পিক আপ লাইনস ছবির সাথে ! (Pack-1)

লাইনগুলো যাদের গান থেকে নেয়া হয়েছে: প্রীতম, জেমস, অঞ্জন, আরও অনেকে !!!

বাংলাদেশের ক্রিকেট

সাকিব মুশফিকদের জন্য ছয় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু কিছু মানুষের চুলকানিও শুরু হয়ে গেছে। টাকাটা কি বন্যার্তদের জন্য দেয়া যেতনা? কিংবা জনগণের কল্যাণে টাকাটা কাজে লাগান যেত? চিন্তা করে বলেন তো ভাই টাকাটা কই থেকে আসতেছে ? বাংলাদেশ ভালো খেলে বলেই আমরা আইসিসি আর স্পন্সরদের কাছে বলতে গেলে ভালোই টাকা পাই। কিন্তু প্লেয়াররা বাকি দেশের প্লেয়ারদের তুলনায় বেশ কম টাকা পায়। কিন্তু এটা নিয়ে তাদের কোন ধরনের অভিযোগ নাই। তারা মাঠে মনঃপ্রাণ দিয়া খেলে। আচ্ছা এবার আসেন বলই কেন আমরা তাদের উৎসাহিত করব পুরস্কার দিয়া। আমাদের দেশের মানুষের নিজেদের বিনোদনের খুব অভাব। আমরা খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকি। একদিন নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ চলছিল। বেশ উত্তেজনাকর ম্যাচ। আমি তখন লোকাল বাসে Read More

মহাপ্রলয়

তাহার সাথে যখন আমার প্রথম কথা হয় তখনি যেন মনের ভেতরে কেমন একটা খোচা লেগেছিল। মনে হল কোন একটা কিছু একটা শুরু হতে যাচ্ছে।  পাত্তা দেইনি। বুঝতে পারি নি কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি। আগে জানতাম না প্রেম কি। যখন শুনতাম একজন আরেকজনকে বলছে তাকে ছাড়া বাচবে না তখন হাসি পেত। কিছুতেই মাথায় ঢুকত না একজন কেন আরেকজন কে ছাড়া বাঁচবে না!!! কি আজিব! সেই আমি একদিন তাকে বলেছিলাম আমি তোমাকে  ছাড়া বাচতে চাই না। আমি পারবো না। তখন খুব অবাক লাগল।  আমি এই কথা বলছি!! সিরিয়াসলি!! আবার এক সময় চিন্তা করতাম সত্যি কি আমি তাকে ছাড়া বাচতে পারবো না?  সে যদি কখনও চলে যায়? তখন কি আমি আত্মহত্যা করব? ধুর হালা, অয় তরে জিন্দিগিতে ছাইড়া  যাবে না। নিজেকে সান্তনা দিতাম। হয়ত তখোনি মুঠোফোনে তার পাঠানো ক্ষুদ্র কিন্তু ভিষন ভাবে রোমান্টিক কোন বারতা চলে আসতো। অদ্ভুত একটা আনন্দে চোখ বন্ধ করে ফেলতাম। চিন্তা করতাম এটাই কি স্বর্গসুখ! সত্যি কি আমি এটা অনুভব করছি!নাকি স্বপ্ন সব। ঘুম ভাংলেই চলে যাবে। তাকে আমার পৃথিবির প্রায় সবটা দিয়ে দিয়েছিলাম। খুব বড় ছিলোনা আমার দুনিয়াটা। সবটা জুড়েই ছিল সে। তারপর যখন মহাপ্রলয়ে আমার পৃথিবিটা ধ্বংস হচ্ছিল তখন আমি তাকে আর খুজে পাইনি। সে তখন আমায় ছেড়ে অনেক দূরে। চেষ্টা  করলাম তাকে ফিরিয়ে আনার। ফিরে আসেনি সে। আস্তে আস্তে মহাপ্রলয় থেমে গেল। আমার পৃথিবিটা তখন একটা শুন্য কবরস্থান। আমার আশা আর সব স্বপ্ন গুলোর কবর সেখানে। ভেতর টা অস্বাভাবিক রকমের তেতো এখন। ভয়ংকর রকমের নিস্তব্ধ।  অনেকেই চেষ্টা  করেছে টেনে তুলতে। পারেনি কেউ। পারবেও না। আমিও আর উঠতে চাই না। নিশব্দতার মাঝে ডুবে যাওয়ার মাঝে অদ্ভুত এক প্রশান্তি আছে। সিগারেটের ফিল্টারে ঠোট রেখে চোখ বন্ধ করে সহজেই অন্য কোন জগতে চলে যাওয়া যায়। একটা বাজি জিততে গিয়ে অনেক বেশি হারিয়ে ফেলেছি। 

