ঋত্বিক-চক্রবর্তী

ধন্যবাদ স্যার ,ধন্যবাদ ঋত্বিক চক্রবর্তী

আপনাকে অনেক দিন ধরেই একটা চিঠি লিখবো বলে ভাবছিলাম। ঠিক লিখতে পারছিলাম না। ভাবছিলাম আরেকটু অপেক্ষা করে নেই। যদি আরেকটু বেশি কিছু অভিনয় দেখতে পাই।

“আমি আর কি করতে পারি এ ছাড়া ?
আরে তুই তো শিল্পী
নাচ, গান, আঁকা, লেখা, অভিনয় কোনটা পারি?
আরে তুই তো না খেয়ে থাকতে পারিস !!! ” Read More

পেলিক্যান

খ্রিস্টধর্মের অন্যতম পবিত্র প্রতীক হচ্ছে পেলিক্যানের ছবি। এর কারণ : খাওয়ার জন্য কোনো খাবার যখন একেবারেই থাকে না, তখন পেলিকান তার ঠোঁট দিয়ে কেটে নিজের গোশত তার শাবকদের খাওয়ায়। আমরা যেসব রহমত লাভ করি, সেগুলো প্রায়ই বুঝতে অক্ষম থাকি। আমাদেরকে আধ্যাত্মিকভাবে পরিপুষ্ট রাখার জন্য তিনি যা করেন, আমরা অনেক সময়ই তা বুঝতে পারি না।

পেলিক্যান সম্পর্কে একটি গল্প বলা যাক।

কঠিন শীতের সময় একটি পেলিক্যান তার নিজের গোশত তার সন্তানদের খাওয়াচ্ছিল। পাখিটি যখন শেষ পর্যন্ত দুর্বলতায় মারা গেল, তখন বাসার একটি
শাবক অন্যটিকে বলল: ‘যাক অবশেষ!! আমি প্রতিদিন একই জিনিস খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলাম।’ (Maktub – Paulo Coelho)

উবার

যদি আবার ফিরে আসার কোন সুযোগ থাকতো
জীবনানন্দের মতন বাংলায় ফিরে আসতে চাইতাম না
ধানসিঁড়ি নদী কিংবা কপোতাক্ষের জল তো ফুরিয়ে আসছে
আমি ফিরে আসতে আসতে হয়তো সেখানে
গজিয়ে যাবে ঘন কংক্রিটের জঙ্গল
লিভিংস্টোন পড়েছিলাম সেই ছোট বেলায়
এই জন্মে হয়তো আফ্রিকায় সুর্যাস্ত দেখা হবে না
আমাজন নদীর তীর ধরে খোজা হবে না
সেই সূর্য- কুমারীদের হারিয়ে যাওয়া দেশ
সোনার খোঁজে পাহাড় ডিঙ্গিয়ে যাওয়া হবেনা জুলুরাজ্যে
কিংবা মরুভূমিতে হারিয়ে গিয়ে খোজা হবেনা
রানী বিলকিসের সেই রহস্যময় রাজ্য উবারে
শুনেছি মরুভূমির অশিরীরীরা পাহারা দেয় সেই রাজ্য
আমার কি প্রবেশের অনুমতি মিলবে সেথায় ?
চাদের পাহাড়ে যাওয়ার জন্য শঙ্কর আমাকে আজও ডাকে
সাড়া দিতে পারিনা সেই ডাকে
সাড়া দিয়তে হয় না সেসব ডাকে …

বিশ্বায়ন

বিশ্বায়নের যুগে স্বপ্নগুলোও ফ্রাঞ্চাইজি বেসড হতে হয়। চাওয়া গুলোও হতে হয় কর্পোরেট। যেমন ফ্লাইওভার গুলো আকাশ ভেদ করে ছুটে চলে, ঠিক তেমন। টাইয়ের শক্ত বাধন যখন গলায় চেপে মুখে ক্যালকুলেটেড হাসি নিয়ে দামী কাঁচের দেয়াল ঘেরা অফিসে সাক্সেসফুল মিটিং এ ব্যস্ততার মাঝে কতশত সুন্দর বিকেল হারায় তার কোন ইয়াত্তা নেই। স্টক মার্কেটে সুন্দর একটা সূর্যাস্তের কোন ইমপ্যাক্ট নাই। কর্পোরেট কালচারের সাথে কবিতা যায় না। তারপরেও গ্লোরিয়া জিন্সে দামী ক্যাপাচিনো হাতে হটাতই মনে পড়ে স্কুল গেটের মামার হাতের হজমি কিংবা দুই টাকার তেঁতুলের আচার। এক দৌড়ে পার হওয়া যেত তেপান্তরের মাঠ। ছাদের টাঙ্কির উপর শুয়ে তারা গুনার দিনগুলো কোথায় যে চলে গেছে খুব জানতে ইচ্ছে করে।

