ফ্লয়েড, একটি প্রেগন্যান্ট হাতি ও অন্যান্য

এই দুনিয়া তে সব চেয়ে সস্তা সম্ভবত মুসলমানের জীবনের মূল্য। গত কয়েকদিন ধরে ফ্লয়েডের জন্য হোমপেজ ভর্তি পোষ্ট দেখেছি। শেষ দুদিনে কেরালায় মৃত প্রেগন্যান্ট হাতির জন্য। কয়েক দিন আগেই দিল্লি দাঙ্গায় ৫৩ জন মুসলমানের মৃত্যুর খবর এসছে। যারা ফ্লয়েড আর হাতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব তাদের কাউকেই সামান্য দুঃখ প্রকাশ করতে দেখই নাই। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দুঃখ প্রকাশে না প্রকাশে কিছুই আসে যায় না। প্যালেস্টাইন কিংবা সিরিয়ার জেনোসাইডের জন্য কেউ এতটুকু বিচলিত না। যদি কারো বিচলিত হওয়া না হওয়ায় কিছুই আসে যায় না কিন্তু যে বিষয়টা অ্যাালারমিং মনে হয়ে সেটা হলো আমাদের এই নতুন ফেসবুক জেনারেশন কে আমেরিকায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ এর মৃত্যু কিং পোয়াতি হাতির মৃত্য যতখানি নাড়া দেয় তার ১% ও নাড়া দেয় না ৫০ জন মুসলিমের মৃত্য। সম্ভবত এরা স্মার্টনেস মনে করে আমেরিকায় ইস্যুতে প্রতিবাদ জানানো। কিন্তু লাখখানেক মুসলিম হত্যা হলেও একটা সামান্য পোস্ট দিতে এদের লজ্জা লাগে। হয়তো মনে করে মানুষজন জঙ্গি ভাববে। ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর প্রিয় হলিউড সেলেব্রেটিদের সাথে গলা মিলায় বলতে পারে ‘I can’t breathe” কিন্তু হাজার খানেক সিরিয়ানের মৃত্যু তাদের সামান্য নাড়াও দেয় না। শেষ বিচারের দিন আমাদের আমাদের মুসলিম ভাই বোনে দের নির্বাচারে হত্যার জন্য আমাদের কি ভূমিকা ছিল সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। আমেরিকার ফ্লয়েড কিংবা কেরালার হাতি নিয়ে না। চোখের সামনে একটা ব্যাকবোনলেস আবাল ফেসবুক জেনারেশন দেখে আসলে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা হয়।

biri

বিড়ির স্বাদ

বিড়ি কিংবা সিগারেট খুবই আজব প্রকৃতির একটা জিনিস। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন প্রভাবকের  জন্য এর স্বাদ ও পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যেমনঃ বাজারের টাকা বাঁচাইয়া কিনা বিড়ির এক টেস্ট।  বড়লোক বন্ধুরে ছিল দিয়া খাওয়া বিড়ির আরেক টেস্ট। মনের দুঃখে টানা বিড়ির টেস্ট আর মনের সুখে টানা বিড়ির টেস্ট কখনোই এক হয় না। নতুন প্যাকেট খুইলা ফ্রেশ একটা বিড়ির স্বাদ যেমন অনন্য আবার ড্রয়ারে খুজে পাওয়া বহুত দিনের পুরান একটা ড্যাম বিড়ির স্বাদ টাও মন্দ না। গার্লফ্রেন্ডের সাথে বইসা টানা বিড়ি আর বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে বইসা টানা বিড়ির টেস্টের মধ্যেও তফাৎ আছে। ম্যাচের কাঠি দিয়া বিড়ি ধরাইলে বারুদের একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় আবার গ্যাস লাইটার দিয়া বিড়ি ধরাইলে গ্যাসের ফ্লেভার। জিপ্পো দিয়া বিড়ি ধরাইলে তো পুরাই গ্যাসোলিনের ফ্লেভার। অর্ধেক বিড়ি খায়া নিভায় রাইখা পরের দিন বাকি বিড়িটা ধরাইলে আবার তিতা স্বাদ । বিড়ির পিছন দিয়া এক টুকরো মেনথল ঢুকায় খাইলে রিফ্রেশিং ফ্লেভার। কালবৈশাখীতে প্রচণ্ড বাতাসে বিড়ির এক টান সাথে মুখে ছিটা আসা ঝড়ের ঝাঁপটা। এমন টেস্ট আর কোথায় পাওয়া যায় !!! Read More

