মানুষ গ্রাম থেকে ঢাকা আসে অনেক স্বপ্ন নিয়ে। আমার জন্ম যেহেতু ঢাকাতেই তাই তেমন কোন ড্রিম ছিলোনা। স্কুল লাইফে সব কিছু অনেক সহজ মনে হচ্ছিল। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি তারপর জব আর বিয়া। লাইফ সেটেল। আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। ইন্টারের পর জিনিস গুলা আস্তে আস্তে কঠিন হতে শুরু করে। তারপর ও কনফিডেন্স ছিলো কিছু একটা ভাল হবে। কিন্তু একটার পর একটা ভুল। কোনোভাবেই বুঝতে পারতেছিলাম না কি ঘটতে যাচ্ছে। যখন বুঝলাম তখন আসলেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। খুব বেশি এক্সপেকটেশন ছিল না আমার বাবা মায়ের। কিন্তু যতটুকু ছিল তার সিকি ভাগ ও পূরণ করতে পারি নাই। ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে ক্লান্ত পরাজিত হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। ডাক্তারের দেয়া ওষুধের ক্ষমতা টের পাইলাম। কয়েকদিনের মধ্যে সব অনুভূতি ব্ল্যাংক হয়ে গেলো। খুব অস্থির চিত্তের মানুষ ছিলাম কিন্তু এখন আমি একটা দেয়ালের দিকে তাকায় কয়েক ঘন্টা পার করে দিতে পারি। অনুভব করি আমার চারপাশের তীব্র শুন্যতা। আত্মীয় স্বজন বন্ধু সবার থেকে পালাতে চাই। একটা জঙ্গলে একটা ট্রি-হউস অথবা চা বাগানের টিলায় নিঃসঙ্গ বাংলোয় একা। সিধান্ত নেয়া হয়ে গেছে। ঢাকা ছাড়ছি। খুব শিঘ্রই। হয়তো গ্রামে নয়ত পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে।