তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা, জুল্ভারন, শার্লক হোমস, কাকা বাবুর সাথে ভালই কাটছিল আমার দিনগুলো। কখনো ফেলুদার সাথে তোপসে হয়ে কেস সল্ভ করতে ইচ্ছা করতো, কখনো বা ওয়াটসন হয়ে শার্লক হোমসের সাথে। বাসায় বন্দি থাকতাম কিন্তু আমার দুনিয়াটা অনেক বড় ছিল। নষ্ট ছিলাম না আমি। ফ্যান্টাসিতে চলে যেতাম নর্থ পোল কিনবা হিমালয়ের চূড়ায়। কল্পনায় আমার বাসা ছিল মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ডে। কখনো অলিভার টুইস্ট কিংবা লা-মিজারেবল পড়ে দু ফোটা পানি পরতো চোখ দিয়ে। কোন একটা বই পড়া শেষ হয়ে গেলে আজব অনুভূতি হত। দুঃখ আর সুখ মেশানো অনুভূতি। আস্তে আস্তে আরেকটু বড় হলাম। আমার দুনিয়া দখল করা শুরু করলো হিন্দি মুভি। আর চুরি করে একটা দুটা সিগারেট খাওয়া। তারপরও সুখি ছিলাম অনেক। যশ রাজের মুভি দেখে প্রেমে পরতে ইচ্ছা হত। কিন্তু বয়েজ স্কুল আর কলেজের আশীর্বাদে ছোট বয়েসে ওইরকম কোন অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। প্রেমে পরলাম ভার্সিটি লাইফের তৃতীয় বর্ষে। খুবই ক্ষণস্থায়ী ছিল প্রেমের আনন্দটা আমার জন্য। জীবনটা এখন একটা দোজখে পরিনত হইসে। যদি একবার টাইম ট্রাভেল করে ছোট বেলায় ফিরে যেতে পারি তাহলে আমি কক্ষনো আর বড় হতাম না। কক্ষনো না