পাগল

আমার কাউন্সিলর (ডাক্তার): আপনি অনেক বেশি চিন্তা করেন কে কি ভাববে। আপনি যেভাবে ভাল অনুভব করবেন সেভাবে চলবেন কারও অসুবিধা না করে। আমি আপনাকে কিছু টেকনিক্স শিখাব কিভাবে এসব চিন্তার সাথে ডিল করবেন।
আমি: অকে
ডাক্তার (২ সপ্তাহ পরে): আপনি কি একা একা কথা বলেন?
আমি: জ্বি , এটায় তো সমস্যা নেই। কারও অসুবিধা হচ্ছেনা।
ডাক্তার: কিন্তু মানুষ তো পাগল ভাববে !!!!
(ডাক্তারের সাথে তর্ক করতে চাচ্ছিলাম যে আপনি ই তো বলছিলেন যেভাবে ভাল লাগবে সেভাবে চলতে। কে কি ভাববে সেটা না ভাবতে। কিন্তু ডাক্তারের সাথে তরক করলে উনি কি মনে করবেন তাই ভেবে চুপ মেরে গেলাম  )

মোটিভেশনাল স্পিচ

বিল গেটস কিংবা স্টিভ জবসের জীবনী পড়ছেন ? অস্থির না ? কত মোটিভেসনাল। আহা। আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার স্টোরিটা জানেন তো? গরিবের সন্তান ছিলেন, চাকরির জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। অনেক ইন্সপিরাসন পাবেন উনাদের গল্প গুলো পড়লে। সাথে রবিন শর্মার স্পিচ মিশায় নিবেন দুই চামচ। লাইফ সেট। আপনারে আর পায় কে। উড়বেন খালি। সেই মেয়েটা কি যেন নাম ভুলে গেছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করত। সন্ধ্যায় কাগজের ঠোঙা বানায় দোকানে দোকানে বেচত। কঠিন অধ্যবসায় আর পরিশ্রমের ফোলে একদিন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ঢুকে পরে সে। আর আব্রাহাম লিঙ্কনের বাবা যে একজন গরিব কৃষক ছিলেন সেটা কে না জানে। এমন হাজারও সফল ব্যাক্তিক্তের হদিস মিলবে বইয়ের পাতায়। হদিস মিলবে উইকিপিডিয়ায়, মিলবে সুখন সাহেবদের স্পিচে। সেই ছেলেটার কথা কেউ বলবেনা যে পরিবারের শেষ সম্বল জমিটুকু বেচে খামার করেছিল। মড়কে সব গুলো মুরগি মারা গিয়েছিল যার। আকিজ সাহেবের কথা বলবে সবাই। সামান্য বিড়ি ব্যাবসায়ী থেকে বিশাল সম্রাজ্জের মালিক হয়েছিলেন। আরও লাখো উদ্যোক্তা ছিল বিড়ি শিল্পে। ঝরে গেসে। সারভাইভ করতে পারে নাই। তাই তাদের কথা আপনি জানেন না। হ্যাঁ, ইতিহাস পরাজিতদের মনে রাখে না। ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প হয় , দূরে যাওয়ার গল্প হয় না। সবাই সফল হয় না। লাখো উদ্যোক্তা ঝরে যায়। একজন সফল হইলেই তারে নিয়া লাফালাফি শুরু হয়। সবাই তার মত হবার স্বপ্নও দেখে। মোটিভেশনাল স্পিকার ভাইয়েরাও তাদের গুণগান গাইতে থাকে। নইলে তাদের ইউটিউবে ভিউ বাড়বেনা, পোস্টে লাখো লাইক পরবেনা। বাস্তবতা হইল উনারা স্পেশাল। আপনে না। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক প্রতিভাবান ছিল, আর কারও কারও সাথে যা হইছে সেটা মিরাকল। সবার সাথে মিরাকল হয় না। এদের হিস্টোরি গুলা পড়ে আমাদের আশার বেলুন এতটাই ফুলে থাকে যে অনেকেই আমরা বাস্তব থেকে ফ্যান্টাসিতে চলে যাই। যখন স্বপ্ন গুলা ভাঙতে থাকে একটার পর একটা তখন বাস্তবে ফিরে আসি। তাই আমার মনে হয় তিন চামচ মোটিভেশনাল স্পিচের সাথে অন্তত এক চামচ ডিমোটিভেশনাল স্পিচ খাওয়ানো উচিত। যাতে পোলাপানগুলা একটু হইলেও বাস্তববাদী হতে পারে। মনে রাখতে হবে Exception is not an example.

