imrul-blog

মধ্যবিত্তের প্রেম

Spread the love

মধ্যবিত্তের জীবনে প্রেম টা ভয়ঙ্কর রকমের একটা উভয় সংকট। কাউকে কখনো ভালো লেগে গেলে সেত আরেক যন্ত্রনা। না যাবে বলা, না যাবে সওয়া। বলতেও ভয়, ওপাশের উত্তরটা যদি না হয় বিপদ, হ্যা হলে আরো বড় বিপদ। এমনেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তার মধ্যে আরেকজন যদি চলে আসে জীবনে? কিভাবে মিলিয়ে চলবে? ওভারথিংকিং  যদি কোন আর্ট হয় তাইলে  মধ্যবিত্তের চেয়ে আর কোন সমাজে এই আর্টের বেশি আর্টিস্ট নাই। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি। হাজারটা শঙ্কায় সারাক্ষণ তটস্থ , তার উপরে যদি প্রেম নামের গজবটা পড়ে তাইলেই ষোলকলা পুর্ন। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত ছেলের প্রেম তাই হয় কল্পনায়। সেইখানেই ঘুরে বেড়ায় সে তার ভালোবাসার সাথে। সেই মানুষটার হাসিটাই হয়তো তার মানিব্যাগের শেষ সম্বল। কে চায় প্রিয়োজনের সাথে নরকে থাকতে ? মধ্যবিত্তের বাসই যে বাস্তবতার নরকে।  কল্পনাই একমাত্র এসকেপ রুট! আরো একটা এসকেপ রুট আছে, ঠিক ধরেছেন গলায় দড়ি কিংবা সায়ানাইড। কিন্তু ওটা বেশি এক্সট্রিম। সবাইতো আর এক্সট্রিমিস্ট না। এক্সট্রিমিস্ট হতে চাইলেও পারা যায় না। যন্ত্রনার পাহাড়ের চূড়ায় কিন্তু চোখের জলের ফোঁটা গুলোই তারাদের রিপ্লেসমেন্ট।

বরফগলা বাস্তবতায় , বৃষ্টি কেন চোখের পাতায় ?


Spread the love

চুরি যায় – দ্বিখণ্ডিত -Dwikhondito – Anwesha Duttagupta

Spread the love

Song: Churi Jay
Singer: Anwesha Duttagupta
Music: Arup Bhattacharya
Lyrics: Sudipto Chatterjee
Arranger/Programmer: Avijit Chakraborty
Recording Studio – Studio Kaan Mixing & Mastering Engineer
Debojit Sengupta

চুরি যায় বেদুঈনের রোজ চোরাবালি
বাসে আমি একা বসে পাশের সিটটা খালি
নোনা পুকুর ট্রাম ডিপো, নোনা ধরা তার দেয়াল Read More


Spread the love
রঙিন ছায়া

রঙিন ছায়া

Spread the love

ছায়ারা কখনও রঙিন হয় না, রঙিন হলে সেটা ছায়া হয়না। হয়তো অন্য কোথাও ছায়ারা রঙিন। রহস্যে ঘেরা সোনার শহর এল-ডোরেডো কিংবা মরুভূমির ইরাম নগরীতে হয়তো ছায়ারা কালারফুল। তাই এই জায়গাগুলো কখনও খুজে পাওয়া যায় না। যারা এল-ডোরাডো খুজতে গিয়ে কখনো ফিরে আসেনি তারা কি আসলেই খুজে পেয়েছিলো সেই শহর? অ্যামাজনদের বিখ্যাত ফাউন্টেন অফ ইউথ এর  লোভে পড়ে আর হয়তো ফিরে আসেনি তারা।  স্যাটেলাইটের যুগে সহজেই বলে দেয়া যায়, পৃথিবীর কোথায় কি আছে , কি নেই। তাই এহন এখানে আর এক্সপ্লোরিং সম্ভব না। এক্সপ্লোরিং হবে স্পেসে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে ।  ভর হিসাব হবে, নিউট্রন স্টারের আর ব্লাক হোলের। এল-ডোরাডো আর ইরাম নগরীর বর্ণনা খুজতে হবে উপকথায়। হয়তো আমাদের চোখের কোনায় লুকিয়ে আছে জায়গা গুলো। প্রাচীন কালে যারা এই সমস্ত জায়গার কথা বলে গেছে তাদের কি শুধুই গাজার হ্যলুসিনেশন ছিলো ? বাকি সত্যি দর্শন করেছিলো ? কে জানে। জানতে ইচ্ছা করে। স্পেসে হারাইতে চাই না। উচ্চতাকে যে বড় ভয় আমার। সেটা স্পেসশীপ থেকে হোক, কিংবা এরোপ্লেনে। হাসান রাজা বলছিলে ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপরে’ । দেখতে হলে চোখ বন্ধ করতে হবে। কত আজীব ব্যাপার। Read More