হার

হার

হার মেনে নিয়ে শূন্য দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকারমধ্যে কোন লজ্জা নেই। বিশ্বাস করো, পরাজয় সবাই মানতে পারে না। তুমি স্কটল্যান্ডের লিজেন্ডারি রাজা ব্রুস না যে বার বার আক্রমণ করে একদিন সফল হবে। মাঝে থেকে বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই হয়তো চলে যাবে। ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়াই কিছু মানুষের নিয়তি। হার মেনে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটানোর জন্য কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে রাখায় কোন দোষ নাই। সবাইকে কে দেখানোর কিছু নাই যে তুমিও পারো। সবাই পারে না। সবাইকে পারতে হয় না। পরাজয়ের তীব্র যন্ত্রণায় কুঁকড়ে আসা বুকটা শক্ত করে মুখে একটা স্মিত হাসি যদি রাখতে পারো ওইটাই তোমার বিজয়। “এক্সসেপশন” কখনো ‘এক্সাম্পল’ হয়না, কোন মোটিভেশনাল স্পিকারকে এটা বলতে শুনি নাই। ভীষণভাবে মধ্যবিত্ত আমি খুব ভাল হারতে জানি। জীবনটা রূপকথা না যে সবসময় হ্যাপি এন্ডিং হবে। এর শেষ টা খুব শোচনীয় হতে পারে। হয়তো ওই পাড়ে ভালো কিছু থাকবে। কে জানে। Read More

maxresdefault

দুঃখবিলাসের ব্যাবচ্ছেদ

ম্যানকাইন্ড তথা মানুষ্যজাতি সবচেয়ে উপভোগ করে কোন বিষয়টা ? উপভোগ করার মত জিনিষের কি অভাব আছে? সফলতা, ক্ষমতা, মদ, সেক্স , ড্রাগস সহ হাজারো জিনিস। এই সব কিছুই উপভোগ করার জিনিষ। কারো ভালোলাগে নারীসংগ কারো বা ক্ষমতা। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে মানুষ সব চেয়ে বেশি উপভোগ করে নিজের দুঃখ গুলো। সম্ভবত এই জন্যই দুঃখবিলাস শব্দটার উৎপত্তি। বাংলা সাহিত্যের সব চেয়ে বিখ্যাত প্রেমের উপন্যাস কোনটা? উত্তরটা সম্ভবত দেবদাস। আর ইংরেজি সাহিত্যে? ঠিক ধরেছেন রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট। দুটোই কিন্তু ট্রাজেডি। দুঃখের উপন্যাস যত সহজে মনকে নাড়া দিতে সক্ষম একটা হ্যাপী এন্ডিং এর বই কি ঠিক ততটা পারে? শুধু প্রেমের গল্পই না, যদি জীবনের অন্য দুঃখ গুলোর দিকে তাকান, সেখানেও দেখা যাবে বাজারে দুঃখের গল্পের জয়। লা মিজেরাবেল ফারাসি সাহিত্যের সর্বাধিক পঠিত উপন্যাস গুলোর একটা। এটার ভিতর যেন  দুঃখের একটা সুবিশাল খনি। একটু ভেবে দেখুন তো টাইটানিক সিনেমায় নায়কের মৃত্যু না হলে সেটা কি আপনার মনে গেথে থাকতো ? ম্যাক্সিম গোর্কির মা বইটার পাতায় পাতায় সম্ভবত দুঃখের জলছাপ। সত্যি বলছি দুঃখের মতন উপভোগ অন্য কোন কিছুকে করা সম্ভব না। কখনোই না। গভীর রাতে লঞ্চের ডেকে চাঁদের দিকে তাকালে কিংবা সমুদ্রের কিনারে Read More

