তুমি বলেছিলে, তুমি জানো
আমার প্রিয় রঙ কোনটি
আমি মন্ত্র মুগ্ধের মত তোমাকে দেখছিলাম
বললাম বলোতো আমার প্রিয় রঙ কি
তুমি বললে নীল,
বিশ্বাস করো ঠিক সেদিন থেকেই আমার প্রিয় রঙ নীল
তুমি চলে গেলে কিন্তু
এখনো আমার প্রিয় রঙ নীল Read More
Category: কষ্টের কবিতা
তুমি থাকলে না
তাকে বলেছিলাম থেকে যেতে
বলেছিলাম তুমি থাকলে আমি সব ঠিক করে দেবো
এই ধূসর রুক্ষ শহরে আবার নিয়ম করে বৃষ্টি নামাবো
প্রতিটি ঘরের কার্নিশে বাসা বাধবে চুড়ই
সেবারের কালবৈশাখীতে যত বাবুই বাসা হারিয়েছে
সবার বাসা সরকারি খরচে
মেরামত করে দিতে পার্লামেন্টে বিল পাস হবে
রমনা পার্কের সব চেয়ে বড় গাছটায়
একটা ছোট্ট পরিপাটি একটা ট্রিহাউজ থাকবে আমাদের
যেখানে তুমি আর আমি শীতের বিকেলে কফি খাবো
তোমার জন্মদিনের দিন পুরো শহরে
কোন অনাথ অভুক্ত থাকবেনা
যেদিন তোমার মন খুব বেশি খারাপ হবে
দুপুরে হাত ধরে হাটতে হাটতে
মাহীনের ঘোড়াগুলির গান শুনবো
তোমার মন ভালো করতে মরিচ বাতি দিয়ে
ছেয়ে দিবো পুরো মানিক মিয়া এভিনিউ
আমি জানি তোমার পাহাড় অনেক পছন্দের
তাই তোমার বাড়ির সামনের রাস্তায়
থাকতো রডোডেন্ড্রন ফুলের গালিচা
শহরের যেই রাস্তাতেই যেতে তুমি
কানে তালা লাগা দুঃসহ গাড়ির হর্নের
বদলে শুনতে তুমি পাহাড়ি ঝর্ণার কলকল শব্দ
তুমি একা থাকতে চাইলে
পুরো শহরে কারফিউ জারি হতো
শুধু একটা রিকশা তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো
কিন্তু তুমি থাকলে না
থাকলো শুধু এক আকাশ কষ্ট
আর এক সাগর যন্ত্রণা …
কথা দিচ্ছি
কথা দিচ্ছি তোমার প্রেমে পরবো না
প্রেমে পরার বয়েস কবেই তো পার করে এসেছি
অঞ্জনের ম্যারি অ্যান আর নচির নীলাঞ্জনা শুনতে শুনতে
বড় জোর তোমার ঘরের চৌকাঠে উষ্টে খেয়ে পরতে পারি
কথা দিচ্ছি তোমার হাত ধরতে চাইবো না
মৃত আমি আর বরফের মত ঠান্ডা আমার স্পর্শ
তোমাকে শিহরিত করবে না সেটা আমি ভালো করেই জানি
বড় জোর তোমার আচল আলতো করে ছুয়ে দিবো Read More
ক্যারিয়ন ফ্লাওয়ার
মৃত বুনো শুয়োরের গলা পচা দেহ থেকে
তীব্র ঝাঝালো দুর্গন্ধ আসছে
কয়েকটা বাচ্চা এখনো জীবিত
পচা গলা ওলান থেকে দুধ বের করার চেষ্টায়
বেরিয়ে এলো কিছু ক্রিমি আর কীট
এই দৃশ্য আর দূর্গন্ধে আমার পেট গুলিয়ে ওঠার কথা ছিলো
কথা ছিলো দৌড়ে সেখান থেকে চলে যাওয়ার
কিন্তু আমি একটা অথর্ব জীবের মতন দাঁড়িয়ে দেখছি
আরো দেখছি মৃত প্রানীদের সাথে
জীবিত নেক্রোফিলিয়াক দের বীভৎস যৌনতা Read More
জ্যান্ত মহাসড়ক
যেদিন তোমার শ্যানেল ফাইভের পারফিউম দিয়ে পচা গলা মৃতদেহের গন্ধ আসবে
যেদিন তোমাদের বিবাহ বার্ষিকী তে তোমার ব্যাবসায়ী স্বামী
প্রিমিও গাড়ী থামাবে শাহবাগে ফুল কিনতে
কিন্তু কোন দোকানেই জঘন্য গাদা ছাড়া অন্য কোন ফুল পাবেনা
রাতের ডিনারে রান্নার জন্য আনা মাংস টা খাসির না হয়ে হবে কুকুরের
নিজেদের অজান্তেই কুকুরের মাংসে ভোজ হবে
আর কি কি অভিশাপ দিবো তোমাকে?
তোমার বোগেনভিলিয়ার বাগান শুকিয়ে শুধু কটা ডাল থাকবে
যখন শীতের ছুটিতে পাহাড়ে যাবে
সকালে কোন রডোডেনড্রন ফুটবে না শুধু তুমি যাবে বলে Read More
অধরা রাজকন্যা
সৈনিক
তুমি আরেকটু বসবে আমার পাশে?
পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের আলো তোমার খোলা চুলে
যদিও আমার চোখ ঝলসে দিচ্ছে
তাও চাইনা তুমি এখনই চলে যাও
আমি জানি উঠে যাওয়া মাত্র আমাকে আর মনে থাকবে না তোমার
মনে পড়বে না তোমাকে মাঝরাতে বারান্দায় আসতে বলতাম
শুধু একবার দেখবো বলে
রঞ্জনার মতন কবজির কারিগরি করা কোন ভাই ছিলো তোমার
তাও আসতে না তুমি, বকা দিয়ে বলতে যাও ঘুমাও
আমি ঘুমানোর ভান করতাম
বিশ্বাস করো আমি ঘুমাইনি
রাতের পর রাত আমার আংগুলের ফাকে ছিলো সিগারেট
ঘুম অনেক আগেই আমাকে ছেড়ে গিয়েছিলো
মাঝ রাতে যখন কামার্ত একাকি পুরুষেরা যায়
কোন সস্তা হোটেলের কামরায় শারিরীক সুখ কিনতে
তখন আমি ফার্মেসিতে ঘুমের ওষুধ কিনতে যাই
তারপর ঘরে ফিরে বিছানায় গা এলিয়ে দেই
দেখো কি সব বলেই যাচ্ছি
এইদিকে সূর্য তো ডুবেই গেলো
তোমাকে আর কি বলে যে একটু বসিয়ে রাখবো
আচ্ছা তুমি চলে যাও, চলে যাও
চলে যাও যা দিয়েছিলে সবকিছু নিয়ে
আমি না হয় একাই থাকি,
যুদ্ধে সর্বদা হেরে যায় এমন এক সেনাবাহিনীর
দ্বিতীয় সারির নিতান্ত বাধ্য সৈনিক আমি
যখন তুমি তোমার ঘরে ফিরে যাবে
তখন আমাকে ফিরতে হবে খুব চেনা সেই যুদ্ধক্ষেত্রে
যেখানে আমার সেনাবাহিনী বার বার হারে।