ঋত্বিক-চক্রবর্তী

ধন্যবাদ স্যার ,ধন্যবাদ ঋত্বিক চক্রবর্তী

আপনাকে অনেক দিন ধরেই একটা চিঠি লিখবো বলে ভাবছিলাম। ঠিক লিখতে পারছিলাম না। ভাবছিলাম আরেকটু অপেক্ষা করে নেই। যদি আরেকটু বেশি কিছু অভিনয় দেখতে পাই।

“আমি আর কি করতে পারি এ ছাড়া ?
আরে তুই তো শিল্পী
নাচ, গান, আঁকা, লেখা, অভিনয় কোনটা পারি?
আরে তুই তো না খেয়ে থাকতে পারিস !!! ” Read More

-দত্ত-আমার-শোনা

আমার শোনা অঞ্জন দত্ত

তখন ইন্টারনেটের যুগ ছিলোনা। একটাই মাত্র চ্যানেল আসতো টিভিতে।  সময় কাটতো খুব ধীরে। স্কুলের পড়ার ফাঁকে ফাঁকে বই পড়ার তীব্র নেশা। দুবাই প্রবাসী কোন এক ভাই একটা ক্যাসেট প্লেয়ার গিফট করলো। টাকা জমায় জমায় ক্যাসেট কেনা। রেডিও শোনা। এইতো চলছিল। বলছি নব্বই দশকের কথা। একদিন কারো কাছে থেকে ধার করে আনলাম অঞ্জন দত্তের একটা ক্যাসেট। নাম শুনতে কি চাও! মুগ্ধ হয়ে শুনতে লাগলাম গানগুলো। আমার জীবনে কোন রঞ্জনা ছিলোনা। কিন্তু বার বার শুনতে শুনতে কল্পানায় একজন রঞ্জনাকে ঠিকই পয়দা করে ফেলেছিলাম। ইশটিশনে বসে লজেন্স বিক্রি করা ছেলেটার দুঃখ ও ছুয়ে যেত কখনো কখনো। ক্যালসিয়াম গানটায় যেন এক প্রকার নিজেকেই খুজে পেলাম। ধন্যবাদ অঞ্জনদাকে , ছাদে গিয়ে কান্না ভুলে থাকার আইডিয়াটা দেয়ার জন্য। এখনো মাঝে মাঝে কাজে দেয়! বেলাবোসের কথা আর কি বলবো। জীবনের ফার্স্ট ক্রাশ ছিলো বেলা। যখন আলিবাবা নামের মুরগির দোকানে কাজ করা ছোট্ট সেই ছেলেটার কথা শুনতাম  কেমন যেন মন খারাপ হয়ে যেত। দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার অনেক কিন্তু আমি দেখে ফেলেছিলাম। পুরো ‘শুনতে কি চাও’ অ্যালবামে একটা গানের আগা মাথা কিছুই বুঝিনি তখন। শুনতে কি চাও গানটার মানে। বুঝতাম না গানটার আসল মানে। বুঝেছি অনেক পরে। আসছি সে কথায়।

এর পর আস্তে আস্তে অনেকগুলো গান শোনা হয়ে গেলো অঞ্জনদার। সেই কেরানীর অফিসের লাভস্টোরি , প্রেমিকাকে বস ববি রায়ের সাথে চলে না যাওয়ার জন্য যে করুন মিনতি! কাঞ্চনজঙ্ঘা গানটায় এক থানার দারোয়ানের কি সুন্দর ভালোবাসার গল্প, যে কিনা তার পাহাড়ের ফেলে আসা বস্তিতে প্রেমিকাকে জানতে দিতে চায় না সে দারোয়ানের চাকুরী করে। জানি না কাঞ্চনজঙ্ঘায় শঙ্কর হোটেল নামে কোন হোটেল আছে কিনা। সেখানে কি সন্ধ্যায় হোটেল রুমে এখনো সেই মেয়ে চুল্লীটা জ্বালিয়ে দিতে আসে? খুব জানতে ইচ্ছে করে। চ্যাপ্টা গোলাপ গানটা এক্কেবারে জীবন থেকে যেন নেয়া। স্মার্টফোনের এই যুগে কোন কিশোরীর খাতার ভিতর কি আর গোলাপফুল কিংবা গোলাপের পাপড়ি থাকে? পনেরো তে আটকে থাকা সেই যে ছেলেটা, যে কিনা অপেক্ষায় বসে থাকে কবে তার বয়েসটা একটু বাড়বে যেন সে তার পছন্দের মানুষটাকে মনের কথা জানাবে বলে। জানি না সে আর পেরেছিলো কিনা। Read More

