fissurefilms-20180401-0001

থিওরি অফ এভরিথিং

ছোট বেলা থেকে পড়ে আসতেছেন সব কিছু অনু পরমানু দিয়ে গঠিত। তাইনা! পরমানু আবার নাকি ইলেক্ট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন নামক হাবিজাবি দিয়ে গঠিত। লুক ক্লোজলি। আসলে সব বাল দিয়ে তৈরি। সব কিছু বাল। আপনি একটা বাল। আমি একটা বাল। আমরা সবাই একটা একটা ইন্ডিভিজুয়াল বাল। আবার আমরা সবাই মিলে একটা সমষ্টিগত ভাবেও বাল। এই সব ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন কিছুই না। এইগুলাও বাল। সব বাল। এইটা থিওরি অফ বাল।

দেশপ্রেম ও কয়েকটি প্রশ্ন !

একটা কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে কি করে বলা যায় আমার পাশের মাটি তোমার মাটির চেয়ে পবিত্র !!! দেশপ্রেমটা আসলে কি? পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে নাটক, সিনেমা সবখানে দেশপ্রেমের যেই সংজ্ঞা দেয়া হয় সেটা কতটুক যৌক্তিক ? আমাদের কক্সবাজার আছে যেখানে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় সমুদ্র সৈকত। আমাদের গর্ব। আচ্ছা কোনদিন যদি চিটাগাং বাসী আন্দোলন ও যুদ্ধ করে আলাদা হয়ে যায় তাহলে কি তখন আমরা তাদের গালি দিব ? এখন যেমন ভারত আর পাকিস্তানকে দেই? ব্রিটিশরা উপমহাদেশে আসার আগে সবাইতো একসাথেই ছিলাম। তবে এখন কেন ভারত কে রেন্ডিয়া আর পাকিস্তান কে কাঙ্গালিস্তান বলে গালি দেই? কেন সামান্য এক কাঁটাতারের বেড়া বলে দিবে কে আমার চেয়ে ভাল কিংবা খারাপ? জন্মস্থানের প্রতি মানুষের ভালবাসা জন্মগত। কিন্তু একরোখা দেশপ্রেম মানুষকে অন্ধ করে দেয়। ছোটবেলায় সবাই পড়েছি একটা হাদিস “দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ”!! কিন্তু কয়জন যানি এটা একটা জাল হাদিস যার কোন রেফারেন্স নেই? কেন দেশপ্রেম নিয়ে এমন একটি হাদিসের অবতরনের প্রয়োজন পড়লো? কি উদ্দেশে ?

Divide and rule … Divide and rule

জঙ্গি সমস্যা এবং বিয়ে

ইসলামে নির্দেশ দেয়া আছে ছেলে মেয়েদের আগে ভাগে বিয়ে দেয়ার জন্য। আগে মনে করতাম আগে বিয়ে হলে নানা প্রকার কুঅভ্যাস দূর হয়। কিন্তু এখন দেখলাম বিয়ের আরও অনেক সামাজিক সুফল আছে। নিব্রাস ইসলাম নামের যেই ছেলেটি মারা পড়লো সে ছ্যাকা খাওয়া ছিল। তার টুইটারে ঢুকে নিশ্চিত হলাম। যদি ছেলেটির আগে ভাগে বিয়ে হইত তাইলে জঙ্গি হউয়ার ভূত কখনই তার মাথায় ঢুকতো না। বিয়ের পর মানুষের দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। আর দুই একটা বাচ্চা কাচ্চা হইলে তো কথাই নাই। ছ্যাকা খাওয়ার পর ছেলেরা অনেক vulnerable থাকে। তখন তাদের ব্রেইনওয়াশ করাটা অনেক সহজ হয়ে পড়ে। বিবাহিত মানুষের জঙ্গি হওয়ার প্রবনতা অনেক কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আর্লি বিবাহ আমাদের সমাজে সহজভাবে নেয়া হয় না। আর্লি বিবাহ জঙ্গি সমস্যা প্রতিকারে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।

