দুঃখবিলাসের ব্যাবচ্ছেদ
ম্যানকাইন্ড তথা মানুষ্যজাতি সবচেয়ে উপভোগ করে কোন বিষয়টা ? উপভোগ করার মত জিনিষের কি অভাব আছে? সফলতা, ক্ষমতা, মদ, সেক্স , ড্রাগস সহ হাজারো জিনিস। এই সব কিছুই উপভোগ করার জিনিষ। কারো ভালোলাগে নারীসংগ কারো বা ক্ষমতা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে মানুষ সব চেয়ে বেশি উপভোগ করে নিজের দুঃখ গুলো। সম্ভবত এই জন্যই দুঃখবিলাস শব্দটার উৎপত্তি। বাংলা সাহিত্যের সব চেয়ে বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস কোনটা? উত্তরটা সম্ভবত দেবদাস। আর ইংরেজি সাহিত্যে? ঠিক ধরেছেন রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট। দুটোই কিন্তু ট্রাজেডি। দুঃখের উপন্যাস যত সহজে মনকে নাড়া দিতে সক্ষম একটা হ্যাপী এন্ডিং এর বই কি ঠিক ততটা পারে? শুধু প্রেমের গল্পই না, যদি জীবনের অন্য দুঃখ গুলোর দিকে তাকান, সেখানেও দেখা যাবে বাজারে দুঃখের গল্পের জয়। লা মিজেরাবেল ফারাসি সাহিত্যের সর্বাধিক পঠিত উপন্যাস গুলোর একটা। এটার ভিতর যেন দুঃখের একটা সুবিশাল খনি। একটু ভেবে দেখুন তো টাইটানিক সিনেমায় নায়কের মৃত্যু না হলে সেটা কি আপনার মনে গেথে থাকতো ? ম্যাক্সিম গোর্কির মা বইটার পাতায় পাতায় সম্ভবত দুঃখের জলছাপ। সত্যি বলছি দুঃখের মতন উপভোগ অন্য কোন কিছুকে করা সম্ভব না। কখনোই না। গভীর রাতে লঞ্চের ডেকে চাঁদের দিকে তাকালে কিংবা সমুদ্রের কিনারে Read More
c/o স্যার
শুধু মাত্র শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের অতিমানবিক অভিনয়ের জন্যও সিনেমাটা কয়েকবার দেখা যায়। অন্ধ হয়ে যাওয়া একজন সামান্য স্কুল টিচার কিন্তু তার অন্তর্দৃষ্টি আসে পাশে মানুষগুলোর চেয়ে অনেক গুনেই বেশি। থ্রিলার ধাচের সিনেমাটায় নেই কোন বড় ক্লাইম্যাক্স, মারামারি কিংবা খুব বড় কোন প্লট। একজন অন্ধ স্কুল টিচারকে নিয়ে কতোটুকই বা আগানো যায়? কিন্তু কৌশিক গাঙ্গুলির মুভি বলে কথা। দুর্দান্ত কিছু ক্যামেরা শটস সাথে একজন অন্ধ মানুষের ক্রমান্বয়ে সব কিছু হারিয়ে ফেলা। শেষ সম্বল স্কুলটা। যেটাও তার নিজের নয়। এতো কিছু সত্ত্বেও যেন হার মানতে নারাজ জয়ব্রত (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়)। কিছুতেই তিনি স্কুলটাকে শহর থেকে আসা ক্যাপিটলিস্টদের হাতে তুলে দিবেন না। মডার্ন বড় স্কুল বলে কিছু হয়না। তাই এক সময় জয়ব্রতের কন্ঠে ফুটে উঠে “বড় স্কুল বলে কিছু হয় না। All you need is a blackboard and a teacher.” । ফলে গোটা স্কুল কর্তৃপক্ষ, উন্নয়ন ব্যবসায়ীরা এবং স্থানীয় স্বার্থচক্র এক দিকে, অন্য দিকে একা, অন্ধ ও অনড় জয়ব্রত। কতক্ষন ধরে লড়বেন একা?
শুরুর দৃশ্য থেকেই পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফারকে কুর্ণিশ, শাশ্বতর চাঁচাছোলা মুখ সামনের চেয়েও বেশি সাইড অ্যাঙ্গল থেকে দুর্দান্তভাবে শুট করার জন্যে। ফায়ারপ্লেসের পটভূমিকায় কালো চশমা পরে কানে ফোন ধরা শাশ্বতর শট অসাধারণ। গল্পের শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি শিক্ষক জয়ব্রত রে, রায় নন। পাহাড়ের বয়েজ স্কুল, তার মধ্যে দারুণ সুন্দর এক কটেজ, ঝকঝকে দৃশ্যাবলী আপনাকে ছবিটা দেখতে বেশ আগ্রহী করে তুলবে।
ছবিতে একবারের জন্যেও মনে হয়নি তিনি অভিনয় করছেন, একবারের জন্যেও মনে হয়নি তিনি অন্ধ নন। হাঁটাচলা থেকে তাকানো এবং ডায়লগ ডেলিভারি অসামান্য। রাইমা সেন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ অভিনয় এবং ইউনিক উচ্চারণ নিয়ে চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে গেছেন।
The Telegraph এর সমালোচনায় দেখলাম বরুণ চন্দ লিখেছেন, ‘He has stopped acting. He is Jayabroto Ray.’