imrul-net

চোখের জলের রঙ

“চোখের জলের হয়না কোন রঙ !” কিশোর কুমার সাহেবের বিখ্যাত একটা গানের লাইন ছিলো এটা। পুরোপুরি সত্য না। তীব্র কষ্টের কান্নার রঙ লাল হয়। রিস্ট কেটে  আত্মহত্যা করা মানুষটার রক্তটা কিন্তু রক্ত না। তা অশ্রু। লাল রঙের অশ্রু। ঘন্টখানেক ছাদের রেলিঙে বসে যখন আর কোন উপায় না দেখে লাফিয়ে পড়া  ছেলেটির চারপাশে ছড়িয়ে পড়া লাল রঙের জিনিসটা কিন্তু অশ্রু। সাদা অশ্রু কেউ খেয়াল করে না, লাল টা করে। আগে মনে হতো শুধু রূপকথাতেই ভালো থাকা সম্ভব।  কিন্তু আমরা শুধু একটা সাইড ই পড়ি রূপকথার।  প্রতিটা গল্পেরই অন্ধকার পাশ থাকে একটা । আমরা জানি না। সব জায়গায় মোটিভেশন এর  ব্যাবসা। অন্ধকারের গল্পে মোটিভেশন থাকে না। থাকে কষ্টের আর্তনাদ।

IMG_20181221_063211

নাবিক, প্রেম ও সমুদ্র

নাবিককে কখনো কোন নারীর প্রেমে পড়তে হয়না। নাবিক প্রেমে পড়বে সমুদ্রের। প্রিয়তমার খোলা চুলে নয়, সে ভালোবাসা খুঁজবে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ে। সংসারে বাধা পড়ার জন্য যে জন্ম হয়নি তার। জানিনা নাবিক সিন্দাবাদ কোনদিন প্রেমে পড়েছিল কিনা। কিন্তু তার প্রথম প্রেম যে ছিলো সমুদ্র সেটা যে বলার অপেক্ষা রাখে না। সমুদ্রের প্রেমে যে পড়বে তাকে অন্য কেউ ফেরাতে পারবে না। কোন নারীর চোখের ভাষা পড়তে না পারলেও রাতের তারা গুলো কিন্তু পড়তে কোন ভুল করেনা সে। কখনো কখনো সমুদ্রতাকে দু’হাত ভরে দেয়। কখনো বা কেড়েও নেয়। ঝড়ের কবলে পড়ে ভেঙ্গে ডুবে যাওয়া জাহাজের একটা তক্তা ধরে জনমানবহীন কোন দ্বীপে হয়তো আশ্রয় হয় তার। কিন্তু সত্যিকারের নাবিক কখনো হাল ছেড়ে দেয় না। হয়তো সামান্য ভেলা বানিয়েই আবারো অনিশ্চত সমুদ্রে ঝাপ দেয় সে। নিজের চেয়েও ভালো চিনে সে সমুদ্রকে। নোনা জলের মাঝেই তার বসতবাড়ি। নোনা জলের মাঝেই তার জীবন।  জুল্ভার্নের অমর চরিত্র ক্যাপ্টেন নিমো সমুদ্রের প্রেমে বিভোর ছিল।  সাবমেরিন নটিলাসে চড়ে চষে বেড়িয়েছিলো পুরো পৃথিবী। সমুদ্র থেকে সবটুকু নিতে পেরেছিলো ক্যাপ্টেন নিমো। পেরেছিলো নাবিক সিন্দাবাদ ও। প্রায় প্রতিবার কোনমতে জীবন নিয়ে ফিরে আসা সিন্দাবাদ বার বার ফিরে গেছে সমুদ্রের কাছে। Read More

