biri_imrul

সিগারেট , নিকোটিন আর আমি

আমার সিগারেট খাওয়ার শুরুটা হইছিল কলেজে থাকতে। সিগারেট না খাইলে নাকি পার্ট নেয়া হয় না ঠিক মতন। বয়েজ স্কুল – কলেজে  ছিলাম। সেভাবে মেয়েদের সামনে পার্ট নেয়ার সুযোগ  বেশি আসত না। যখনি আসতো মিস করতে চাইতাম না, দুই আঙ্গুলের ফাকে বেনসন রাইখা পার্ট নিতাম। সব সময় বেনসন খাওয়ার অওকাত থাকতোনা। তৎকালীন বাজারে লিজেন্ড নামে এক খানা সিগারেট ছিল যেটা দেখলে দূর থেকে মোটামুটিভাবে বেনসন লাইট মনে হইতো। শুধু লিজেন্ড ব্যাক্তিরাই লিজেন্ড সিগারেট খাইতো।  আর দোকানদার মামারে হাত কইরা বেনসনের প্যাকেট ম্যানেজ কইরা ওইটার ভিতর লিজেন্ড নিয়া ঘুরতাম আর মাঝে  মাঝে মাইয়া দেখলে একটা বাইর কইরা ধরাইতাম। সত্যি বলতে ভিতরের কোন টান ছিলোনা সিগারেটের জন্য। সময়ের বিবর্তনে ডাইনোসর মুরগিতে পরিণত হইছে। আর আমার দু আঙ্গুলের ফাকে থাকা সিগারেটাটা কখন যে লাক্সারি প্রোডাক্ট থেকে জীবনের সব চেয়ে নেসেসারি প্রোডাক্টে পরিণত হয়েছে টের পাই নাই। এখন মেয়ে মানুষ দেখলে সরে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে সিগারেট ধরাই। সময়ের সাথে সাথে কত কিছুই না চেঞ্জ হয়ে যায়। যখনি পুরনো কোন কষ্ট মাথাচড়া দিয়ে উঠে কিংবা একটার পর একটা ব্যর্থতার চিত্র চখের সামনে ভেসে উঠে তখনি হাতটা নিশপিশ পরে একটা সিগারেটের জন্য। একটু নিকোটিনের জন্য। একটা সুখটান যতটুকু মনটাকে শান্ত করে অন্য কোন কিছুই সেটা পারেনা। দু আঙ্গুলের ফাকে সিগারেটের  অনেক ব্র্যান্ড চেঞ্জ হইছে কিন্তু নিকোটিনের প্রতি আসক্তি এক রত্তি কমেনি। মনে হয় না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কমবে। একাকীত্বের রাতে , কষ্ট চেপে রাখা দুপুর গুলোতে, ঘুম না না আসা মাঝ রাতে, অনেক পুরোনো কোন স্মৃতিকে মনে করে যখন চোখ দিয়ে এক দুই ফোটা জল গড়ায় তখন হাতে একটা সিগারেত না হলে কি চলে ? না চলে না। এক দিন এক বড় আপু বড় আপু বললেন ছাইপাশ ছাড়। হারাম জিনিষ। দোজোখে যাবি সোজা। প্রচন্ড হাসি পাইসিলো সেদিন। Read More