Read More
শহরটা জানে
সত্যিই কি বেচে আছি ? শ্বাস নেয়া মানেই কি বেঁচে থাকা ? স্যাতস্যাতে ভেজা এঁদো গলিতে কিংবা ফকফকা রোদে ঝিলমিল করা দুপুরে কোন ফুটভারব্রীজের উপরে দাড়িয়ে হটাত ভিজে ওঠা চোখ আর কেউ দেখেনি আমার শহরটা ছাড়া। আমার মনে হয় শহরটারও প্রাণ আছে। সব দেখে সে। সব বুঝে। কিছু বলতে পারেনা। বোবা একটা প্রাণী যেন আমার এই শহরটা। প্যারিসের মতন আর্টের পসরা নেই এই শহরে। চোখে খুলে যদি দেখো সর্বত্র হাহাকার। ফিটফাট সাদা শার্ট আর টাই পরে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেসেন্টিভ এর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা কোন বড় ডাক্তারের সাথে একটা ৫ মিনিটের একটা সাক্ষাতের জন্য। প্রিমিও গাড়িতে চড়ে এসি খেতে খেতে ঢাকা শহরের জ্যামকে গালি দেয়া তুমি জানো সেই রিপ্রেসেন্টিভ এর কষ্ট ? জানো না তুমি। কান্না চেপে রেখে মুখে হাসির রেখা তার। কিন্তু আমার শহর জানে। সেই জীর্ন-শীর্ন একটা বুড়ো কে কখনো দেখেছো রাস্তায় একটা আমলকির ঝাকার সামনে ঝিমাতে ? দুপুর গড়িয়ে গেল কিন্তু কিছুই বিক্রি হয়নি তার। লেটেস্ট মডেলের আইফোন আর ক্যাটস আইয়ের টিশার্ট পরা তুমি শহরটাকে নোংরা বলে ঠিকই পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছো সেই বুড়োকে। তার দীর্ঘশ্বাস তুমি শোননি। আমার শহরটা শুনেছে। এই শহর চাইলেই সিঙ্গাপুর কিংবা লন্ডন হতে পারবেনা। এত হাহাকার আর কষ্ট বুকে নিয়ে শহরটার সামর্থ্য নেই লাস ভেগাসের মতন অপরূপ রুপে সাজবে। এই শহরের সৌন্দর্য তার চেপে রাখা কষ্টে, নোংরা গলিতে সারা জীবনের সব সার্টিফিকেট হাতে চাকুরী না পাওয়া বেকার ছেলেটার গোল্ডলিফের টানে। বসুন্ধরা সিটি কিংবা যমুনা ফিউচার পার্কের ঝলমলে আলোতে তুমি এই শহরকে খুজোনা, পাবেনা। ভেবোনা এই শহরটা কোন নরক। নরক ভয়ঙ্কর। শহরটা বিষন্ন। খুব বিষন্ন। দীর্ঘশ্বাসে ভারী এখন এই শহরের বাতাস। বাতাসের দূষন তো খুব সহজেই মেপে ফেলো তুমি। গড়গড় করে বলে দাও এই শহরের বাতাসে শীসার পরিমান, কার্বন্ডাইওক্সাইডের পরিমান, আরো কত কি। বিষন্নতা কি মাপতে পারো তুমি কিংবা তোমার সাইন্স? দীর্ঘশ্বাসে বাতাস কত ভারী হলো সেটার খবর কে রাখে? কেউ না। তারপরো আমার শহর ভালবাসতে জানে। আমি শহরটাকে ভালোনাবাসলেও শহরটা ঠিকই আমাকে ভালোবাসে। তোমাকেও ভালোবাসে। তুমি জানোনা। না জানাটা দোষের না। সব কিছু জানতে হয় না। সব কিছু জানতে নেই।
দেখা হবে
তোর সাথে আমার আবার একদিন দেখা হবে
কোন আলো ঝলমল করা শপিং মলে না
হয়তো হাইওয়ের পাশে কোন চায়ের দোকানে
স্বামীর কাছে বায়না ধরে রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে
রেডিও তে বাজছে কোন অনুরোধের গান
তখনই হয়তো আমার চোখে চোখ পড়বে তোর
জানি সুন্দর ভাবেই এড়িয়ে যাবি
আমার বুকটাও হয়তো একটু কেঁপে উঠবে
পরক্ষনেই সব ঠিক, হাতে সেই করা লিকারের চা
সাথে সস্তা একটা সিগারেট
তুই তো চলেই যাবি, দামি গাড়িতে চড়ে
আমিও সিগারেটটা শেষ হতেই উঠে পড়বো
এখনো যে সেই দুই চাকার সাইকেলেই পড়ে আছি
ছেঁড়া জিন্স, পাতলা টিশার্ট থেকে বের হয়ে
আমার যে আর সাহেব হওয়া হলো না
বরফ
আজ বরফ পড়বে আমার শহরে
কি বিশ্বাস হয় না আমার কথা ?
