ট্রেন আমার অসম্ভব ভালো লাগে
মাঝরাতে কোন রাতে নির্জন স্টেশনে
ট্রেন থামলে যখন নেমে পড়ি
কি সুন্দর প্রায় শব্দহীন একটা পরিবেশ
আমি যেন পাথর হয়ে যাই
দু’আঙ্গুলের ফাকে সিগারেটটা
ট্রেনের হুইসেল শুনে সম্বিত ফিরে পাই
আধা খাওয়া সিগারেটটা ছুড়ে ফেলে চড়ে যাই ট্রেনে
প্রায় সবাই ঘুমুচ্ছে , কয়েকজন বাদে
খুব কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে
বুকটা ফেটে বেরিয়ে আসতে চায় শব্দরাজি
স্মার্টফোন আর নেটফ্লিক্সের যুগে কবিতা কে পড়ে ?
আমি চাইও না কেউ পড়ুক
শুধু বুকের ভেতর জমে থাকা আবর্জনা
বের করে দেই
জন্ম নেয় একেকটা বিকলাঙ্গ কবিতা
ঝিকঝিক শব্দ করে আবার চলতে শুরু করেছে ট্রেন
রাত বাড়ছে, অন্ধকারে কেবল তোমার কথা মনে পড়ে
কত রাত মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করেছি
তোমার একটা ডাকের আশায়
অসম্ভব ছটফটে ছিলাম আমি
মনে হত এই বুঝি এলো তোমার পাঠনো বার্তা
কিন্তু আসেনি, জানিনা আমায় মনে পরতো কিনা
তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা দিন ডায়েরিতে নোট করে রাখতাম
অনেক ভুলোমনা ছিলাম কিনা
ভাবতাম অনেক বছর পর সেই ডায়েরি খুলে বসবো
কোন এক সকালে চায়ের কাপ হাতে
আমার সামনে তুমি
এক একটা ক্ষণ আমার মনে পড়বে ডায়েরি পরার সময়
কিন্তু তা আর হলো না আমার
আবার ট্রেনটা থেমে যায়
আমি চোখ খুলে তাকাই, ভোর হলো বলে
নিকোটিনে ভরা বুকে
ভোরের সিন্ধ বাতাস নেয়াটা বড্ড বেমানান।