imrul_net_insomnia

নির্ঘুম রাতের গল্প

প্রায় তিন রাত্রি কোন ঘুম নেই। আজকে দুপুরে কোন মতে দুই ঘণ্টার একটা ঘুমের মতন কিছু একটা ছিলো। মানুষ খুব বিষাদ প্রিয় একটা প্রাণী। হাজারটা সুখের উপলক্ষ ছেড়ে ছেড়ে সে সুদূর অতীতে ফেলে আসা  দুঃখ গুলোকে কে খুজে ফিরে। পুরনো কোন ডাইরির ফাকে থেকে বের করে ভাজ একটা মলিন চিঠি। কে জানে হাজার বার পড়া চিঠি টা আবার কেন তাকে টানে। চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়া কয়েক ফোটা অশ্রুর সাথে তাকে সঙ্গ দেয় দুই আঙ্গুলের ফাকে একটা সিগারেট। হাজারটা সুখের স্মৃতিকে দূরে ঠেলে আপন করে নিতে ইচ্ছে করে সেই দুঃখ টাকে।  মাঝ রাতের সুনসান রাস্তায় হেটে বেড়ায় সে। সারা দিনে অসংখ্য যানবাহনের দ্বারা ধর্ষিত রাস্তাকে রাতের বেলা কি শান্তই না দেখায়। সেই রাস্তায় ডিভাইডারের উপর বসে কোন কুকুরকে রুটি খাইয়েছেন ? রুটি শেষ হয়ে গেলেও কিন্তু কুকুরটি আপনাকে ছেড়ে যাবেনা। বসে থাকবে। কুকুরও কি তাহলে কষ্ট কে বুঝতে পারে? কে জানে। সমুদ্রের পাড়ে থাকলে না হয় ঝিনুক কড়াতাম। কিন্তু আমার বাস কনক্রিটের জঙ্গলে। তাই মাঝ রাতে রাস্তায় জ্যোৎস্না কুড়াই। রাস্তার ও কি কষ্ট আছে? হয়তো আছে। এখন আর মাঝ রাতে বের হওয়া হয় না। মা টের পেয়ে গেছে। মেইন দরজা বন্ধ করে চাবি নিয়ে ঘুমাতে যায়। বসে থাকি বারান্দায়  নির্বোধের মতন।  তোর তো এখন ঠিকই স্বপ্নের মতন সাজানো সংসার। স্বামীর সাথে হানিমুন। সপ্তাহে রুটিন করে দুই দিন বাইরে ঘুরতে যাওয়া। আর আমার জন্য প্রতি সকালে অপেক্ষা করে ব্যার্থতার গ্লানি। আমিও তো চেয়েছিলাম এমন একটা  জীবন। আমি পাইনি। কয়েক মুহুর্তের জন্যেও কি আমায় মনে পড়ে না? আচ্ছা এক মুহূর্ত ঠিক কতটা সময়? কে জানে। আমি জানি না। সময় চলে যাচ্ছে খুব দ্রুত। পুরাতন সব স্মৃতি গুলাও এখন ফিকে। বড় কোন চাওয়া নয়, খুব ছোট ছোট স্বপ্নেরা যখন  অপূর্ণ থেকে যায় তখন কেমন একটা কষ্ট হয়। বড় বড় মনিষীরা সব সময়েই কষ্টকে অনেক মূল্যবান বলতেন। কখনও বুঝি নাই কেন। এখন বুঝি। সুখের সময়টা হয় ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড এর মতন। রাত শেষ মজাও শেষ। কিন্তু দুঃখ গুলা হয় রত্ন। নির্ঘুম রাতে খুব সুন্দর প্রেয়সীর মতন সঙ্গ দেয়। আবার সকালে চলে যায়। কিন্তু সময় মতন ঠিকই ফিরে আসে।

আবার কোন রাতে যদি
বিষাদ ছুয়ে যায়
তখন খুজো না হয় আমায়
ভেজা জোসনায়
mektup

স্বপ্ন, চিঠি আর শূন্যতা

কষ্ট গুলো আগের মতন নাই। জমাট বাধা। যখন তখন বের হয় না আর। আকাশের দিকে রাতের বেলা তাকালে কিংবা একলা তীব্র জ্যামে লোকাল বাসে,কি কি যেন মনে পড়ে। নিজের অজান্তেই ঝাপসা হয়ে যাওয়া চোখ মুহূর্তেই শুকিয়ে যায়। হাহাকার আর শূন্যতায় হুহু করে কেঁপে উঠা বুক মুহূর্তেই চেপে যায় অনেকগুলো বছরের অভ্যাসে। আবার একটু ফিরে দেখা অতীতে। না, খুব বেশি কিছুও নাই সেখানে, যা আছে সেটার দিকেই নিস্পলক তাকিয়ে থাকা, পরক্ষনেই ফিরে আসা বর্তমানে। শ্বাস নিতেও কষ্ট হয় এখানে, শ্বাস ছাড়তেও কষ্ট। একেকটা সিগারেট নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। সিগারেটের প্রতিটা টানে লুকিয়ে থাকে ব্যর্থতার গল্প, যন্ত্রণার ছবি, হেরে যাওয়া জীবন থেকে অনবরত পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা খোজার চেষ্টা, আরও কত কি! কিন্তু যেখানেই আগের দিনটি শেষ হয়েছিল পরদিন সকালে ঠিক সেখানেই ফিরে যাওয়া। দুঃস্বপ্নের চেয়েও ভয়ংকর জীবন। কনডেম সেলে বন্দি ফাঁসির আসামিও জানে তার মুক্তির দিন, কিন্তু এই যন্ত্রণার শেষ কবে, কে জানে। Read More