কালো মেয়ে বনাম ধলা মেয়ে

ফেবুতে আজকাল খুব লিখা লিখি হচ্ছে কালো মেয়েদের নাকি বিয়ে হয় না। পাত্র পাওয়া যায় না। অনেকে কালো মেয়ে দেখতে এসে ছোট ধলা মেয়ে কে বিয়ে করে নিয়ে যায়। কালো মেয়েটি বেচারি একাই থাকে। ঘটনা সত্য। আপনি স্টাব্লিস কিংবা আপনার বাপের যথেষ্ট টাকাকড়ি আছে, বাড়ি গাড়ি আছে?  ভুলেও কালো মেয়ে বিয়ে করবেন না। টাকা দিয়ে যখন কিনবেন ভাল দেখে কিনেন। পাত্রি পক্ষের চাহিদা অনেক। মেয়ে যেমনি  হোক ছেলে চাই তাদের আ্যমেরিকা প্রবাসি গ্রিন কার্ড ধারী অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো জব হোল্ডার অথবা ঢাকায় ৬ তলা বাড়ির মালিক। ৫/৬ বছর প্রেম করার পর অনায়সে পরিবারের দোহাই দিয়ে একটা মেয়ে চলে আসে। পরিবারের পছন্দে বিয়ে করে কোন রাজপুত্র কে। ছেলেটা পারেনা থানায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভনের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ এর মামলা করতে। কিছুই যে হবেনা। ওই দিকে ব্লাডি মিডল ক্লাস সে। দাতে দাত চেপে কষ্ট হজম করে যেতে হয় তার। মেনে নিতে হয় তাকে। যে মেয়েটি সারা জীবন একসাথে থাকার ওয়াদা করে তাকে একদিন দেহ মন সব সপে দিয়েছিল, ভালবাসা আর মায়ায় তার পৃথিবীর প্রায় সবটাই দখল করে নেয়,  যার চলে যাওয়ায় ছেলেটির পুরো পৃথিবী একটা শুন্য স্থানে পরিনত হয়, মেয়েটি কিন্তু তার হবু স্বামীর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে শপিং করতে করতে সব ভুলে যায়। ছেলেটি ও একদিন হয়তো গাজা বিড়ি ফুকতে ফুকতে মেনে নেয় সব। অনেক দেরি হয়ে গেছে তত দিনে। হয়তো তার ক্যারিয়ার টাই শেষ। ছেলেরাও রেপ হয়। সমাজ দেখেনা। যারা জেন্ডার ইকুয়ালিটির কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন কখনো ভেবে দেখেছেন কি যে এই দেশে কোন ভাল বেতনের চাকুরিজিবী মেয়ে কোন বেকার ছেলেকে বিয়ে করবে কিনা? করতে চাইলেও তার পরিবার থেকে দিবে কিনা? দিলেও এই বালের সমাজ কি রেস্পন্স করবে? সবাই বলে মন টাই আসল। মন দেখ। দেহ আর রুপ নাকি ফুড়িয়ে যায়। মন দেখে কোন পরিবার মেয়ে বিয়ে দেয়?  টাকা দেখে দেয়, সামাজিক অবস্থান  দেখে দেয়, জব দেখে দেয়। তাই আপনাকে আবার বলছি যদি আপনার সামর্থ্য  থাকে তাহলে সুন্দর চকচকা মেয়ে দেখে বিয়ে করুন। জিতার অউকাত থাকলে রানার্স  আপ কেন হবেন!!!

