা ঘৃনা করবে, কিন্তু অবহেলা করতে পারবেনা
লোকে আমাকে ভালো বলবে নতুবা খারাপ Read More


Spread the love

ডিসেম্বর এর শহরে – December’er Shohorey || With Love, Calcutta OST

Spread the love

ডিসেম্বর এর শহরে
চেনা শুভেচ্ছা চেনা সেলফোন,
ডিসেম্বর এর শহরে
সবই নিয়নের বিজ্ঞাপন
ডিসেম্বর এর শহরে
চেনা বন্ধু চেনা নিকোটিন
ডিসেম্বর এর শহরে
ভালোবাসা যেন পোর্সেলিন
তারা জানেনা মুখচোরা পার্টিতে
তোর সাজানো হাসির মানে
সস্তার রাম যখন রাখছে হিসেব
তোর বেহিসাবি অভিমানের Read More


Spread the love
2248705010_a5c4ed60aa

ঘুম, কষ্ট ও অন্যান্য

Spread the love

আমি চাইনি কখনো জিততে
তবু হয়েছি হিস্যা অসংখ্য প্রতিযোগিতার
চুপ চাপ দাঁড়িয়ে দেখে গেছি অন্যের বিজয়োল্লাস
হিংসা হয়নি, হয়েছি ত্যাক্ত, বিরক্ত
বার বার ফিরে যেতে চেয়েছি ফেলে আসা শৈশবে
যেখানে দৌড়ে পার পার হয়ে যেতাম সবুজ মাঠ
সকাল বেলা কুয়াশা ভেজা মাটি থেকে কুড়াতে চেয়েছি বকুল ফুল
বিকেল বেলায় দু’টাকার চীনাবাদাম
সন্ধ্যেয় বাবার বকা খেয়ে সোজা টেবিল চেয়ারে
রাতে ঘুমের আগে চোখ বন্ধ করলেই জগতটা আমার
সেখানে আর কেউ রাজত্ত্ব করতে পারে না
রাজকার্য পরিচালনা করতে করতে কখন যে এক গাদা ঘুম চলে আসতো
এখন তো ঘুমও কিনতে হয় চড়া দরে
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন হাতে ফার্মেসিতে পাতা পাতা ঘুম কিনি
তারপর বিছিনায় তেতো হয়ে যাওয়া জিহবায় দাত ঘষি Read More


Spread the love

কপালের ভাঁজে গাড়ি চলে সারারাত – Kopaler Bhanje | Piya Chakraborty | Anupam Roy

Spread the love

কপালের ভাঁজে গাড়ি চলে সারারাত
চাকার আঘাতে খানিকটা উঁচু নিচু
অহঙ্কার টা চিরদিন ই রয়ে গেল
তাই চোখের আড়ালে থেকে গেল কত কিছু

কারোর পায়ের শব্দ আমি মনপ্রাণ দিয়ে চাইছি
নিশ্বাস তুমি ফিরে যাও, আমি যন্ত্রনা ভালবাসছি
তাই ঝড়ের কাছাকাছি এই কাতর বিবরণ
এরপরেও জেগে থাকে এই পাথরকুচি মন Read More


Spread the love

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর – ঋতুপর্ন ঘোষ

Spread the love

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে ,
চৌকোণও সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাক সে
মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে ।

মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পারি
পাগদন্দি পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ি ,
বাগান শেষে সদর দোয়ার বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি ,
সেথায় এসে মেঘ পিওনের সমস্ত ব্যাগ খালি ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা । Read More


Spread the love

বেঁচে আছি

Spread the love

মৃত স্বপ্নগুলোকে শ্মশানে দাহ করতে করতে বলি বেঁচে আছি
মরে যাওয়া আশার কফিনে পেরেক ঠুকতে ঠুকতে বলি বেঁচে আছি
এক কখনো না জেতা চির পরজিত সেনাপতির মতন জীবন যার
জিতবে না জেনেও যাকে চালিয়ে জেতে হয় যুদ্ধ
বৃষ্টির দু-ফোটা জলে আশায় উপরে তাকালেই সে দেখে আজস্র শকুন
উড়ে বেড়ায় তার মৃতপ্রায় শরীরের মাংশের আশায়
ঘন গহীন  ভাঙ্গা কনক্রিটের জঙ্গলে তার শিবির
এই জীবনকে সে চায়নি, এই জীবনই তাকে বেছে নিয়েছে
নিঃসঙ্গ জঙ্গলে তার বন্দি জীবন
মুক্তির গান শুনে যায় দিন রাত কিন্তু দিন শেষে তাও মরিচিকা