বাবুই পাখি থিওরি ( একটা সাইকোলজিক্যাল এবং জেনেটিক্যাল এনালাইসিস )

আজকে আমি প্রকাশ করতে যাচ্ছি বাবুই পাখি থিওরি। শুনলে একটা ফাজলামি মূলক লিখা মনে হলেও এটা একটা ধ্রুব সত্য থিওরি। আশা করি আমার ব্লগ পাঠকদের ভাল লাগবে। এটা আমার আবিষ্কৃত কোন থিওরি না। আমি শুধু একটা স্টাবলিস থিওরিকে বাবুই পাখি দিয়ে ব্যাখ্যা করব। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই মেয়েরা যে ছেলেটির সাথে প্রেম করে থাকে তাকে বিয়ে না করে তার চেয়ে ভাল অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পন্ন অথবা বেশি স্টাবলিস কাউকে বিয়ে করে থাকে। এটা আমাদের সমাজে অনেক কমন একটা ব্যাপার। Read More

ভুলের বৃত্তে ভুল

যখন কেউ জীবনের একটা পার্ট হয়ে যায়, অভ্যাস এর মতন। আস্তে আস্তে নিজের হার্ডডিস্কে ভর্তি হতে থাকে তার সাথে থাকা সময়গুলোর মেমোরি গুলো। তার হাসি, ভালো লাগা, খারাপ লাগা , মাথা ধরা , তার দেয়া পেইন , ঝগড়া, আবার সব ঠিক হওয়ার পর একটা সময় ঠিক যেন অনেক গরম একটা দিনের শেষে একটা থান্ডা বাতাস সহ বৃষ্টি আরও কতো কি। কান্সারের মতন বাড়তে থাকে ভিতরে তার অস্তিত্ব। বেলুনের মত ফুলতে থাকে স্বপ্নগুলো। নিজের সব কিছু বিকিয়ে দিয়ে ধরে রাখতে ইচ্ছা করে তাঁকে। রুপকথার গল্পের মতো ঘটতে থাকে সব। অবাক যত্নে সাজাতে সাজাতে কখন নিজেকে একটু সময় দিতে ভুলে যাওয়া। মা বাবার বকুনি এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়া। ভুলের বৃত্তে ভুল করে যাওয়া। সব শেষে যখন সময় আসে বিদায় দেয়ার তখন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকা। যেন একটা ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন, একটু পরেই ঘুম ভাংবে। দেখব সব আগের মতই আছে। কিন্তু না, বাস্তবটা তখন দুঃস্বপ্নের চেয়েও কষ্টের, ভয়ঙ্কর। দাতে দাত চেপে ধরে সহ্য করা সেই কষ্ট গুলো। মাথায় হার্ডডিস্কের সব মেমোরি গুলো নিজে নিজে রিপ্লে হতে থাকে। একটার পর একটা সিগারেট টেনে যাওয়া। আর ভুলগুলার জন্য একটা অস্বাভাবিক অপরাধ জন্ম নিতে থাকে মনে। সব চেয়ে পছন্দের খাবারটিও তিতা মনে হয়। তার একটা মেসেজএর জন্য বার বার মোবাইল চেক করা। কখনো মোবাইল টাকে ছুড়ে ফেলে দেয়া। আরও কতো কি। এম্পটিনেস বারতে থাকে বিগব্যাং থিওরির মতন। তারপর এক সময় ভালো থাকার একটা মুখোশ পরে হাসি দেয়া। মানুষ নাকি ভালো থাকার অভিনয় করতে করতে একটা সময় সত্যি ভালো থাকতে শুরু করে। দেখা যাক আমি পারি কিনা।