হিটলার এবং নোয়াখালী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের দিকে। পরাজয় বরন করে নিয়েছে হিটলার বাহিনী। লিখিত ইতিহাস থেকে জানা যায় আত্মহত্যা করেছিলো হিটলার। যে মানুষটি ছিল লাখও মানুষের মৃত্যুর কারণ সে আত্মহত্যা করবে এটা মেনে নেয়া অনেকের কাছেই কষ্টকর ছিল। হিটলারের নাৎসি বাহিনী কে নিয়ে গুজবের কোন শেষ ছিল না। কারো কারো মতে নাৎসি বাহিনী চাঁদে তাদের গোপন ঘাটি গড়েছিল। চাঁদে নাকি এখন বসতি গড়ে তুলেছে হিটলার বাহিনী। কারও কারও মতে ঠিক চাঁদ নয় হিটলার বাহিনী বসতি গড়ে তুলেছে মঙ্গল গ্রহে। হলও আর্থ নিয়েই এমন কাহিনী প্রচলিত আছে। হিটলার বাহিনী পালিয়ে চলে গিয়েছিল পৃথিবীর অভ্যন্তরে যেখানে বাস করে একটা আদি ও উন্নত জাতি। এরকম অসংখ্য কাহিনী প্রচলিত আছে হিটলারকে নিয়ে। যাই হোক আমরা কত জন জানি যে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশও নিয়ে হিটলারের একটি কাহিনী আছে। এক দল ইতিহাসবিদ মনে করেন হিটলার পালিয়ে চাঁদে, মঙ্গলে, আন্টারটিকায় কিংবা হলো আর্থে যায়নি। হিটলার সাহেব পালিয়ে চলে এসেছিলেন নোয়াখালীতে। এর স্বপক্ষে তাদের Read More

ইলুমিনাটি ও নোয়াখালী

ইলুমিনাটি নামটার সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত। ড্যান ব্রাউনের অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডেমনস কিংবা দি অ্যারাইভালসের কন্সপাইরেসি থিওরি। এক জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায় চার্চের কাছে নির্যাতিত বিজ্ঞানীদের একটা গোপন সঙ্ঘ গড়ে তোলার ইতিহাস। আবার আরেক কন্সপাইরেসি থিয়োরিস্ট গ্রুপের মোটে ইলুমিনাটি সাক্ষাত শয়তানের উপাসনাকারী সঙ্ঘ। তারাই নিয়ন্ত্রণ করে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি আর রাজনীতি। কিন্তু আমরা কয়জন জানি যে ইলুমিনাটির একটা অধ্যায়ের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের একটি অঞ্চলের নাম। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। নোয়াখালী। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই অজানা কাহিনী। Read More

পিক আপ লাইনস ছবির সাথে ! (Pack-1)

লাইনগুলো যাদের গান থেকে নেয়া হয়েছে: প্রীতম, জেমস, অঞ্জন, আরও অনেকে !!!

বাংলাদেশের ক্রিকেট

সাকিব মুশফিকদের জন্য ছয় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু কিছু মানুষের চুলকানিও শুরু হয়ে গেছে। টাকাটা কি বন্যার্তদের জন্য দেয়া যেতনা? কিংবা জনগণের কল্যাণে টাকাটা কাজে লাগান যেত? চিন্তা করে বলেন তো ভাই টাকাটা কই থেকে আসতেছে ? বাংলাদেশ ভালো খেলে বলেই আমরা আইসিসি আর স্পন্সরদের কাছে বলতে গেলে ভালোই টাকা পাই। কিন্তু প্লেয়াররা বাকি দেশের প্লেয়ারদের তুলনায় বেশ কম টাকা পায়। কিন্তু এটা নিয়ে তাদের কোন ধরনের অভিযোগ নাই। তারা মাঠে মনঃপ্রাণ দিয়া খেলে। আচ্ছা এবার আসেন বলই কেন আমরা তাদের উৎসাহিত করব পুরস্কার দিয়া। আমাদের দেশের মানুষের নিজেদের বিনোদনের খুব অভাব। আমরা খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকি। একদিন নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ চলছিল। বেশ উত্তেজনাকর ম্যাচ। আমি তখন লোকাল বাসে Read More