Spread the love
Ghure-Takao-ঘুরে-তাকাও-Shah-Jahan-Regency-Abir-Rittika-Anupam-Roy-Srijit-Mukherji-SVF

কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি | Aloy Phera Hoyni Badsha | Debojyoti Mishra | Brishti Tomakey Dilam

Spread the love

কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি
কতদিন ডাকিনি তোমায় ডাক নামে
ঘুমের গভীরে বয়ে চলা নির্জনতা আজ
দেখা হয়নি তোমার সাথে।
রং পেনসিল আর বৃষ্টির গুঁড়ো
আঁকেনি তোমার মুখ
কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি।

দু’চোখ ভিজিয়ে আর জাগে নি শহর
ঘুমের কোণেতে মাথা রেখে
আলোর ছায়ারা মেঘ হয়ে জানালায়
ঘষা কাঁচে যায় জন্মের দাগ রেখে
কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি। Read More


Spread the love

পারছি তো খুব – অনুপম রায়

Spread the love

তোমার বুকে বার বার মরে,
বাঁচার জন্য লড়ছি
কোন সে পাপের পাহাড় বুকে,
কিসের দায়ে গড়ছি
বাঁচাটাই তো মুখ্য তবে,
নেই মরণের মূল্য
প্রশ্নটাই করেই গেলাম,
মন টানা মুখ খুললো ।

চোখ মুছে যাই, জল না তো পাই
দৃষ্টি যেন কাঁদে ।
একজীবনে এতবার মরা,
একটু বাঁচার সাধে । Read More


Spread the love
.png

বাল ও কিছু কথা

Spread the love

প্রত্যেক ভাষাতেই কিছু এক্সট্রিম স্ট্রেস রিলিফ ওয়ার্ড থাকে। সেই শব্দগুলো তীব্র হতাশার কিনবা বিরক্তির মুখ দিয়ে স্বত:স্ফূর্ত ভাবে বের হয়ে আসে। খুব আশ্চর্যজনক ভাবে সেই শব্দ উচ্চারণ করা মাত্রই স্ট্রেস কিংবা বিরক্তির লেভেল আপনা-আপনি অনেকাংশে কমে যায়। ইংরেজিতে এমন একটি শব্দ আছে শিট (Shit)। আমরা অনেক সময়েই শিট বলে ফেলি । আমাদের বাংলা ভাষাতেও এই রকম কিছু শব্দ আছে। কিন্তু একটা এমন শব্দ আছে যেটাকে কিনা আমি বলবো একটা মিরাকল ওয়ার্ড। এই শব্দতার ক্ষমতা অবিশ্বাস্যজনক ভাবেই অনেক বেশি। প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম, স্লো ইন্টারনেট, হ্যাং হওয়া মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের উপর বিরক্ত হয়ে ,  একটা ওয়ার্ড ই আমাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসে, হা ঠিক ধরেছেন – ‘বাল’। ঘটনা যতই দুর্ভাগ্যজনক কিংবা হতাশাজনক হোকনা কেন, সিমপ্লি এই ‘বাল’ উচ্চারণ করার সাথে সাথে দেখবেন ভালো অনুভব করছেন। অদ্ভুত এক অলৌকিক শক্তি যেন আছে এই শব্দের ভিতরে। আমার মনে হয় না পৃথিবীর আর কোন ভাষায় এমন কোন শব্দ রয়েছে। ইংরেজিতে যতই  ‘Holy cow’, ‘Shit’ কিংবা ‘Fuck’  বলুন না কেন বাংলা ‘বাল’ এর সমকক্ষ কিছুই নাই। আমার মাঝে মাঝে অনেক অহংকার হয় যে আমাদের ভাষায় এমন একটি শক্তিশালী শব্দের উপস্থিতি রয়েছে। মানসিক অবস্থার উপর এই শব্দের প্রভাব অপরিসীম। তীব্র ট্রাফিক জ্যমের ঢাকা শহর অথবা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যখন ভয়ঙ্কর হতাশার কারন হয় তখন নিজের অজান্তেই মুখ চিরে বেড়িয়ে আসা ‘বাল’ শব্দটা আমাদের পরস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে বেশ সাহায্য করে। বালের দেশ, বালের জীবন , বালের জ্যাম, বালের ঢাকা এই সমস্ত শব্দ এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী।  তাই আমাদের দেশে জীবনের সংজ্ঞাটা একটু ভিন্ন। নচিকেতার ভষায় একটু পরিবর্তন করে বলতে হয় :