imrul-net

মূল্য

একটা ছোট্ট সুন্দর জীবনের জন্য ঠিক কতটা মূল্য দিতে হয় ? না ব্র্যান্ডের কোন জীবন না। শুরুটা তো ভালই ছিলো। জীবনে আমার কোন বিষয়েই তেমন একটা বিলাসিতা ছিলো না। না ছিলো তেমন আহামরি কোন চাহিদা। কিন্তু যন্ত্রনার পরিমান ক্রমাগত বেড়ে চলে। ভাঙতে ভাঙতে মনে হয় না জোড়া লাগার আর কোন পর্যায়ে আছি। ট্রেন যেন ষ্টেশনে পৌছানোর আগেই থেমে গেছে। চরম কোন সিদ্ধান্ত নিতেও ভয় লাগে। আচ্ছা তুই কেন আমার সাথে থাকিলিনা? তুই তো বুঝতিস আমাকে। জানিস আমার খুব ইচ্ছে করে আবার কারো প্রেমে পড়তে। কিন্তু ভয় ও লাগে অনেক। ইচ্ছে করেনা তখন। আমি তো চাইনি এই জীবন। পালাতেও পারিনা। বাস্তবতা আমাকে পালাতে দেয় না। গুনে গুনে অনেক গুলা বছর পার করে দিলাম জীবনের। বার্ধক্য হাতছানি দিচ্ছে। যে পরিমান নিকোটিন এই ফুসফুসে জমেছে তাতে আর কত দিন টিকবো সেটা বলা কষ্ট। কিন্তু বুঝতে পারি খুব বেশি বাকি নেই। মাঝে মাঝেই তোকে স্বপ্নে দেখতাম আগে। খুব কষ্ট হত তখন। এখন আর দেখিনা। সেই কষ্টের অনুভূতি টাকেও যেন খুব মিস করি। অনুভূতি গুলো খুব অদ্ভুত। কষ্টকেও কেন এত ভালো লাগে। অনেক গল্প বলার আছে তোকে। তোর অনেক গল্পও শুনতে ইচ্ছা করে। থেমে থাকা এই জীবনটা আর টানা যাচ্ছে না। Read More

imrul_net

ধোয়া, নিকোটিন ও অন্যান্য

ধোঁয়া হতে ইচ্ছা করে খুব। গাড়ির ধোঁয়া না, পবিত্র আগর বাতির ধোঁয়াও না। সিগারেটের ধোঁয়া হব আমি। কোন ব্যর্থ প্রেমিকের দুআঙুলের ফাকে জ্বলন্ত গোল্ডলিফের ধোঁয়া। তার ভিজে ওঠা ঝাপসা চোখে ধোঁয়া গিয়ে কিছুটা জ্বালা-পোড়া করবো। হয়তো কোন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে দিতে ক্লান্ত আত্থহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া বেকার যুবকের হাতের শেষ সিগারেটের ধোঁয়াটা হব। সিগারেটের ধোঁয়া মিলিয়ে যাওয়ার আগেই হয়তো গলায় ফাঁসটা পরে নিবে সে। পরকীয়ায় ভেঙ্গে যাওয়া কোন সংসারের সেই Read More

