person-sitting-outdoors-3368246

সফলতার(!) সংজ্ঞা

সফল মানুষ কারা? সাকসেস পাওয়ার জন্য লাইফে কি করা উচিত? আর কি করা উচিত না ? সাকসেস পরিমাপের মাপকাঠি কি? কারো সাথে দেখা হলে কেমন আছির আগে বা পরে যে প্রশ্নটি শুনতে হয় সেটি হলো কি করিস আজকাল? এই ক্যাপিলাস্টিক সোসাইটি সফলতার যে বেঞ্চমার্ক সেট করে দিয়েছে আমাদের জন্য সেটাই কেন সবার মানতে হবে? আমাদের মোটিভেশনাল স্পিকারারা  তথাকথিত সফল (!)  মানুষদের জীবনের পোস্টমর্টেম করতে করতে নাক কান সব ঝালাপালা করে দিবে। উনারা কখন ব্রেকফার্স্ট করতেন, কখন ঘুমাইতে যাইতেন, দিনে কয়বার হাগু করতেন ব্লা ব্লা। কিন্তু যে মানুষটা সারা দিন রিকশা চালায় কিংবা ভ্যান টেনে একটা পরিবার চালায় সে কি সফল না? এই দুনিয়া তে শতকরা কতজন মানুষ সফল ? একটা প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট এক জনই হয়। সবারই কেন কম্পিটিশনে অংশগ্রহন করতে হবে? যদি না চান তাহলে আপনাকে অলস, ভাদাইম্মা আর ইউজলেস বলে পরিবার এবং পরিচিতমহলে সম্বোধিত হবেন। উচ্চাকাঙ্ক্ষা না থাকাটা একটা বিশাল বড় পাপ। যখন কেউ দুবাইএর বুর্জ খলিফায় থার্টিফার্স্টের পার্টিতে ব্যস্ত তখন হয়তো কেউ পাহাড় কিংবা জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে তীব্র শব্দ আর আলো দূষণ থেকে বাঁচতে। তাদের জন্য পৃথিবীটা ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। Read More

campfire

অ্যাম্বিশন

“অ্যাম্বিশন” শব্দটা আমি কোন ইংরেজি বই থেকে শিখার আগেই শিখেছিলাম নচিকেতার একটা গানে। স্কুলের “Aim In Life” রচনায় যখন ডাক্তার আর  ইঞ্জিনিয়ার হবার মুখস্ত প্রক্রিয়া ফাটিয়ে লিখছি তখন নচিকেতার মুখে শুনছি আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন/ আমি কোন বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন / তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন। সম্ভবত তখনই অ্যাম্বিশনের ভুল(!) অর্থটা মাথায় গেথে গিয়েছিল। যত বড় হয়েছি শিখানো হলো কিভাবে সাকসেসফুল হওয়া যাবে জীবনে। বিল গেটস থেকে শুরু করে স্টিভস জবস এর জীবনী। কিংবা মুরগীভাজা বেচা কান্টোকি সাহেবের জীবনী। কিভাবে ৫০ এর পরেও জীবনে সফল হয়েছিলেন। জীবনের প্রকৃত মানে যেন বড় কোন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হওয়া অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো কোন পোস্ট। কিন্ত অবচেতন মন যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারতো না। ওয়ারেন বাফেটের জীবনী আমাকে যতটা না আকৃষ্ট করে তার চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে আমি পড়েছি লিভিংস্টোন সাহেবের স্টোরি। বার বার Read More

হাওড়া স্টেশন

ট্রেন

ট্রেন আমার অসম্ভব ভালো লাগে
মাঝরাতে কোন রাতে নির্জন স্টেশনে
ট্রেন থামলে যখন নেমে পড়ি
কি সুন্দর প্রায় শব্দহীন একটা পরিবেশ
আমি যেন পাথর হয়ে যাই
দু’আঙ্গুলের ফাকে সিগারেটটা
ট্রেনের হুইসেল শুনে সম্বিত ফিরে পাই
আধা খাওয়া সিগারেটটা ছুড়ে ফেলে চড়ে যাই ট্রেনে
প্রায় সবাই ঘুমুচ্ছে , কয়েকজন বাদে
খুব কবিতা লিখতে ইচ্ছে করে
বুকটা ফেটে বেরিয়ে আসতে চায় শব্দরাজি
স্মার্টফোন আর নেটফ্লিক্সের যুগে কবিতা কে পড়ে ?
আমি চাইও না কেউ পড়ুক
শুধু বুকের ভেতর জমে থাকা আবর্জনা
বের করে দেই
জন্ম নেয় একেকটা বিকলাঙ্গ কবিতা Read More

