রঙ্গিন স্বপ্ন দেখা তো সেই কবেই ছেড়ে দিলাম
তেপান্তরের মাঠও আমার কোনোদিন দেখা হবে না
মডার্ন অ্যাপার্টমেন্ট গুলোতে না কার্নিশ নেই
চুড়ই ও বাসা বানায় না তাই
নিষ্পলক দৃষ্টিতে আমি তাকিয়ে থাকি আর ভাবি
কেউ কি আমাকে একটা রাজকন্যার নূপুর দিতে পারো ?
কিংবা পলাশের বনের পাশে একটা কুড়ে ঘর?
চাইনা আমি তোমাদের বূর্জ খলিফা
তোমাদের পরিপাটি বেশভূষা তোমাদের কাছেই থাক
আমাকে একটা ভাঙ্গা নৌকাই না হয় দিয়ো
চাদনী রাতে কোন বিলের ধারে নৌকায় শুয়ে ব্যাঙের ডাক শুনবো
বিশ্বাস করো তোমাদের এটিএম বুথের টাকার কড়কড়ে শব্দের চেয়ে
ঝিঝিপোকার ডাক আমার অনেক বেশি প্রিয়
তোমার ধোপদুরস্ত কালচার টা তোমার কাছেই রেখো
লজ্জা লাগবে তোমার আমাকে তোমাদের ড্রয়িং রুমে বসতে দিতে
আসবোনা কখনো আমি , ভেবোনা
উচ্চবিলাসী যে আমি কখনোই হতে পারবোনা
ছেড়া স্যান্ডেল আর বেসাইজ টিশার্ট যে আমার ইউনিফর্ম
আর দুই ঠোঁটের ফাকে সস্তা জ্বলন্ত কোন সিগারেট
ওতেই আমার জীবনটা চলে যাবে
তুমি হয়তো তখন কালো রঙের প্রিমিও গাড়িতে
রোদে ঘামে ভিজে যাওয়া আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছো
আমি জানি তুমি কবিতা পছন্দ করো না
আমার ছাইপাশ কোন কবিতা তাই তোমাকে উতসর্গ করা হয়নি
কিন্তু তোমাকে উতসর্গ করে ফেলেছিলাম আমার সব ঘুম
তুমি তো নিয়ে চলে গেলে
আমার যে এখন টাকা দিয়ে ঘুম কিনতে হয় প্রতি রাতে
কিন্তু স্বপ্ন তো টাকা দিয়ে কেনা যায় না
গভীর রাতে বুক চিঁড়ে বেড়িয়ে আসা কান্নারা কোন বাধা মানে না
জানো তো তুমি সেটা।
ইচ্ছা করেনা কখনো একটা খোজ নিতে?
যদি একবারো করে থাকে, ওটাই আমার পাওয়া।