সত্যি সত্যি বরফ পড়বে আজকে
ধুলোর উপরে থাকবে কয়েকইঞ্চি বরফের আস্তর
পরিচ্ছন্নকর্মীরা ব্যস্ত থাকবে তুষার পরিষ্কারে
হেসে উড়িয়ে দিলে আমার কথা ?
নাকি গুগোলে জলবায়ুর খবর নিচ্ছো ?
কিছুই পাবেনা, কেউ জানে না কিছুই
শুধু আমি জানি , আজকে যে বরফ পড়বেই এ শহরে
বুকের ভেতর জমে থাকা নীল কষ্টেরা আর কষ্ট নেই
পরিণত হয়েছে সাদা শুভ্র তুষারে
কষ্ট কি শুধু আমার একার ?
না একার না, তোমার কষ্ট, তার কষ্ট , সবার কষ্ট
এখন আর কষ্ট নেই , কোথাও কোন কষ্ট নেই Read More
আমার শোনা অঞ্জন দত্ত
তখন ইন্টারনেটের যুগ ছিলোনা। একটাই মাত্র চ্যানেল আসতো টিভিতে। সময় কাটতো খুব ধীরে। স্কুলের পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বই পড়ার তীব্র নেশা। দুবাই প্রবাসী কোন এক ভাই একটা ক্যাসেট প্লেয়ার গিফট করলো। টাকা জমায় জমায় ক্যাসেট কেনা। রেডিও শোনা। এইতো চলছিল। বলছি নব্বই দশকের কথা। একদিন কারো কাছে থেকে ধার করে আনলাম অঞ্জন দত্তের একটা ক্যাসেট। নাম শুনতে কি চাও! মুগ্ধ হয়ে শুনতে লাগলাম গানগুলো। আমার জীবনে কোন রঞ্জনা ছিলোনা। কিন্তু বার বার শুনতে শুনতে কল্পানায় একজন রঞ্জনাকে ঠিকই পয়দা করে ফেলেছিলাম। ইশটিশনে বসে লজেন্স বিক্রি করা ছেলেটার দুঃখ ও ছুয়ে যেত কখনো কখনো। ক্যালসিয়াম গানটায় যেন এক প্রকার নিজেকেই খুজে পেলাম। ধন্যবাদ অঞ্জনদাকে , ছাদে গিয়ে কান্না ভুলে থাকার আইডিয়াটা দেয়ার জন্য। এখনো মাঝে মাঝে কাজে দেয়! বেলাবোসের কথা আর কি বলবো। জীবনের ফার্স্ট ক্রাশ ছিলো বেলা। যখন আলিবাবা নামের মুরগির দোকানে কাজ করা ছোট্ট সেই ছেলেটার কথা শুনতাম কেমন যেন মন খারাপ হয়ে যেত। দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার অনেক কিন্তু আমি দেখে ফেলেছিলাম। পুরো ‘শুনতে কি চাও’ অ্যালবামে একটা গানের আগা মাথা কিছুই বুঝিনি তখন। শুনতে কি চাও গানটার মানে। বুঝতাম না গানটার আসল মানে। বুঝেছি অনেক পরে। আসছি সে কথায়।
এর পর আস্তে আস্তে অনেকগুলো গান শোনা হয়ে গেলো অঞ্জনদার। সেই কেরানীর অফিসের লাভস্টোরি , প্রেমিকাকে বস ববি রায়ের সাথে চলে না যাওয়ার জন্য যে করুন মিনতি! কাঞ্চনজঙ্ঘা গানটায় এক থানার দারোয়ানের কি সুন্দর ভালোবাসার গল্প, যে কিনা তার পাহাড়ের ফেলে আসা বস্তিতে প্রেমিকাকে জানতে দিতে চায় না সে দারোয়ানের চাকুরী করে। জানি না কাঞ্চনজঙ্ঘায় শঙ্কর হোটেল নামে কোন হোটেল আছে কিনা। সেখানে কি সন্ধ্যায় হোটেল রুমে এখনো সেই মেয়ে চুল্লীটা জ্বালিয়ে দিতে আসে? খুব জানতে ইচ্ছে করে। চ্যাপ্টা গোলাপ গানটা এক্কেবারে জীবন থেকে যেন নেয়া। স্মার্টফোনের এই যুগে কোন কিশোরীর খাতার ভিতর কি আর গোলাপফুল কিংবা গোলাপের পাপড়ি থাকে? পনেরো তে আটকে থাকা সেই যে ছেলেটা, যে কিনা অপেক্ষায় বসে থাকে কবে তার বয়েসটা একটু বাড়বে যেন সে তার পছন্দের মানুষটাকে মনের কথা জানাবে বলে। জানি না সে আর পেরেছিলো কিনা। Read More
