খালিদ ভাই

খালিদ ভাই

খালিদের চাইম, জেমসের ফিলিংস , আর্ক , মাইলস এই সব ব্যান্ডের গান দিয়েই গান শোনার শুরুটা হয়েছিলো। এর মধ্যে সব চেয়ে আন্ডাররেটেড ছিলেন সম্ভবত খালিদ ভাই । প্রিন্স মাহমুদ, তরুণ মুন্সি কিংবা মারজুক রাসেলদের লিরিক্স মনের মধ্যে গেঁথে থাকতো। ” তোমার অশ্রু আমার দূর্বল করে দেয় ” / “অশ্রু যত গড়িয়ে পরা রাখা যেত যদি ধরে , সাগর না হলেও হত সে নদী আমার জীবন টা ভরে ” / “আকাশ নীলা তুমি বল কিভাবে, আমার শূন্য মনে সুখ ছড়াবে ” / ” মনে পড়ে না আবার মনে পড়ে, ভালো লাগে না আবার ভালো লাগে ” / ” তুমি নেই তাই তোমার জন্য দহন সারা বেলা ” / ” যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি পড়ে , ততটা মেঘ বুকে রেখেছি পুষে , কিভাবে আমায় তুমি কাঁদাবে বল ” / ” নীরা ক্ষমা করো আমাকে ” এই গান গুলো নব্বইয়ের দশকে ছ্যাকা খাওয়া তরুণদের মুখে মুখে ফিরতো। আজকাল ইমরান, প্রিতম এই সব বালছাল গুলা যে কি গায় , না আছে সুর না আছে লিরিক্সের কোন গভীরতা।

imrul-net-dhaka

শহরটা জানে

সত্যিই কি বেচে আছি ? শ্বাস নেয়া মানেই কি বেঁচে থাকা ? স্যাতস্যাতে ভেজা এঁদো গলিতে কিংবা ফকফকা রোদে ঝিলমিল করা দুপুরে কোন ফুটভারব্রীজের উপরে দাড়িয়ে হটাত ভিজে ওঠা চোখ আর কেউ দেখেনি আমার শহরটা ছাড়া। আমার মনে হয় শহরটারও প্রাণ আছে। সব দেখে সে। সব বুঝে। কিছু বলতে পারেনা। বোবা একটা প্রাণী যেন আমার এই শহরটা। প্যারিসের মতন আর্টের পসরা নেই এই শহরে। চোখে খুলে যদি দেখো সর্বত্র হাহাকার। ফিটফাট সাদা শার্ট আর টাই পরে ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেসেন্টিভ এর ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা কোন বড় ডাক্তারের সাথে একটা ৫ মিনিটের একটা সাক্ষাতের জন্য। প্রিমিও গাড়িতে চড়ে এসি খেতে খেতে ঢাকা শহরের জ্যামকে গালি দেয়া তুমি জানো সেই রিপ্রেসেন্টিভ এর কষ্ট ? জানো না তুমি। কান্না চেপে রেখে মুখে হাসির রেখা তার। কিন্তু আমার শহর জানে। সেই জীর্ন-শীর্ন একটা বুড়ো কে কখনো দেখেছো রাস্তায় একটা আমলকির ঝাকার সামনে ঝিমাতে ? দুপুর গড়িয়ে গেল কিন্তু কিছুই বিক্রি হয়নি তার। লেটেস্ট মডেলের আইফোন আর ক্যাটস আইয়ের টিশার্ট পরা তুমি শহরটাকে নোংরা বলে ঠিকই পাশ কাটিয়ে চলে গিয়েছো সেই বুড়োকে। তার দীর্ঘশ্বাস তুমি শোননি। আমার শহরটা শুনেছে। এই শহর চাইলেই সিঙ্গাপুর কিংবা লন্ডন হতে পারবেনা। এত হাহাকার আর কষ্ট বুকে নিয়ে শহরটার সামর্থ্য নেই লাস ভেগাসের মতন অপরূপ রুপে সাজবে। এই শহরের সৌন্দর্য তার চেপে রাখা কষ্টে, নোংরা গলিতে সারা জীবনের সব সার্টিফিকেট হাতে চাকুরী না পাওয়া বেকার ছেলেটার গোল্ডলিফের টানে। বসুন্ধরা সিটি কিংবা যমুনা ফিউচার পার্কের ঝলমলে আলোতে তুমি এই শহরকে খুজোনা, পাবেনা। ভেবোনা এই শহরটা কোন নরক। নরক ভয়ঙ্কর। শহরটা বিষন্ন। খুব বিষন্ন। দীর্ঘশ্বাসে ভারী এখন এই শহরের বাতাস। বাতাসের দূষন তো খুব সহজেই মেপে ফেলো তুমি। গড়গড় করে বলে দাও এই শহরের বাতাসে শীসার পরিমান, কার্বন্ডাইওক্সাইডের পরিমান, আরো কত কি। বিষন্নতা কি মাপতে পারো তুমি  কিংবা তোমার সাইন্স?  দীর্ঘশ্বাসে বাতাস কত ভারী হলো সেটার খবর কে রাখে? কেউ না। তারপরো আমার শহর ভালবাসতে জানে। আমি শহরটাকে ভালোনাবাসলেও  শহরটা ঠিকই আমাকে ভালোবাসে। তোমাকেও ভালোবাসে। তুমি জানোনা। না জানাটা  দোষের না। সব কিছু জানতে হয় না। সব কিছু জানতে নেই।