আমি হাজার হলেও মানুষ , এলিয়েন না।

ক্যাপ্টেন নিমো

ক্যাপ্টেন নিমো নিজের ডুবোজাহাজ এ মারা গিয়েছিলেন। তার শেষ ইচ্ছে মোতাবেক তার ডুবোজাহাজটি গভীর সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়া হয়। ক্যাপ্টেন নিমো জুলভার্নের সবচেয়ে ইন্টেরেস্টিং চরিত্র গুলার একটা। টুয়েনটি থাউসান্ডস লিগস আন্ডার দ্যা সী তে আবির্ভাব ঘটে ক্যাপ্টেন নিমোর। আর মৃত্যু ঘটে মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড এ। জীবনে প্রথম বার খুব ক্যাপ্টেন নিমোর মতন মরতে ইচ্ছা করেছিল। খুব ভক্ত ছিলাম আডভেঞ্চার উপন্যাস আর গল্পের। টম সায়ারের হাকালবেরি ফিন , কিংবা চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর ,খুবই ঈর্ষা করতাম যদিয়ও ওরা কাল্পনিক চরিত্র। কখনো কখনো আমার শরীরের প্রতিটি সত্তা চাইত ওরকম কোন অভিযানে যেতে। যত বড় হতে থাকলাম ততই কম্পিউটার আর ইন্টেরনেট আমাকে সরিয়ে দিয়েছে বই থেকে। কিন্তু রবিন্সন ক্রুসো কিংবা আলান কোয়াটারমেইন কে কখনই আমার মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। একজন মিলিওনিয়ার হয়ে রোলস রয়েস চড়ে ঘুরার চেয়ে একটা রাইফেল হাতে আফ্রিকার গহিন জঙ্গলে রাস্তা হারিয়ে ঘুরাটা আমার কাছে অনেক বেশি এক্সপেক্টেড। বিল গেটস না, আমার আইডল লিভিংস্টোন , হাতে আইফোন না একটা রাইফেল, পায়ে হাস পাপিস না একটা শক্ত গামবুট… খুব কি বেশি ছিল আমার চাওয়া …

আমি জানি আমার কখনই এক্সপ্লোরার হউয়া হবে না … এই মিডেল ক্লাস লাইফ ই আমার লিড করতে হবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। যেই লাইফ থিকা বাইর হইতে পারে নাই আমার বাবা তার বাবা … তার বাবা ..

.jpg

সিলিকনের গল্প

তোমার ফাউন্ডেশনে ঢাকা ওই চেহারা
আর সিলিকনে ভরা বুক
ডি-এস-এল-আর এর  সামনে কাটে অর্ধেক দিন
তবুও মনে নাইরে সুখ
বয়ফ্রেন্ডের দামী অটোতে
মিরর ম্যাগাজিনের কভার ফটোতে
ফটোশপের কারসাজিতে
ড্রিমগার্ল তুমি আজ
ভুলে গেলে সব লাজ
বিলকিস থেকে আজ তুমি বিকি
তোমার পিছে সব ঘুরে টিকটিকি
তবুও মাঝরাতে
বুকের ব্যাথায় দেখেছি তোমায় কাতরাতে
খুলে ফেল সিলিকন … অসমাপ্ত কবিতা …শেষ করার ইছহা নাইক্কা

বুকের মধ্যে বালুকা (সিলিকা এঁর বাংলা) ভইরা শো-অফ করার ট্র্যাডিশন শোবিযে নতুন কিসুনা. সিলিকন এঁর নাম শুনলে চাপাচাপির ইচ্ছা চইলা যায়। ভিতরে সিলিকা থাকলে চাপলে কি ব্যথা পায় নাকি কোন ফিলিংস পায় না। যাউকজ্ঞা সিলিকন লইয়া ফালাফালি কম করাই ভাল আজ কাল সিলিকন এঁর অনেক বিকল্প আইসে। অইগুলা নিয়া গবেষণা চালাইতাসি। পরবর্তী post  এ জানামু .. নাউ টা টা বাই বাই