মানুষ একটা দুই চাক্কার সাইকেল

হাওয়ার উপর চলে গাড়ি
লাগেনা পেট্রোল ডিজেল
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল।
কি চমৎকার গাড়ির মডেল গো
মানুষ একটা দুই চাকার সাইকেল।
দুই চাকায় করেছে খাড়া
জায়গায় জায়গায় স্ক্রপ মারা
বাহাত্তর হাজার ইস্পাত দিয়া
এই সাইকেল গড়া
চিন্তা করে দেখনা একবার
দুইশ ছয়টা হয় এক্সেল। Read More

মৃত্যু

আমার পুরোটা ছোটবেলাটা কেটেছে মৃত্যু চিন্তায়। কাউকে বলতে পারতাম না আমি প্রচণ্ড ভয় পাই। একা থাকলেই মনে হত একদিন মরতে হবে। সত্যি কি afterlife বলে কিছু আছে? যদি থাকে তাহলে কেমন সেটা? কি হবে সেখানে? অনেক পরে বড় হয়ে জেনেছি এটা একটা মানসিক রোগ। তখন বুঝলে হয়তো আরেকটু সুন্দর হত ছোটবেলা। মনে হলেই খুব খালি খালি লাগে। মানুষের জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সময়টা নাকি ছোটবেলায়। খুব একটা উপভোগ করা হয়নি। দাঁত মুখ চেপে ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতাম। এখন যখন রাতে চিন্তা করি সেসব সময়ের কথা খুব হাসি পায়। না এখন আর আমি মৃত্যু ভয় পাই না। চিন্তাও হয় না। মৃত্যুটা দেখতে ইচ্ছা করে। খুব কাছে থেকে। সিগারেটের প্যাকেটের সাবধান বাণী যেন আরও উৎসাহ দেয় আমাকে সিগারেট খেতে। আস্তে আস্তে ব্লার হয়ে আসে সব।

তুমি এলে – অমিতাভ কায়সার

রোদ নেই জেগে ওঠা ভোরে
আজ তাই মেঘের ঘুড়ি ওড়ে।
মন বলে আকাশের সূর্যটা
তোমারই ঘরে
কাছথেকে দেখবে বলে সে
তোমার চাদরে.
দুরে ছিলে,
ছিল তাই অনেক ভাল
ধুলোমাখা পথে ছিল রঙিন আলো
তুমি এলে, মোর রাত যেন রাতের কালো। Read More