মহাপ্রলয়

তাহার সাথে যখন আমার প্রথম কথা হয় তখনি যেন মনের ভেতরে কেমন একটা খোচা লেগেছিল। মনে হল কোন একটা কিছু একটা শুরু হতে যাচ্ছে।  পাত্তা দেইনি। বুঝতে পারি নি কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি। আগে জানতাম না প্রেম কি। যখন শুনতাম একজন আরেকজনকে বলছে তাকে ছাড়া বাচবে না তখন হাসি পেত। কিছুতেই মাথায় ঢুকত না একজন কেন আরেকজন কে ছাড়া বাঁচবে না!!! কি আজিব! সেই আমি একদিন তাকে বলেছিলাম আমি তোমাকে  ছাড়া বাচতে চাই না। আমি পারবো না। তখন খুব অবাক লাগল।  আমি এই কথা বলছি!! সিরিয়াসলি!! আবার এক সময় চিন্তা করতাম সত্যি কি আমি তাকে ছাড়া বাচতে পারবো না?  সে যদি কখনও চলে যায়? তখন কি আমি আত্মহত্যা করব? ধুর হালা, অয় তরে জিন্দিগিতে ছাইড়া  যাবে না। নিজেকে সান্তনা দিতাম। হয়ত তখোনি মুঠোফোনে তার পাঠানো ক্ষুদ্র কিন্তু ভিষন ভাবে রোমান্টিক কোন বারতা চলে আসতো। অদ্ভুত একটা আনন্দে চোখ বন্ধ করে ফেলতাম। চিন্তা করতাম এটাই কি স্বর্গসুখ! সত্যি কি আমি এটা অনুভব করছি!নাকি স্বপ্ন সব। ঘুম ভাংলেই চলে যাবে। তাকে আমার পৃথিবির প্রায় সবটা দিয়ে দিয়েছিলাম। খুব বড় ছিলোনা আমার দুনিয়াটা। সবটা জুড়েই ছিল সে। তারপর যখন মহাপ্রলয়ে আমার পৃথিবিটা ধ্বংস হচ্ছিল তখন আমি তাকে আর খুজে পাইনি। সে তখন আমায় ছেড়ে অনেক দূরে। চেষ্টা  করলাম তাকে ফিরিয়ে আনার। ফিরে আসেনি সে। আস্তে আস্তে মহাপ্রলয় থেমে গেল। আমার পৃথিবিটা তখন একটা শুন্য কবরস্থান। আমার আশা আর সব স্বপ্ন গুলোর কবর সেখানে। ভেতর টা অস্বাভাবিক রকমের তেতো এখন। ভয়ংকর রকমের নিস্তব্ধ।  অনেকেই চেষ্টা  করেছে টেনে তুলতে। পারেনি কেউ। পারবেও না। আমিও আর উঠতে চাই না। নিশব্দতার মাঝে ডুবে যাওয়ার মাঝে অদ্ভুত এক প্রশান্তি আছে। সিগারেটের ফিল্টারে ঠোট রেখে চোখ বন্ধ করে সহজেই অন্য কোন জগতে চলে যাওয়া যায়। একটা বাজি জিততে গিয়ে অনেক বেশি হারিয়ে ফেলেছি। 

মৃত্যু

আমার পুরোটা ছোটবেলাটা কেটেছে মৃত্যু চিন্তায়। কাউকে বলতে পারতাম না আমি প্রচণ্ড ভয় পাই। একা থাকলেই মনে হত একদিন মরতে হবে। সত্যি কি afterlife বলে কিছু আছে? যদি থাকে তাহলে কেমন সেটা? কি হবে সেখানে? অনেক পরে বড় হয়ে জেনেছি এটা একটা মানসিক রোগ। তখন বুঝলে হয়তো আরেকটু সুন্দর হত ছোটবেলা। মনে হলেই খুব খালি খালি লাগে। মানুষের জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সময়টা নাকি ছোটবেলায়। খুব একটা উপভোগ করা হয়নি। দাঁত মুখ চেপে ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতাম। এখন যখন রাতে চিন্তা করি সেসব সময়ের কথা খুব হাসি পায়। না এখন আর আমি মৃত্যু ভয় পাই না। চিন্তাও হয় না। মৃত্যুটা দেখতে ইচ্ছা করে। খুব কাছে থেকে। সিগারেটের প্যাকেটের সাবধান বাণী যেন আরও উৎসাহ দেয় আমাকে সিগারেট খেতে। আস্তে আস্তে ব্লার হয়ে আসে সব।

আমি বাংলায় মাড়া খাই

আমি বাংলায় মাড়া খাই
আমি ঢাকার জ্যামের মাড়া খাই
আমি আমার আমিকে চিরদিন এই শহরের পচা গলিতে খুঁজে পাই
আমার বাংলায় ভাঙ্গে স্বপ্ন
আমার বাংলায় কান্নার সুর
আমি এই বাংলার কানা গলিতে হেঁটেছি এতটা দূর
বাংলা আমার মাড়া খাওয়ার ইতিহাস
বাংলা প্রাণের দুখ
আমি একবার মাড়া খাই, বারবার মাড়া খাই,মাড়া খাই করে নত মুখ Read More