কবে যাব পাহাড়ে, আহারে

কবে যাব পাহাড়ে, আহারে

আমার জন্মটা যদি পাহাড়ে হত? শহরের কনক্রিটের বস্তির বদলে পাহাড়ি কোন বস্তিতে বেড়ে উঠতাম। সকালে রাস্তায় নেমে জঘন্য গাড়ির হর্নের শব্দের বদলে পাখির কিচিরমিচর। ছেড়া প্যান্টের পকেটে পাহাড়ি ফল। রাতের বেলা কোন আলো দুষন নাই। শান্ত চোখে আকাশ দেখা। চাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা অনেক সাধারন। হয়তো আ্যম্বিশন গুলাও অনেক ছোট থাকতো। ক্যাপিটালিস্টিক সোসাইটিতে সারাক্ষণই বড় হবার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। প্রতিটা বিজ্ঞাপনের পিছনে থাকে কোন না কোন প্রডাক্ট বেচার ধান্দা। ওরা যাকে আশা বলে সেটা আসলে মরীচিকা। মরীচিকার পিছনে ছুটে চলতে চলতেই একদিন সব শেষ। আমি চাই না কোন মরীচিকার পিছনে ছুটতে। পাহাড়ে ছুটতে চাই, ছুটতে চাই বনে বাদারে কিংবা সাগরের তীরে। রাতে চোখ ঝলসানো দেখতে চাই না। অনেক কষ্ট হয় চোখে শহরের তীব্র আলোকসজ্জা দেখতে। লেটেস্ট মডেলের মার্সিডিজের চলা কোন বড় কোম্পানির CEO হওয়ার স্বপ্ন দেখিনা। পাহাড়ের উপর বিচ্ছিন্ন একটা কটেজ। সকালে করা এক কাপ চায়ের সাথে একটা সিগারেট। খালি পায়ের নিচে কুয়াশায় ভিজা ঘাস। দূরের কোন পাহাড়ে সজ্জিত চা বাগান। কোন দিন বৃষ্টি ঝরাবে মমতা ভরা মেঘের দল। শহরের ডিজিটাল বস্তিতে আস্তে আস্তে দম শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিকোটিনে ভরা ফুসফুসে খুব বেশি শ্বাস বাকি আছে বলে মনে হয় না। জীবনের প্রতিটা জায়গা তেই চরম ভাবে ব্যর্থ আমি। পড়াশোনা থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার, কিংবা ভালোবাসায়। জীবনে চাওয়ার লিস্ট টাও  Read More

imrul-net

শামুকের মতন

অঞ্জনের গানে শুনেছিলাম বয়সের সাথে সাথে নাকি চোখের জল কমে যায়। বুঝি নাই সেই ছোট বেলায়। গান গুলা কেবল শুনতেই ভালো লাগতো। এখন বুঝা যায়। মিডল ক্লাসের যন্ত্রনা সহ্যের ক্ষমতাটা অনেক বেশি। এরা ধাক্কায় পরে যায় কিন্তু মুহুরতেই এক গাল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। খুব কম স্বপ্নই এদের পুর্নতা পায়। মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখাও বন্ধ করে দেয় এরা। সামান্য চাওয়াটাও আকাশ কুসুম মনে হয়। নাগরিক জীবনের অসহ্য যন্ত্রনা, সাথে যোগ হয় হাজারটা দায়িত্ত্ব। তীব্র বৃতৃষ্ণা নিয়ে বেচে থাকা। শামুকের মতন গুটি গুটি পায়ে চলা। মনে হয় কে যেন হাজার কেজি ওজনের পাথর বেধে দিছে পায়ে। এই শহর আমার কাছে থেকে কেড়ে নিয়েছে তারা ভরা আকাশ। তারা দেখা যায়না এখানে। ইটের দেয়ালের চিপায় ফেলে সে নিংড়ে নেয় জীবনের বাকিটুকু চাওয়া। বিনিময়ে দেয় খুব সামান্যই।