প্রতিদিন ঘরে ফিরে , অনেক হিসেব করে
এই বালের জীবন চাইনা তা বলাই জীবন


Spread the love
imrul-net

নিঃসঙ্গতা এবং নিস্তব্ধতার

Spread the love

নিঃসঙ্গতা আর নিস্তব্ধতার মাঝে যে একবার ডুব দেয় তাকে আর জনঅরণ্যে ফেরনো যায় না। তার শরীরটা হয়তো কাজের তাগিদে কিংবা সামাজিকতা রক্ষায় ঘুরে হাজারো মানুষের ভীড়ে কিন্তু মনটা পড়ে থাকে কোন একটা ছায়া ঘেরা কোণায়। কনক্রিটের জঙ্গলে সে খুজে বেড়ায় একটু নিস্তব্ধতা। শপিং মলের ঝলমলে আলো আর গাড়ির হর্ন অসহ্য যন্ত্রনার কারন হয়। কখনো কখনো নিজেকে সেই ডুবে যাওয়া জাহাজের সেই  যাত্রী  হিসেবে দেখতে ইচ্ছে করে যে কিনা ভাঙ্গা কাঠের টুকরো ধরে হাজির হয় জন মানব শুন্য  কোন দ্বীপে। যেখানে কড়কড়ে ছাপানো টাকা মূল্যহীন। নিজের নিঃসঙ্গতা যেখানে মিলে বিশাল নীল আকাশের মাঝে। যেখানে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন কম্পিটিশনে অংশ নিতে হয় না। জীবন মানে শুধু খাবারের সন্ধান  আর সন্ধায় রাতের তারা গোণা। আর আশায় বসে থাকা কখন কোন উদ্ধারকারী জাহজ আসবে। জাহাজ আর আসে না। না আসুক, জীবনটা তো আর মন্দ না সেখানে। না, হবে না এমনটা আমার সাথে। বাস্তবে ফিরে আসি মুহূর্তেই। স্বপ্ন, লক্ষ্য আর ফ্যান্টাসির মধ্যে অনেক পার্থক্য। দিনশেষে কোন হিসাব আর মেলে না।  মনে হয় কারো একটা টেলিফোন কলের জন্য অন্তহীন কাল ধরে অপেক্ষা  করছি। কল আর আসে না। কিন্তু জানি একদিন আসবে। ভয় হয় যদি ঘুমিয়ে থাকি সেদিন ? ধরা হবে না আর সেই কলটা। কাশতে কাশতে সিগারেটে একটা টান। তখন কষ্ট গুলা আর যন্ত্রনা দেয় না। কষ্ট আর ছায়ার কোন রঙ হয় না। ছায়া যেমন কখনো ছেড়ে যায়না, কষ্টেরাও যায়না। চোখের কয়েকটি পলকে হারিয়ে ফেলা শৈশব নাকি  প্রথম প্রেমের ব্যর্থতা কোনটা বেশি কষ্টের জানি না। সব কিছুই সমান যন্ত্রনা দেয়। তবে এখন মনে হয় যন্ত্রনাও কম উপভোগ্য বিষয় নয়। বেঁচে থাক যন্ত্রনারা , বেঁচে থাক কষ্টেরা । ওরাই প্রতিমুহূর্তে জানান দেয় বেচে থাকার।