ডিসি কমিক্স

এই পোস্টটি শুধু মাত্র DC Comics এর ফ্যান দের জন্য। ছোট বেলা থেকেই Justice League এর কার্টুন দেখে কিংবা BTV তে সাদাকালো Batman এর সিরিজ দেখে DC এর ফ্যান হয়েছিলাম। কিন্তু কখনো কমিক্স কিনে পড়া হয়নি কারণ অরিজিনাল কমিক্স কিনে পড়ার অওকাত ছিলো না। তাই ঝুঁকে পড়ি DC এর Animated Series & Movies এর দিকে। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন সত্যিকারের কমিক্সের ফ্লেভার লাইভ একশন মুভি তে ভালো পাওয়া যায় না। তাই DC এর কোন Animated Movie/Series মিস দেই না। আমার দেখা বেস্ট Animated DC গুলার একটা লিস্ট করলাম। সব গুলা মুভির রিভিউ দেয়া সম্ভব না তাই কিছু কিছু মুভি নিয়ে বলছি। আপনি যদি ব্যাটম্যানের ফ্যান হন তাহলে Batman: The Dark Knight Returns, Part 1 (2012) ও Batman: The Dark Knight Returns, Part 2 (2013) এই দুটো মুভি আপনার জন্য মাস্ট ওয়াচ। মুভিতে ব্যাটম্যানের ফাইটিং কৌশল এবং বুদ্ধিমত্তা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। শেষ পার্টে রয়েছে সুপারম্যানের সাথে ক্লাসিক্যাল লড়াই। সুপারম্যানের All-Star Superman মুভিটি দেখতে পারেন। মুভিটায় আছে খুবই সুন্দর একটা স্টরিলাইন। লেক্স লুথার চরিত্রের গভীরতা বোঝা যায় এই মুভিতে। Flashpoint Paradox এর স্টরিলাইন নিয়ে তো নতুন করে বলার আর কিছু নেই। Justice League: Gods and Monsters মুভিটায় আরেক ডাইমেনসনের Justice League কে দেখতে পারবেন যারা এই পৃথিবীর Justice League এর চেয়ে অনেক বেশি ব্রুটাল আর Read More

The Fountain

Movie Name: The Fountain
Director: Darren Aronofsky
Starring: Hugh Jackman, Rachel Weisz
Genre: Drama, Sci-Fi
IMDB Rating: 7.3
সালটা ছিল ২০০৭। বাসায় প্রথম একটা ব্রডব্যান্ড ইন্টেরনেট লাইন নেই। তার আগে ডায়াল আপ লাইন ব্যাবহার করতাম। শুধুমাত্র চ্যাট আর হাল্কা পাতলা ব্রাউসিং ছাড়া অন্য কিছু করার কথা চিন্তাও করতে পারতাম না। বন্ধুদের কাছে শুনে শুনে মুভি ডাউনলোড করতে ইচ্ছা করতো। ব্রডব্যান্ড নেয়ার সাথে সাথে খুব এক্সসাইটেড ছিলাম। স্পিড ছিল ৬৪ কেবি তার মানে মাত্র ৮ কিলোবাইট। মুভি ডাউনলোড করার জন্য তখন খুব জনপ্রিয় ছিল লাইমওয়্যার। এখনো জনপ্রিয় থাকতো যদিনা আমেরিকান সরকার এটাকে অবৈধ ঘোষনা করে বন্ধ করে দিত। যাই হক একটা ৭০০ এমবি এর মুভি ডাউনলোড করতে ২ দিন কখনো কখনো ৩ দিন ও লেগে যেত। অনেক হিসাব করে মুভি নামাতাম। আর যেই মুভি ই নামাতাম খুব মনোযোগ দিয়ে দেখতাম। কত জঘন্য জঘন্য মুভি যে দেখসি তখন শুধু মাত্র কষ্টও করে নামাইসি বলে। এক বার নামিয়ে ফেললাম The Fountain মুভি টি। মুভি দেখা শুরু করেই বুঝলাম এটা আমার লেভেলের মুভি না। খুবই কঠিন মনে হচ্ছিল। আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। অনেক বার দেখার চেষ্টা করে রেখে দিলাম। বন্ধুদের ও দিলাম কিন্তু কেউ ই শেষ করতে পারলোনা। ২০০৮ সালে কিছু রিভিউ পড়ে আবার দেখতে বসলাম। শেষ করলাম। আমার চোখে মুখে তখন অদ্ভুত ঘোর। Sci-Fi, Spiritual, Drama, Romance সব গুলো বিভাগে আমার দেখা তখনো সেরা মুভি এটা। Hugh Jackman আর Rachel Weisz এর অসাধারণ পারফরমান্স। কিন্তু মুভিটা সবার জন্য না। আপনার ধৈর্যের সত্যিকার পরীক্ষা নিবে মুভিটা। তিনটা গল্প প্যারালালি দেখনো হয়েছে মুভিটায় (বলা ভালো প্যারালাল লাইফ )। তিনটা গল্পতেই Hugh Jackman কে অমরত্বের খোজে ছুটতে দেখা যায়। একটা স্টোরিতে Hugh Jackman এখন বিজ্ঞানী থাকে যিনি তার মৃত্যু পথযাত্রি অসুস্থ প্রিয়তমার জন্য অমরত্বের ফর্মুলা খুঁজতে থাকেন। যিনি বিশ্বাস করেন “Death is a disease and there is a cure “. আরেকটা স্টোরি তে Hugh Jackman কে দেখা যায় একজন সেনাপতির ভূমিকায় যিনি উনার রানীর জন্য একটা গাছের খোজে বেরিয়ে পরেন যেই গাছের রস অমরত্ব প্রদান করতে সক্ষম। আর তৃতীয় গল্পটা যদি দেখেন তাহলে নিজ দায়িত্বে বুঝে নিয়েন। বিজ্ঞানী Hugh Jackman কি পেরেছিলেন তার প্রিয়তমাকে বাচাতে কিংবা যোদ্ধা Hugh Jackman কি খুঁজে পেয়েছিলেন সেই অমরত্বের গাছ? উত্তর জানতে চাইলে ঝটপট দেখে ফেলুন মুভিটা। চোখে হয়ত দু এক ফোটা জল এনে দেবে। আর হা মুভিটায় পাবেন অসাধারণ কিছু ভিসুয়াল ইফেক্ট।

