যন্ত্রণা মাপার কোন যন্ত্র নাই। মাথার মধ্যে ঘিলুর ভিতরে যন্ত্রণা মাপা যায় না। বলেও বোঝানো যায় না। ক্রমাগত হেরে যাওয়ার যন্ত্রণারা কুড়ে কুড়ে খায়। নিজের মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা ছাড়া আর তেমন কিছুই করার থাকেনা। ওটাও যে করতে মানা। মৃত্যু কে এখন আর ভয় লাগে না। খুব কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছা করে। স্পর্শ করতে ইচ্ছা করে। মনে হয় সব শান্তি ওখানেই লুকানো আছে। যা খাই সব বিস্বাদ, তেতো। শুধু সিগেরটটা ছাড়া। ওটাই যে শুধু জানান দেয় বুকের ভেতর ধক ধক করতে থাকা হৃদয়টার অস্তিত্ব। ক্যাফেইনের মতন কাজ করে এখন নিকোটিন। পুরো ফুসফুসটাই হয়তো টারে মাখানো। ভয় লাগে না। তবে এভাবে আরও বেচে থাকার কথা চিন্তা করলে শিউরে ওঠতে হয়। ভয়ঙ্কর রকমের ক্লান্ত যে আমি। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটাও এখন আর নেই। জীবনে প্রথমবার ভালোবাসা হারানোর পর মনে হয়েছিলো এটার চেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক আর কিছু হতে পারেনা। বিধি বাম! ওটা যে ছিল কেবল টিজার ট্রেইলার। সম্ভবত ফুল মুভি এখনো শুরুই হয়নি। কতশত ছোট ছোট জমা স্বপ্ন যত্ন করে তোলা রাখা আছে। মাঝে মাঝে ফিরে তাকাই। আবার যন্ত্রণারা ঘিরে ধরে। ছোট হয়ে আসে নিঃশ্বাস। নিজেকে একটা মানব বোমার মতন মনে হয়। ভয় হয় যেকোন সময় ফেটে পড়বো। পড়লেও মন্দ হয় না। আগাছার মতন একটা জীবনের কই আসলেও কোন মানে আছে? এভাবে বেচে থাকার সত্যিকারের অর্থটা কি ?? কে জানে। আমি জানি না।
Tag: মৃত্যু
মৃত্যু
আমার পুরোটা ছোটবেলাটা কেটেছে মৃত্যু চিন্তায়। কাউকে বলতে পারতাম না আমি প্রচণ্ড ভয় পাই। একা থাকলেই মনে হত একদিন মরতে হবে। সত্যি কি afterlife বলে কিছু আছে? যদি থাকে তাহলে কেমন সেটা? কি হবে সেখানে? অনেক পরে বড় হয়ে জেনেছি এটা একটা মানসিক রোগ। তখন বুঝলে হয়তো আরেকটু সুন্দর হত ছোটবেলা। মনে হলেই খুব খালি খালি লাগে। মানুষের জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সময়টা নাকি ছোটবেলায়। খুব একটা উপভোগ করা হয়নি। দাঁত মুখ চেপে ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতাম। এখন যখন রাতে চিন্তা করি সেসব সময়ের কথা খুব হাসি পায়। না এখন আর আমি মৃত্যু ভয় পাই না। চিন্তাও হয় না। মৃত্যুটা দেখতে ইচ্ছা করে। খুব কাছে থেকে। সিগারেটের প্যাকেটের সাবধান বাণী যেন আরও উৎসাহ দেয় আমাকে সিগারেট খেতে। আস্তে আস্তে ব্লার হয়ে আসে সব।