imrul-2

প্রথম প্রেম

প্রথম প্রেমটার মতন জীবনে আর কিছুই হয় না। সব কিছুতেই অদ্ভুদ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা যেন মিশে থাকে। প্রথমবার হাত ধরা , একসাথে কোথাও ঘন্টাখানেক বসা, চোখে চোখ রেখে তাকানো আর কখনোই ফিরে আসেনা। ওই অনুভূতই আর হবে না কখনো। পরের প্রেম গুলো হয়তো হবে শরীরের টানে। কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনের খাতিরে। আর বিয়ে, সে তো হবে একটা বিজনেস ডিল। প্রথম সেই অনুভূতি ম্রিয়মান হয়ে যাবে একদিন কিন্তু ভোলা যাবে না, বিশ্বাস করো ভোলা যাবেনা। ভোলা যায় না ওসব। একবার চলে গেলে খুজেও পাওয়া যায় না। বয়সের সাতেহ সাথে কমে যাবে তোমার চোখের জল। মন খারাপ হলেও কাঁদতে পারবেনা। হয়তো সাহায্য নিবে নিকোটিনের। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতন তাকিয়ে থাকবে উপড়ে। আসবেনা সেই বৃষ্টি। একটা ফোটাও পাবেনা বাস্তবে। Read More

ছায়াপথ

যন্ত্রনার ছায়াপথ

ছায়াপথ ধরে হেটে যাওয়া যায়। সবাই পারে না। হাঁটা শিখতে হয়। আকাশ সবার জন্য না। রাতের আকাশ আরো না। ভেজা চোখে মাঝরাত্তিরে আকাশ দেখার সৌভাগ্য ও সবার হয় না। আলো সহ্য হয় না আজকাল। রোদের আলো আর ইলেকট্রিক আলো দুটোই অস্বাভাবিক রকমের যন্ত্রনা দেয়। কিন্তু তারার আলো কেন এত ভালো লাগে? তারার আলোতে নেশা হয়। চাদের আলোতেও নেশা হয়। হুইস্কি/ব্র্যান্ডি কিংবা ব্রাউন সুগারের চেয়ে কোন অংশে কম না সে নেশা। শুধু সেই আলোর সাথে নিজেকে সিঙ্ক্রোনাইজ করে নিতে হয়। সাথে সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করতে হয় রাতের অন্ধকারের সাথেও। তারপর শুরু হয় জীবনের চাওয়া পাওয়ার সব হিসাব। অনেক না পাওয়ার মাঝেও প্রাপ্তির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু পূরণ না হওয়া বিবর্ণ স্বপ্নগুলোকেই চাদের আলোতে তখন ট্রেজার মনে হয়। হারানো শৈশবের কথা ভেবে কখনো দু-এক ফোটা নোনা জল চলে আসে। স্কুল গেটের বাইরে ২ টাকার হজমির স্বাদ যে কেন্টাকির  তিনশ টাকার জিঞ্জার বার্গারের চেয়ে ভালো ছিল। নিজের তেমন কোন দুঃখ ছিলো না। কখনো দুঃখ ধার করেছি ভিক্টর হুগোর জাঁ ভালজার কাছে থেকে , কখনো ডিকেন্সের অলিভার টুইস্টের কাছে থেকে। হারানো জন্য জুল্ভার্নের মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড তো ছিলোই। আজ কোন জায়গা নাই হারানোর। কোন মটরসাইকেল যখন তীব্র হর্ন বাজিয়ে পাশ দিয়ে চলে যায় তখন সত্যিই নিজেকে অন্য কোন নির্জন দ্বীপে নিজেকে টেলিপোর্ট করে ফেলতে ইচ্ছা করে। কখনো কখনো আলকেমিস্টদের গুপ্তবিদ্যার খোঁজে পুরো আরব চসে ফেলতে ইচ্ছা করে। কখনোবা হাজার বছরের পুরনো হারিয়ে যাওয়া মার্শাল আর্ট এর কোন কলা শিখতে চলে যেতে ইচ্ছে করে দুর্গম কোন অঞ্চলে। কিন্তু এই ফ্যান্টসি দিয়ে পেট চলে না। পেট চালাইতে হইলে গলায় চেইন দিয়ে বুর্জোয়াদের বানানো সিস্টেমে নাকে খত দিয়ে ঢুকতে হবে।