Some of my favorites quotes from this movie:
Death as an act of creation.
Death frees every soul.
What if you could love forever?
Death is the road to awe.

আমি বাংলায় মাড়া খাই

আমি বাংলায় মাড়া খাই
আমি ঢাকার জ্যামের মাড়া খাই
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই শহরের পচা গলিতে খুঁজে পাই
আমার বাংলায় ভাঙ্গে স্বপ্ন
আমার বাংলায় কান্নার সুর
আমি এই বাংলার কানা গলিতে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার মাড়া খাওয়ার ইতিহাস
বাংলা প্রাণের দুখ
আমি একবার মাড়া খাই, বারবার মাড়া খাই,মাড়া খাই করে নত মুখ Read More

Doctor Who

জানেন কি সবচেয়ে বেশিদিন ধরে চলা সাই-ফাই টিভি শো কোনটি ? Doctor Who. বিবিসির অসম্ভব জনপ্রিয় একটি শো এটা। Doctor Who প্রথম দেখানো হয় ১৯৬৩ সালে। একে একে সম্প্রচারিত এর ২৬ টি সিজন। ১৯৮৯ শালে অবশেষে কিছুদিনের জন্য থেমে যায় এটার সম্প্রচার। তার পরও কিছু টিভি মুভি তৈরি হয়। Doctor Who পুনরায় সম্প্রচার শুরু হয় ২০০৫ সালে। এটার সম্পর্কে অনেক কিছু পড়ার পর তীব্র আগ্রহ সৃষ্টি হয় দেখার জন্য। কিন্তু ১৯৬৩ সালের সাদাকালো Doctor Who দেখার সাহস হয়নি। তাই ২০০৫ সালের Doctor Who দিয়ে দেখা শুরু করলাম। প্রথম দুই-তিনটা এপিসোড দেখে আর ভালো না লাগায় অফ করে দেই। খুব গাঁজাখুরি, আর কেমন যেন লাগলো। কিন্তু মনের মদ্ধে খচ খচ থেকে গেল। কেন এটা পৃথিবীর সেরা সাই-ফাই শো গুলার একটা ? আবার শুরু করলাম। মন্ত্র মুগ্ধের মতন শেষ করলাম ৭ টা সিজন। অসম্ভব ভালো লাগলো। Doctor Who এর প্রধান চরিত্র একটা এলিয়েন। সে দেখতে মানুষের মতন। তার নিজের জাতি একটা যুদ্ধে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। প্রচণ্ড একাকীত্ব থেকে সে চলে আসে পৃথিবীতে। পৃথিবীকে বিভিন্ন মহাজাগতিক বিপদ থেকে সবার অজান্তে রক্ষা করে চলে। তার একটি অদ্ভুত স্পেসশিপ আছে। Read More