hope_and_dreams

অদ্ভুত সমাজ ব্যাবস্থা

একটা অদ্ভুত সমাজ ব্যাবস্থা। আপনাকে অবশ্যই বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় বড় বুলি অউরাতে হবে। আরও আজিব আমাদের মোটিভেশনাল স্পিকার ভাইয়েরা। সবাই আপনাকে শিখাবে কিভাবে বড় হবেন। কাকে ফলো করবেন। আপনি যদি বলেন আপনার স্বপ্ন ছোট একটা কফির দোকান খুলে সারা দিন কফি বেচবেন আর বই পড়বেন। সবাই হাসবে। কারন তারা বলে ড্রিম বিগ। কেউ বলেনা বি হ্যাপী (নট রুবেলের হ্যাপী)। আপনি কেমন ড্রিম দেখবেন, কি হবেন সেটাও সোসাইটি ঠিক করে দিবে। ফ্রি উইল একটা ভ্রম। একবার লুপে পড়ে গেলে আর বের হতে পারবেন না। চিৎকার করে কাদলেও না। আর লুপে পরতেই হবে। লুপে পরা ছাড়া কোন উপায় নাই। সোশাল চাপ, পরিবারের চাপ, বন্ধুবান্ধবের চাপ , কাদেরের চাপ … Read More

what-the-night-sky-looks-like-at-8-different-levels-of-light-pollution-2

আলো দূষণ

সবাই ব্যাস্ত পানি, বাতাস আর শব্দ দূষণ নিয়ে। এইদিকে আমার রাতের আকাশ কেড়ে নিয়ে গেছে আলো দূষণ। এখন রাতের আকাশ উপভোগ করা হয়না আগের মতন। শহরে তো নয়ই। শহরে থেকে মিল্কিওয়ে দেখবার আশা করাটা বোকামি। সম্ভব না জানি। কিন্তু একটু তারা ভরা আকাশ দেখতাম ছোট বেলায়। বিশেষত লোডশেডিং এর সময়। পাক্কা এক ঘণ্টার লোডশেডিং হত। এখন ও হয় কিন্তু জেনারেটরের শব্দ কেড়ে নেয় রাতের আকাশ। তারা দেখা হয় না। যেখানেই তাকানো যায় সেখানেই অতি মাত্রায় ঝিলিমিলি আলো। সবখানেই বিয়ে বাড়ির উৎসব। কিন্তু হায় আনন্দ নাই। সবই শো অফ। চোখ বন্ধ করে রাস্তায় হাটতে ইচ্ছা করে। চোখে লাগে আলো। ভালো লাগে না। মানুষ ভারসাম্যহীন হওয়ার আগে নাকি আলো সহ্য করতে পারে না। মনে হয় সত্যি না। অনেক দিন ধরেই আলো সহ্য হয়না। তাহলে এত দিনে উন্মাদ হওয়ার কথা। না হই নাই এখনও। হইলেও ভালো ছিল। এস্পার নয়তো ওস্পার। দুই দিনের জন্য যদি পুরো ঢাকাকে আধারে ডুবায় দেয়া যেত। হোক কিছু লস। সম্ভব না। কোনভাবেই সম্ভব না। সময় শেষ হয়ে আসতেছে। বাকি নাই বেশি আর। হিলসে যদি কোন জব করতে পারতাম। কিংবা ফরেস্টে। আজকাল ট্রেন্ড সবাইলে বড় স্বপ্ন দেখতে শিখায়। দুবাইয়ে পাচতারা হোটেলে পার্টি কিংবা লাস ভেগাসে ট্রিপ। কর্পোরেট জায়ান্ট কিংবা বিজনেস ম্যাগনেট। মোটিভেশনাল স্পিকাররা সারাক্ষণ ই তাদের ভাঙ্গা ক্যাসেটে বলে বেড়াচ্ছে স্বপ্নও বড় দেখতে। গরিব হয়ে জন্ম নেয়া আমার দোষ না হলেও গরিব অবস্থায় মারা যাওয়া নাকি আমার দোষ। আবার ছোট বেলায় পড়েছিলাম অর্থই নাকি সব অনর্থের মুল। কোনটা মানবেন ? আসলে ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশার খবর কেঁউ রাখেনা। সবাই ওই চুড়ায় উঠতে ব্যাস্ত। আর যারা এই কম্পিটিশনে যেতে অস্বীকার করে তারা সমাজের দৃষ্টিতে অলস, ভাদাইম্মা আর নির্বোধ হিসাবে পরিচিতি পায়। এসব দেখে নচিকেতা একদা বলেছিলেন ” এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে, ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চড় জয়রথে। শত লাঞ্ছণা দিও, করো আমায় অসম্মান। তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশান ! “