এই ঢাকা আজ একটা মেগা সিটি হবে
পণ করেছে সরকার
বড় বড় হয়ে যাবে রাস্তাঘাট
বড় সব হওয়া দরকার
শুধু ছোটখাটোদের জায়গা কমে যাবে
এটা বিশ্বায়নের বাজার
ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশা
কে রাখে খবর বলো তার ?

ডি- মোটিভেশনাল স্পিচ

যত সফল মানুষদের গল্প শুনি, তত অবাক হই। তাদের গল্প গুলো আমার কাছে কোন ফাইভ স্টার হোটেলে সাজায় রাখা বুফে ডিনারের মতন মনে হয়। সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। পাঁচশো টাকা পকেটে নিয়ে ঢাকা এসে কে অনেক বড় ব্যাবসায়ী হোল আথবা কোথায় কোন ভ্যান গাড়িওয়ালার মেয়ে বিসিএস ক্যাডার হইছে শুধু তাদের গল্পই বিক্রি হয়। যে রিকশাওয়ালার মেয়ে বিসিএস ক্যাডার হয় না তাকে নিয়ে কোন স্টোরি হয় না। যে বাবা সারা দিন রিকশা কিংবা ভ্যান ঠেলে পাঁচ জনের সংসার চালায় সে কি সফল না? যে নারী সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসিমুখে ঘরের কাজে জীবন পার করে কিংবা যে মা বাচ্চাটাকে স্কুল থেকে বাসায় এনে আবার তাকে নিয়ে কোচিং এ দৌড়ায় তারা কি সফল না? তাদের গল্প কোথাও নাই। ছাপোষা মধ্যবিত্ত যে বাবা পাই পাই করে টাকা জমায় তার মেয়েটার ভালো একটা বিয়ে দেয়ার জন্য তার গল্পটা শুধু তার কাছেই থাকে। যে প্রবাসী শ্রমিক পুরো যৌবন টাই পার করে দেয় মধ্যপ্রাচ্যে, এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন থেকে শুরু গার্ড যাকে তুই ছাড়া সম্বধোন করেনা তার গল্পটাও কোথাও পাওয়া যায় না। এই গল্পে কোন সাসপেন্স নাই, হ্যাপি এন্ডিং নাই কিন্তু অনেক হতাশা আছে। হতাশার গল্প বিকোয় না। বিকোয় শুধু মোটিভেশনাল স্পিচ।

নদী

ইচ্ছে ছিলো নদী হবো
সাগর থেকে সব চেয়ে দূরের নদীটা
সাগরে যেতে হাজার মাইল পাড়ি দেয়
কখনো পাহাড়ের ভিতর দিয়ে বয়ে যায়
ঝিরি ঝিরি শব্দে
কখনো বা তীব্র স্রোত নিয়ে ভাঙে
গ্রামের পর গ্রাম
ঘরহারা মানুষের কান্নার লোনা জল নিয়ে
ছুটে যায় সমুদ্রের পানে
তারপর পৌছায় মোহনায়
এতটা পথ পাড়ি দেয়ার পরেও
সমুদ্র তাকে গ্রহণ করে না , ফিরিয়ে দেয় …