যন্ত্রণা, ব্যর্থতা ও মৃত্যু
যন্ত্রণা মাপার কোন যন্ত্র নাই। মাথার মধ্যে ঘিলুর ভিতরে যন্ত্রণা মাপা যায় না। বলেও বোঝানো যায় না। ক্রমাগত হেরে যাওয়ার যন্ত্রণারা কুড়ে কুড়ে খায়। নিজের মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা ছাড়া আর তেমন কিছুই করার থাকেনা। ওটাও যে করতে মানা। মৃত্যু কে এখন আর ভয় লাগে না। খুব কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছা করে। স্পর্শ করতে ইচ্ছা করে। মনে হয় সব শান্তি ওখানেই লুকানো আছে। যা খাই সব বিস্বাদ, তেতো। শুধু সিগেরটটা ছাড়া। ওটাই যে শুধু জানান দেয় বুকের ভেতর ধক ধক করতে থাকা হৃদয়টার অস্তিত্ব। ক্যাফেইনের মতন কাজ করে এখন নিকোটিন। পুরো ফুসফুসটাই হয়তো টারে মাখানো। ভয় লাগে না। তবে এভাবে আরও বেচে থাকার কথা চিন্তা করলে শিউরে ওঠতে হয়। ভয়ঙ্কর রকমের ক্লান্ত যে আমি। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটাও এখন আর নেই। জীবনে প্রথমবার ভালোবাসা হারানোর পর মনে হয়েছিলো এটার চেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক আর কিছু হতে পারেনা। বিধি বাম! ওটা যে ছিল কেবল টিজার ট্রেইলার। সম্ভবত ফুল মুভি এখনো শুরুই হয়নি। কতশত ছোট ছোট জমা স্বপ্ন যত্ন করে তোলা রাখা আছে। মাঝে মাঝে ফিরে তাকাই। আবার যন্ত্রণারা ঘিরে ধরে। ছোট হয়ে আসে নিঃশ্বাস। নিজেকে একটা মানব বোমার মতন মনে হয়। ভয় হয় যেকোন সময় ফেটে পড়বো। পড়লেও মন্দ হয় না। আগাছার মতন একটা জীবনের কই আসলেও কোন মানে আছে? এভাবে বেচে থাকার সত্যিকারের অর্থটা কি ?? কে জানে। আমি জানি না।
সময় ভেসে যায় | Somoy Vese Jay | Sweater | Keka Ghoshal | Ranajoy Bhattacharjee
একটা নদী
হঠাৎ যদি
হারিয়ে ফেলে
সাগরের নাও
কোন পাড়ে জল
ছুয়েছে অতল
কেন ছলছল
চোখ বোজা খাম।
মনের মহনা ছেয়ে
যে নদী গেছে বয়ে
হঠাৎ সে ডুবে যায় মনে। Read More
চোখের জলের রঙ
“চোখের জলের হয়না কোন রঙ !” কিশোর কুমার সাহেবের বিখ্যাত একটা গানের লাইন ছিলো এটা। পুরোপুরি সত্য না। তীব্র কষ্টের কান্নার রঙ লাল হয়। রিস্ট কেটে আত্মহত্যা করা মানুষটার রক্তটা কিন্তু রক্ত না। তা অশ্রু। লাল রঙের অশ্রু। ঘন্টখানেক ছাদের রেলিঙে বসে যখন আর কোন উপায় না দেখে লাফিয়ে পড়া ছেলেটির চারপাশে ছড়িয়ে পড়া লাল রঙের জিনিসটা কিন্তু অশ্রু। সাদা অশ্রু কেউ খেয়াল করে না, লাল টা করে। আগে মনে হতো শুধু রূপকথাতেই ভালো থাকা সম্ভব। কিন্তু আমরা শুধু একটা সাইড ই পড়ি রূপকথার। প্রতিটা গল্পেরই অন্ধকার পাশ থাকে একটা । আমরা জানি না। সব জায়গায় মোটিভেশন এর ব্যাবসা। অন্ধকারের গল্পে মোটিভেশন থাকে না। থাকে কষ্টের আর্তনাদ।