Spread the love
imrul-mens-day

পুরুষ

Spread the love

পুরুষ শব্দটাই অনেক মেয়ের কাছে নোংরা। কি চায় এই পুরুষেরা ? শুধু দেহ ? ভোগ করে ছেড়ে দিতে ? নাকি একসাথে অনেকগুলো নারীর সাথে সম্পর্ক করতে ? তারা মুদ্রার একটি পিঠই দেখেছেন শুধু। দোষ দিবোনা , জীবনের অনেক বাজে অভিজ্ঞতাই হয়তো তাদের এমন ধারনা দেয়। দৈহিক চাহিদার চেয়েও একজন পুরুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক চাহিদা। দিন শেষে সে একটা আশ্রয় চায়। কষ্ট গুলার কথা বলতে চায় কাউকে। যে শুনবে মন দিয়ে। তারপরে হাত ধরে বলবে Everything’s Gonna Be Alright.. You are doing your best. হাজারটা বিজনেস কলের মাঝেও একটা কল আসবে যখন মোবাইলের ওপাশ থেকে কেউ জিগ্যেস করবে দুপুরে খেয়েছে কিনা? হাতে সিগারেট দেখে কেড়ে নিয়ে বলবে আজকে কয়টা হোল? আর নয়। জীবনের সব গুলো অনিশ্চয়তা একটু সরিয়ে রেখে কারো কোলে মাথা রেখে একটু নিশ্চিন্ত হতে চায়। ইভ টিজিং এর শিকার নারীর সংখ্যার তুলনায় ইভ টিজিং এর প্রতিবাদ করে নিহত কিংবা আহত হওয়া পুরুষের সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়। স্যাক্রিফাইস কি শুধু মেয়েরাই করতে জানে? নারীরা মায়ের জাত সো স্যাক্রিফাইস বিষয়টা তাদের জেনেটিক। বাইরে নয়, নিজেদের মায়ের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তাদের ত্যাগের সক্ষমতা সম্পর্কে। তার মানে কি পুরুষ জাতটা শুধু ভোগ বিলাসেই ব্যস্ত কিংবা খুব স্বার্থপর ? নিজেদের পিতার স্যাক্রিফাইস গুলার কম অংশই আমরা জানি। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু প্রত্যেকটা জায়গায় নিরবে, পরিবারের অজান্তে তারা কত ধরনের আপোষ করে চলে। নিজেরাও সেটার হিসাব জানে না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের শিকার অনেক নারী। কিন্তু বিয়ের প্রোলভনে ধর্ষনের শিকার পুরুষকে কে দেখে? ৫/৭ বছর প্রেম করে যখন মেয়েটা একটা আমেরিকা প্রবাসী পাত্রকে বিয়ে করে, আর ছেলেটা মাথা নুইয়ে সেটা মেনেও নেয়, বিশ্বাস করেন সেখানে ধর্ষিত হয় পুরুষ। কিন্তু তথাকথিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সেটার বিচার করবে কে? না, কেউ না। এটা মেনে নিয়েই তাকে পথ চলতে হয়। একজন নারি তার ক্যারিয়ারে সফল হোক বা না হোক সেটা নিয়ে তাকে জীবনে খুব বেশি দুঃখিত না হলেও চলে, ইউরোপ আমেরিকা প্রবাসী কোন না কোন পাত্র তার জন্য অপেক্ষা করছে অথবা কোন বাড়িওলার সুপুত্র (!)। সফল ক্যারিয়ার গড়তে না পারলে কিনবা বাপ জানের অঢেল সম্পত্তি না থাকলে একজন পুরুষের জীবন যে কত খানি দুর্বিষহ হয় সেটা একমাত্র সেই জানে। ঘটনা যাই হোক গতকাল ছিল International Men’s Day !! সো জগতের

Read More


Spread the love