সঞ্জীব চৌধুরী

এক পলকেই চলে গেল আহ কি যে তার মুখ খানা

রিক্সা কেন আস্তে চলে না……………………………

আজ আমার অন্যতম প্রিয় গায়ক সঞ্জীব চৌধুরীর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।  সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে আমার পরিচয় বায়স্কোপ গানটা দিয়ে। এত সুন্দর সুন্দর লিরকিসের গান অত্র বাংলার খুব কম গায়ক এর কাছে শুনেছি। চলতে চলতে নামক একটি গানে তিনি বিধাতার কাছে প্রার্থনা করেছেন যেন বিধাতা আখের রসে আরেকটুখানি মিষ্টি দেন। কি আজব একটা আবদার। এক কথায় Read More

কবে যাবো পাহাড়ে

মাল্টি ন্যাশনাল কোন কোম্পানিতে জব, কিংবা বিজনেস টাইকুন হওয়ার স্বপ্ন কোনটাই ছিলোনা কখনও আমার। অতি অল্প তে সন্তুষ্ট হওয়ার গুণটি আমার আব্বাজানের কাছে থেকে পাওয়া। দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কোন ইচ্ছাও নেই। কিন্তু এই সিমেন্টের জঙ্গলে গাড়ির হর্ন শুনতে শুনতে আজ আমি ক্লান্ত। খুব ইচ্ছা ছিল চা বাগানে ম্যানেজার এর  জব করবো। স্ট্রেস ছাড়া একটা লাইফ। অথবা সী-বিচে একটা ছোট্ট একটা জুসবার। যতদূর চোখ যাবে নীল সমুদ্র অথবা চা বাগানে রাতের ঝি ঝি পোকার ডাক। বিকেল বেলা নদীর তীরে হাটতে যাওয়া। হাজারটা ওয়াইফাই সিগন্যাল এর মাঝে চোখ বুজলেই আমি চলে যাই পাহাড়ে। অনেক মাইল দূর থেকে আমি সমুদ্রের গন্ধ পাই। চোখটা খুললেই আবার আমার সামনে সেই কম্পিউটারের মনিটর কিংবা হাতে একটা স্মার্টফোন। আজ আমি চাইলেই পাহাড়ে চলে যেতে পারিনা। আজ আমি চাইলেও সমুদ্র সৈকতে খুলতে পারিনা একটা জুসবার। আমার হাত পা যে  শিকলে আটকা। দামি দামি গেজেটস আর এখন আমাকে টানে না। ছোট বেলায় পড়া হেনরি রাইডার এর অ্যাডভেঞ্চার গল্প গুলো পাগলের মতন ডাকে আমাকে। পাগলের মতন মনে হয় তখন। সারা রাত আকাশে তারা গোনার কোন জব পাওয়া যায় কি? জানি যায় না। আমি ঠিকই মনে মনে চোখ বুজে তারা গুনি। কিন্তু একটু পরেই জীবন্ত লাশ হয়ে আবার ফিরে আসতে হয় আমার দুর্গন্ধময় বাস্তবতার জগতে। একদিন এই শহর টা একটা মেগাসিটি হবে। সব কিছুই বড় বড় হয়ে যাবে। শুধু ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশার খবরগুলো কেউ রাখবেনা।

কবে যাবো পাহাড়ে … আহারে ………………

Don’t grow up. trust me its a trap

স্কুল লাইফটা একটা পেইন ছিল আমার জন্য। বাবা মার কড়া শাসন, বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে না দেয়া, সব সময় ঘরে বন্দী থাকা আরও কতো কি। একতাই অস্থিরতা কবে বড় হবো, কবে ? কিন্তু রাতের বেলা দুই চোখ ভর্তি ঘুম ছিল। অতি সামান্য কিছু পাওয়া তেই এক আকাশ সুখ ছিল। শুধু রেজাল্ট এর দিন এর টেনশন। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে গ্রামে ঘুরতে যাওয়া , তিন গোয়েন্দা কিংবা চাচা চৌধুরী এর কমিকস কিনে দিতো বাবা, সে এক অদ্ভুত আনন্দ। সাথে শুধু চিন্তা কবে যে বড় হবো। নিজের টাকায় তিন গোয়েন্দার সব গুলা বই কিনব অথবা সারা দিন চক্লেটস খাবো। হটাত করেই আবিস্কার করলাম বড় হয়ে গেছি। কোন বাধা নেই। আমি মুক্ত। কিন্তু মনে শান্তি নেই। বুক ভর্তি কান্না। ওষুধ ছাড়া রাতে ঘুম আসে না। চলতে ইচ্ছা করে না। দুই পায়ে ১০ কেজি করে ইট বেধে দিসে যেন কেউ। মনটা অস্বাভাবিক ক্লান্ত। কোন কাজ করতে ইচ্ছা করেনা। সিগারেট এর পর সিগারেট, কখনও গাজায় টান। বাবা মা এর সামনে পরতে ইচ্ছা করেনা। তাদের বুড়িয়ে যাওয়া মুখ গুলো দেখলে প্রচণ্ড ভয় হয়। বয়স ত্রিশ হতে চলল। কিছুই করতে পারিনি এখনো। প্রেমে ব্যর্থ , ক্যারিয়ার বানাইতে ব্যর্থ , বাপ মা কে খুশি করতে ব্যর্থ আরও কতো ব্যর্থতা। মরে যাওয়ার চেয়ে বেশি ভয় লাগে এখন বেচে থাকতে। আবার সেই স্কুলে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে, বাস্তবতার চাবুকের বাড়ির চেয়ে স্যার দের বেতের বাড়ি অনেক ভালো। Don’t grow up. trust me its a trap.