স্বরচিত ধূলোবালি – ইমরুল
১৩/০৫/২০২১

359নিঝুমদ্বীপ

তোমাকে মনে পড়েছিলো

একদিন মধ্যরাতে তোমাকে মনে পড়েছিলো
ভরা গ্রীষ্মের দূপুর পেরানো সে রাত
খুব ঝড় আসি আসি করছিলো
জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বসে ছিলাম
কয়েকটা বৃষ্টির ফোটা ধরবো বলে
বৃষ্টি আসেনি বৃথা ছিলো আমার অপেক্ষা
ওই তখনই একটু মনে পড়েছিলো তোমায়
তারপর ঠিকই ভুলে গিয়েছিলাম…

তারপর হয়তো কয়েক যুগ পেরিয়ে গিয়েছিলো
কিংবা কয়েক শতাব্দী পর
আবার এক কাক ডাকা ভোরে মনে পড়লো তোমায়
ভোরে ওঠা হয় না অনেক দিন
সেদিন কেন যেন উঠে গিয়েছিলাম
চায়ের মগের বদলে দু আঙ্গুলে একটা সিগারেট গুঁজে
চোখটা বন্ধ করতেই তোমাকে মনে পড়লো
সিগারেটটা শেষ হাওয়ার আগেই ভুলে গিয়েছিলাম
সত্যি ভুলে গিয়েছিলাম …

(অসমাপ্ত)

sunset-gulshan

আমার শহরে

আমার শহরে শুধু হেরে যাবার গল্প শুনি
বেকার ছেলেটার মন খারাপ করে পার্কে বসে থাকা
কিংবা প্রেমে ব্যার্থ কোন মধ্যবিত্ত যুবক
যার ভালোবাসার মানুষটির বিয়ে হয়ে যায়
বিলেত প্রবাসী কোন পাত্রের সাথে
বুকে পাথর চেপে সস্তা সিগারেটে টান
সেই কেরানি টাও আমার শহরে থাকে
মেয়ে বিয়ে দিতে গিয়ে লোনের ভারে পিষ্ট
তেতো কান্না চেপে নিয়ে বাসে চড়ে বসে
কিন্তু তোমার শহরে তো রোজই পার্টি চলে
কখনো কখনো সখ করে মাটিতে নেমে আসো তুমি
স্ট্রিট ফুড খাবার বাহানায়
অথবা বই মেলায় একটা কবিতার বই হাতে
তোমার বন্ধু ক্রমাগত তোমার ছবি তুলতে থাকে
সস্তা স্ট্রিট ফুড খাওয়া কিংবা কবিতার বই পড়ার চেয়ে
ছবি তোলাতেই তোমার আগ্রহ বেশি Read More

202নিঝুমদ্বীপ

বসন্ত

সব শীতের শেষেই কি বসন্ত আসে?
কিছু গাছ হয়েতো ভরা বসন্তেও
পাতা আর ফুল ছাড়া দাঁড়িয়ে থাকবে
বসন্তের সব দিনেই কি কোকিল ডাকে?
ধূলোর শহরে নাকে রুমাল চেপে
অফিস করবে কোন ছাপোষা নিম্নমধ্যবিত্ত
বসন্ত তার অভিধানে নেই
তার অভিধান জুড়ে কেবল আপোষ আর আপোষ …

সব কয়েদিই কি মুক্তির আশায় দিন গোনে?
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত কোন আসামি
মুক্তির দিনে জেলগেটের বাইরে
যার জন্য কেউ দাঁড়িয়ে থাকবেনা
মুক্তির আনন্দ তার জন্য না
একা থেকে আরও বেশি একা হয়ে
জেল থেকে কোথায় যাবে সে ? Read More

জল ফড়িং 2.0 Lyrics লিরিক্স – Jawl Phoring 2.0 (জল ফড়িং 2.0) | Prem Tame | Anupam Roy

তুই চিরদিন
তোর দরজা খুলে থাকিস
অবাধ আনাগোনার হিসেব কেন রাখিস?
সাক্ষাৎ আলাদিন
তোর প্রদীপ ভরা জিনে
কেন খুঁজতে যাস আমায়
সাজানো মাগাজিনে?

কোন বালিশে ঘুম
কোন দেওয়ালে মশারি
কোন ফেনায় কম সাবান
কোন ছুড়িতে তরকারি
যাচ্ছে চলে যাক
তবু ময়লা পেলো কলার
আলতো রাখছে হাত
হয়তো অন্য কথা বলার !!! Read More