.jpg

যন্ত্রণা, ব্যর্থতা ও মৃত্যু

যন্ত্রণা মাপার কোন যন্ত্র নাই। মাথার মধ্যে ঘিলুর ভিতরে যন্ত্রণা মাপা যায় না। বলেও বোঝানো যায় না। ক্রমাগত হেরে যাওয়ার যন্ত্রণারা কুড়ে কুড়ে খায়। নিজের মৃত্যুর জন্য প্রার্থনা ছাড়া আর তেমন কিছুই করার থাকেনা। ওটাও যে করতে মানা। মৃত্যু কে এখন আর ভয় লাগে না। খুব কাছ থেকে দেখতে ইচ্ছা করে। স্পর্শ করতে ইচ্ছা করে। মনে হয় সব শান্তি ওখানেই লুকানো আছে। যা খাই সব বিস্বাদ, তেতো। শুধু সিগেরটটা ছাড়া। ওটাই যে শুধু জানান দেয় বুকের ভেতর ধক ধক করতে থাকা হৃদয়টার অস্তিত্ব। ক্যাফেইনের মতন কাজ করে এখন নিকোটিন। পুরো ফুসফুসটাই হয়তো টারে মাখানো। ভয় লাগে না। তবে এভাবে আরও বেচে থাকার কথা চিন্তা করলে শিউরে ওঠতে হয়। ভয়ঙ্কর রকমের ক্লান্ত যে আমি। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটাও এখন আর নেই। জীবনে প্রথমবার ভালোবাসা হারানোর পর মনে হয়েছিলো এটার চেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক আর কিছু হতে পারেনা। বিধি বাম! ওটা যে ছিল কেবল টিজার ট্রেইলার। সম্ভবত ফুল মুভি এখনো শুরুই হয়নি। কতশত ছোট ছোট জমা স্বপ্ন যত্ন করে তোলা রাখা আছে। মাঝে মাঝে ফিরে তাকাই। আবার যন্ত্রণারা ঘিরে ধরে। ছোট হয়ে আসে নিঃশ্বাস। নিজেকে একটা মানব বোমার মতন মনে হয়। ভয় হয় যেকোন সময় ফেটে পড়বো। পড়লেও মন্দ হয় না। আগাছার মতন একটা জীবনের কই আসলেও কোন মানে আছে? এভাবে বেচে থাকার সত্যিকারের অর্থটা কি ?? কে জানে। আমি জানি না।

যত দূরে দূরে দূরে যাবে বন্ধু

যত দূরে দূরে দূরে যাবে বন্ধু
একই যন্ত্রণা পাবে, একই ব্যথা ডেকে যাবে;
নেভা নেভা আলো যত বার জ্বালো
ঝড়ো হাওয়া লেগে তার শিখা নিভে যাবে।।
যত দূরে দূরে দূরে যাবে বন্ধু।

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে
বুঝিনি এখনো তবু সন্ধানে।।
কাটে সকাল বিকেল যেন নেভাবী স্বভাবে
যত দূরে দূরে দূরে যাবে বন্ধু। Read More

চালশের গান – কথা সুর কণ্ঠ – কবির সুমন

আজকে যে বেপরোয়া বিচ্ছু
শান্ত সুবোধ হবে কাল সে
চোখের সঙ্গী হবে চশমা
চল্লিশ পেরোলেই চালশে

আজকে যে আড্ডায় মশগুল
নির্বান্ধব হবে কাল সে
হরিহর আত্মা শুধু চশমা
চল্লিশ পেরোলেই চালশে Read More