Spread the love
আলাদিন

আলাদিন, জিনি ও অন্ধকারের গল্প

Spread the love

আলাদিন কি কখনো জিনির কাছে এমন কিছু চেয়েছিলো যেটা জিনি তাকে দিতে পারেনি? জিনি কি সব দিতে পারতো? জিনি সব দিতে বাধ্য ছিলো তার মালিক কে। কোন আদেশ পালন করতে ব্যর্থ হলে  জিনির কি মন খারাপ হত? উপকথায় শুধু আলাদিন আর রাজকুমারীর কথাই বার বার আসে। অথচ যে না থাকলে গল্পটাই লিখা হত না সেই জিনির কোন ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরিই নাই। কিভাবে জিনি ট্র‍্যাপড ছিলো একটা সামান্য প্রদীপে? নোবডি কেয়ারস আ্যবাউট জিনি। জিনির উপস্থিতি খুবিই গুরুত্ত্বপূর্ণ কিন্তু অংকের শেষে চিল করে আলাদিন আর রাজকুমারী। জিনির জায়গা হয় প্রদীপের অন্ধকার কুঠুরিতে। অথচ শুধুমাত্র জিনি কে নিয়েই হয়তো লিখা যেত হাজার পাতার কোন উপকথা। আসলে কোন গল্পের প্রধান চরিত্র হবার জন্য গ্ল্যামার টা খুব জরুরী। সেই গ্লামারটাই ছিলোনা তার। না, আমি জিনি না। জিনির মতন ক্ষমতা আমার নাই। কিন্তু কোন ফাকে যেন আলাদিন আর রাজকুমারীর রোমান্স ছাপিয়ে জিনির কষ্ট টাকেই চোখে পড়লো। আলাদিন কি কখনো জানতে চেয়েছিলো জিনি কেমন আছে ? কিংবা জিনির কি ইচ্ছা হয় ? এখনো হয়তো সেই প্রদীপের অন্ধকারে আটকে আছে জিনি। ওর চেয়ে বেশি আর কেইবা একাকীত্ব কে বুঝতে পেরেছিলো ? প্রদীপ টা হারিয়ে গেছে সমুদ্রের অতলে কিংবা পাহাড়ের নির্জন কোন গুহায় …………


Spread the love
images6

একটা কবিতা লিখবো তাই

Spread the love

একটা কবিতা লিখবো তাই রাতের ঘুমগুলোকে বিদায় দেই
দূরের শহরে চলে যায় ঘুমরাশি
শাবল চালাই পুরনো দুঃখ গুলোর কবরে
ব্যর্থতার আগাছারা ঢেকে রাখে সে কবরগুলোকে
টেনে বের করে নিয়ে আসি
লাশকাটা ঘরে নিয়ে একা একাই পোস্টমর্টেম করি
বহুকাল আগেই মরে যাওয়া দুঃখেরা চেয়ে থাকে নির্বাক
ওদের চোখ গুলো যেন মৃত মাছের চোখ
এতকাল মাটিচাপা থেকেও পচে যায়নি
ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে থাকি আমি , একটা কবিতা লিখবো তাই
না, কবিতা আর লিখা হয় না আমার
সাঁড়াশি দিয়ে পেটের ভিতর থেকে থেকে
টেনে বের করে আনতে ইচ্ছা করে সব শব্দরাশি
পারিনা, কোন ভাবেই পারিনা, কিছুতেই পারিনা
কল্পনায় জোর নেই, অন্তঃশব্দে মিল নেই
ব্যর্থতার প্লাবনে হারিয়ে যাওয়া আমার আর কবি হওয়া হবে না
অন্তত এই জন্মে, হয়তো পরের জন্মে কবি হব
সত্যি সত্যি কবি হব কিন্তু
হয়তো রবীন্দ্রনাথ, নজরুল কিংবা শামসুর রেহমান হতে পারবোনা
কিন্তু আমাকে ফেলেও দিতে পারবেনা তখন বাতিলের খাতায়
ভালোবাসবে আমাকে কিংবা ঘৃনা করবে, কিন্তু অবহেলা করতে পারবেনা
লোকে আমাকে ভালো বলবে নতুবা খারাপ Read More


Spread the love

ডিসেম্বর এর শহরে – December’er Shohorey || With Love, Calcutta OST

Spread the love

ডিসেম্বর এর শহরে
চেনা শুভেচ্ছা চেনা সেলফোন,
ডিসেম্বর এর শহরে
সবই নিয়নের বিজ্ঞাপন
ডিসেম্বর এর শহরে
চেনা বন্ধু চেনা নিকোটিন
ডিসেম্বর এর শহরে
ভালোবাসা যেন পোর্সেলিন
তারা জানেনা মুখচোরা পার্টিতে
তোর সাজানো হাসির মানে
সস্তার রাম যখন রাখছে হিসেব
তোর বেহিসাবি অভিমানের Read More


Spread the love