স্বপ্ন

সারা দিন ঘুমাই। রাত ও আর আগের মতন জাগি না। আপাতত সব কাজ বন্ধ। কিন্তু আজ কাল ঘুমাইলেই অদ্ভুত সুন্দর সুন্দর সব স্বপ্ন দেখি। শেষ কবে দুঃস্বপ্ন দেখছি মনে নাই। তাই শুধু ঘুমাইতে ইচ্ছা করে। আমার মনে হয় সপ্নগুলা আসলে স্বপ্ন না । আমারি অন্য কোন প্যারালাল জগত। ঘুম ভাঙলেই আবার Read More

তুমি কি জানো

তুমি কি জানো তুমি আমার কতো প্রিয় ?
বাবুইএর কাছে তার বাসাটি যতখানি প্রিয়
তার চেয়ে একটু বেশি।
তুমি কি জানো আমি তোমাকে কতোখানি ভালবাসি ?
ঘাসফড়িঙ যতখানি ভালবাসে ঘাসকে
তার চেয়ে খানিকটা বেশি।
তুমি কি জানো তোমার জন্য আমি কত দূর যেতে পারি ? Read More

অভিনয়

লড়াই করার শক্তিটা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। frustration, depression, looser, weak, loneliness এই শব্দগুলোর মাঝে জীবনটা আটকে গেছে। এখন আর কিছু হারায় কাঁদি না। কষ্ট পাই কিন্তু মনে হয় এইটাই নিয়তি। মনের চোখটা এখন বর্ণান্ধ। সাদা আর কালো ছাড়া অন্য কোন রঙ সে দেখতে পায় না। কোথাও হেরে গেলে সেলিব্রেট করি। মনে হয় এইটাই আমার পাওনা। দাত মুখ চেপে একটা ভালো সময়ের জন্য প্রতীক্ষা। শেষ কবে যে একটু ভালো ফিল করেছিলাম মনে করতে কষ্ট হয়। মুখে একটা হাসি আর মনের মধ্যে একটা তীব্র আর্তচিৎকার আমি আর পারিনা,  I want to quit. কিন্তু পারিনা। জানি মরার পর দোজখে যাবো। কিন্তু তার আগেই কেন দোজখের যন্ত্রণা পাবো। সারা দিন ঘুমাই। কতো রঙ বে-রঙের স্বপ্ন দেখি। ঘুম ভাংলেই আবার সেই যন্ত্রণার রাজ্যে প্রত্যাবর্তন। ঘুম কেন ভাঙ্গে, যদি জীবনটা স্বপ্নেই কাটায় দেয়া যেতো। সেই মানুষ গুলাও অনেক বদলে গেছে। যাদের দুখের সময় গুলতে দিনের পর দিন সঙ্গ দিয়ে গেছি। শুধু আমি পারিনি বদলাইতে। সকালে উঠে আবার মুখে হাসি নিয়ে বের হব। নোংরা জোকস করবো দোস্ত , বন্ধু আর ছোট ভাইদের সাথে। একটা বিচে ছোট্ট একটা জুসের দোকান দিতে ইচ্ছা করে। আর সারা রাত বিচে শুয়ে গান শুনব। সব কিছু থেকে দূরে, সব কিছু। জানি হবে না এমন কিছু। সকাল আসতেছে । আবার শুরু করতে হবে ভালো থাকার অভিনয়। জীবন টা সিনেমা হলে ভালো হতো। অভিনয় করার জন্য কিছু পয়সা তো পেতাম।

এতো হাগু কই যায়

আমরা কখনো চিন্তা করেছি যে আমরা প্রতিদিন কতো হাগু করি, আসলে এতো হাগু কই যায় ? এইটা অবশ্যই মাথায় আসার কথা। লাখ লাখ টন হাগু আসলে যায় কই ?  যাদের মাথায় এই চিন্তা  এসছে তারা এখন আমার স্ট্যাটাস পড়ে খুশি হবেন কেননা আমি জানতে পেরেছি আসলে এতো হাগু কই যায়। সাত মসজিদ রোডের Read More

ঈদের আনন্দ

ঈদের আনন্দটা পাই না আর। একটা সময় এই ঈদের জন্য থাকতো তীব্র উত্তেজনা আর প্রতীক্ষা। ঈদের সাথে অনেক জটিলতাও চলে আসে এখন। আগে আসতো না। ঈদের জন্য মার্কেটে শপিং করতে যাওয়াটা কখনো কখনো ঈদের চেয়েও আনন্দময় মনে হতো। প্রতি ঈদে জেমস,বাচ্চু, Read More