কৃষিকাজ

আমার রুট টা একবারে গেরস্ত। কাকা চাচা সবাই কৃষিকাজ করে। আমার দাদাজান নাকি পড়াশোনা করা একবারেই পছন্দ করতেন না। আব্বায় লেখা পড়া করতে নাকি বাড়ি পর্যন্ত ছাড়ছিল। ছোট বেলায় এসব যখন শুনতাম মেজাজ খারাপ হইত। মনে হত দাদার সাথে যদি দেখা হইত ইচ্ছা মতন ঝারতাম। শালা মূর্খ বইলা কি সবাইকেই মূর্খ থাকতে হবে ? এত সুন্দর শহুরে জীবন। তা বাদ দিয়া গেরামে মাঠে ঘাটে কাজ? সিরিয়াসলি ? টিভি নাই, মুভি নাই, বার্গার নাই এমন একটা লাইফ !! মনে মনে কইতাম আল্লাহ বাচাইসে বাপে আমার পড়ার লেইগা ঘর ছাড়ছিল। রঙিন ছিল সব। বুঝতে সময় লাগলো। আসল রঙটা দেখলাম , একটু দেরিতেই। আমার দাদা যা বুঝেছিল ৬০ বছর আগে সেটা উপলদ্ধি করলাম। অল্প একটু অর্থ, সামান্য বিনোদন, আর একগাদা রঙিন স্বপ্নের (মরিচিকা বলাই ভাল) বিনিময়ে সুখটাই ছিনিয়ে নিয়েছে এই শহুরে জীবন। Read More

অ্যাম্বিশন

টিপিক্যাল অ্যাম্বিশন কোনদিন ই ছিল না আমার রক্তে। বড় চাকুরি পাওয়া কিংবা বড় কোন ব্যাবসায়ি হয়ার স্বপ্ন দেখতাম না। ইচ্ছাও করত না। হাড়ে হাড্ডিতে মধ্যবিত্ত আমি। ভবঘুরে হয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা করত। কিন্তু পরিবারের পিছুটান। পারি নাই। ইচ্ছা করত ঢাকা বরিশাল লঞ্চে বাদাম বিক্রি করি। কিংবা শান্ত একটা বিচে ছোট্ট একটা জুসবার। সারা দিন বিক্রি শেষে রাতে দোকান বন্ধ করে বিচে শুয়ে আকাশ গঙ্গা দেখব। যতক্ষন না চোখ ভর্তি ঘুম আসে। পিছুটান ভাল্লাগেনা আমার। চাইনা কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করুক! নাকি চাই? কে জানে। সোজা চিন্তা করতে পারিনা। সব ঘোলাটে। শুধু এটা জানি এই শহর ছাড়তে হবে। যেভাবেই হোক। জ্যোৎস্না আর ঝিঝিপোকার আলো চাই, শপিং মলের ঝিকিমিকি আলো না। রাতের রাস্তার নিয়ন লাইটও Read More

Infinity War

কালকে রাইতে Infinity War এর অগ্রিম প্রিমিয়ার দেখলাম স্বপ্নে। আমিও আছিলাম মুভি তে।
কাহিনি সংক্ষেপঃ সকাল বেলা দোস্তদের সাথে আড্ড মারতেছিলাম। খিদা লাগলো। এক দোস্ত নাস্তা আনার জন্য সোনালি ব্যাঙ্কের এক খানা চেক দিয়া বললও নান্দুস থেকে নান আর ভাজি আনতে। চেক খানা ভাঙ্গাইতে গিয়া লাইনে দাঁড়াইলাম। অইখানে হটাত Dormammu হাজির। কোন মতে জান বাচায় ভাগতে ভাগতে শুনলাম Thanos আইতাসে। শালায় নাকি অন দ্যা ওয়ে। কি বিপদ। অই দিকে দোস্তরা কল দিতাসে নাস্তা করব। পরে কোন মতে জান বাচায় গেলাম নান্দুসে নান-ভাজি কিনতে। উমা হারামি Thanos আয়া হাজির। বিল্ডিং এর উপ্রে থিকা সোজা ক্যাপ্টেন আমেরিকার কোলে লাফ দিলাম। এর পর আর কিছু মনে নাই। স্বপ্ন ভাইঙ্গা গেল। ক্লাইমাক্স মিসড