কালো মেয়ে বনাম ধলা মেয়ে

ফেবুতে আজকাল খুব লিখা লিখি হচ্ছে কালো মেয়েদের নাকি বিয়ে হয় না। পাত্র পাওয়া যায় না। অনেকে কালো মেয়ে দেখতে এসে ছোট ধলা মেয়ে কে বিয়ে করে নিয়ে যায়। কালো মেয়েটি বেচারি একাই থাকে। ঘটনা সত্য। আপনি স্টাব্লিস কিংবা আপনার বাপের যথেষ্ট টাকাকড়ি আছে, বাড়ি গাড়ি আছে?  ভুলেও কালো মেয়ে বিয়ে করবেন না। টাকা দিয়ে যখন কিনবেন ভাল দেখে কিনেন। পাত্রি পক্ষের চাহিদা অনেক। মেয়ে যেমনি  হোক ছেলে চাই তাদের আ্যমেরিকা প্রবাসি গ্রিন কার্ড ধারী অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো জব হোল্ডার অথবা ঢাকায় ৬ তলা বাড়ির মালিক। ৫/৬ বছর প্রেম করার পর অনায়সে পরিবারের দোহাই দিয়ে একটা মেয়ে চলে আসে। পরিবারের পছন্দে বিয়ে করে কোন রাজপুত্র কে। ছেলেটা পারেনা থানায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভনের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ এর মামলা করতে। কিছুই যে হবেনা। ওই দিকে ব্লাডি মিডল ক্লাস সে। দাতে দাত চেপে কষ্ট হজম করে যেতে হয় তার। মেনে নিতে হয় তাকে। যে মেয়েটি সারা জীবন একসাথে থাকার ওয়াদা করে তাকে একদিন দেহ মন সব সপে দিয়েছিল, ভালবাসা আর মায়ায় তার পৃথিবীর প্রায় সবটাই দখল করে নেয়,  যার চলে যাওয়ায় ছেলেটির পুরো পৃথিবী একটা শুন্য স্থানে পরিনত হয়, মেয়েটি কিন্তু তার হবু স্বামীর ক্রেডিট কার্ড দিয়ে শপিং করতে করতে সব ভুলে যায়। ছেলেটি ও একদিন হয়তো গাজা বিড়ি ফুকতে ফুকতে মেনে নেয় সব। অনেক দেরি হয়ে গেছে তত দিনে। হয়তো তার ক্যারিয়ার টাই শেষ। ছেলেরাও রেপ হয়। সমাজ দেখেনা। যারা জেন্ডার ইকুয়ালিটির কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলছেন কখনো ভেবে দেখেছেন কি যে এই দেশে কোন ভাল বেতনের চাকুরিজিবী মেয়ে কোন বেকার ছেলেকে বিয়ে করবে কিনা? করতে চাইলেও তার পরিবার থেকে দিবে কিনা? দিলেও এই বালের সমাজ কি রেস্পন্স করবে? সবাই বলে মন টাই আসল। মন দেখ। দেহ আর রুপ নাকি ফুড়িয়ে যায়। মন দেখে কোন পরিবার মেয়ে বিয়ে দেয়?  টাকা দেখে দেয়, সামাজিক অবস্থান  দেখে দেয়, জব দেখে দেয়। তাই আপনাকে আবার বলছি যদি আপনার সামর্থ্য  থাকে তাহলে সুন্দর চকচকা মেয়ে দেখে বিয়ে করুন। জিতার অউকাত থাকলে রানার্স  আপ কেন হবেন!!!

মৃত্যু

আমার পুরোটা ছোটবেলাটা কেটেছে মৃত্যু চিন্তায়। কাউকে বলতে পারতাম না আমি প্রচণ্ড ভয় পাই। একা থাকলেই মনে হত একদিন মরতে হবে। সত্যি কি afterlife বলে কিছু আছে? যদি থাকে তাহলে কেমন সেটা? কি হবে সেখানে? অনেক পরে বড় হয়ে জেনেছি এটা একটা মানসিক রোগ। তখন বুঝলে হয়তো আরেকটু সুন্দর হত ছোটবেলা। মনে হলেই খুব খালি খালি লাগে। মানুষের জীবনের সব চেয়ে সুন্দর সময়টা নাকি ছোটবেলায়। খুব একটা উপভোগ করা হয়নি। দাঁত মুখ চেপে ভালো সময়ের জন্য অপেক্ষা করতাম। এখন যখন রাতে চিন্তা করি সেসব সময়ের কথা খুব হাসি পায়। না এখন আর আমি মৃত্যু ভয় পাই না। চিন্তাও হয় না। মৃত্যুটা দেখতে ইচ্ছা করে। খুব কাছে থেকে। সিগারেটের প্যাকেটের সাবধান বাণী যেন আরও উৎসাহ দেয় আমাকে সিগারেট খেতে। আস্তে আস্তে ব্লার হয়ে আসে সব।

সফল ব্যক্তিবর্গ এবং একটা খোলা চিঠি

সফল ব্যক্তিবর্গ এবং একটা খোলা চিঠি

প্রিয় সফল ব্যক্তিবর্গ ,

আপনারা সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করার কিছু নাই আমি জানি আপনারা সবাই ভালই আছেন, কেননা আপনারা জীবনে সফল। আপনাদের মধ্যে অনেকেরই দেমাগে মাটিতে পা পড়েনা। কারন কতো শত জনকে পিছনে ফেলে আপনারা আজকে জীবন যুদ্ধে জয়ী। আপনাদের কে জানাই অভিনন্দন। কিন্তু আফসোস সবাই শুধু দেখে আপনারা কিভাবে জীবনে সফলকাম হইছেন। আমাদের মতো হাজার হাজার লুজার দের জেই অবদান আপনাদের সফল হওয়ার পিছনে সেটা কেউ দেখে না। এক একটা লুজার আপনার জায়গায় থাকতে পারতো। কিন্তু হাজার হাজার লুজার তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছে ( হয়তো অনিচ্ছাকৃত ) Read More