পারফিউম

তাপ্পি মারা জুতা আর ছেঁড়া জিন্স
ওসব পড়ে তো তোমাদের ড্রইং রুমে বসা যায় না
আমার তো ওটাই ছিলো
আঁটসাঁট স্যুট পড়া ভদ্রলোক যে হতে পারলাম না
তাই বাড়ির বাইরে থেকেই বিদায় নেই
হয়তো এতক্ষনে বুঝে নিয়েছো
ক্ষনিকের ভালোলাগা আর
সত্যিকারের ভালোবাসার তফাৎ
ডোরবেলে হাত রেখেও আর চাপার সাহস হলো না
ভীষণভাবে মধ্যবিত্ত যে আমি
দারিদ্র্যতা যার নিত্যসঙ্গী
শ্যানেল পারফিউমের বদলে আমার গায়ে
সস্তা সিগারেটের গন্ধ
তাই তোমার বাসায় আর আমার
আর এককাপ কফি খাওয়া হলো না Read More

তেপান্তরের-মাঠ

নিশাচর

আমি আর ফিরবোনা, যতই ডাকিস
রাস্তা ভুলে যাবো ইচ্ছা করে
তেপান্তরের মাঠটা এবার ঠিকই পাড়ি দিবো
তোকে ছাড়াই, একা একা
হয়তো দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যে নামবে
রাত্তিরে আকাশে সেদিন চাঁদটাও থাকবেনা
জানি আমি ভয় পাবো ঠিকই
কিন্তু ফিরে আসবো না
কষ্টেরা কেন নিশাচর হয় বলতে পারিস ?
সারা দিন তো ওদের খুজেই পাইনা
রাত হলেই কোথা থেকে মাথাচড়া দিয়ে উঠে
আচ্ছা অশ্রু কেন নোনা হয় ?
বেদনার রঙ কেন নীল ?
ইচ্ছে করেই ভুল ঠিকনায় চিঠি পোস্ট কেন করি ? Read More

আমার শহর

আমার শহর তোমাকে দেখাবো একদিন
তুমি হেসে দিবে , বলবে শহরটাকি আমারো না?
হ্যাঁ, শহরটা তোমারো, আমারো, সবারই
কিন্তু কতটুক চিনো এই শহর কে তুমি ?
জ্যামে গাড়ির গ্লাস নামিয়ে গোলাপ কিনো তুমি
সেই ময়লা ফ্রক পরা ছোট্ট  মেয়েটির কাছে থেকে
কখনো দেখেছো মেয়েটা কই থাকে?
হয়তো কাছেই কোন বস্তিতে তার বাসা
সেই বস্তির চিরস্থায়ী স্যাঁতস্যাঁতে কানাগলিতে
সূর্যেরও সেখানে সামান্য কিরণ পাঠাতে ঘেন্না করে
তুমি কি আমার সাথে যাবে সেখানে?
কিছুক্ষণের জন্য?

পুরো শহরটাই তো চিনো তুমি তাইনা ?
পিজ্জা-হাট থেকে র‍্যাডিসনের বুফে
কোথায় খাওনি ?
আবার হাসবে তুমি,
বলবে ভেলপুরি তোমার ভীষণ প্রিয়
কিংবা ফুচকা , ঝালমুড়ি আর যত স্ট্রীটফুড
আচ্ছা কখনো দেখেছো রিকশাওয়ালারা কোথায় খায়?
ভ্যানে ভাত বিক্রি হতে দেখেছো ?
আমার সাথে এক দুপুরে খাবে সেখানে ?
শুধু এক বেলা ?

318নিঝুমদ্বীপ

মৃত্যু

অমরত্বের আশা তো কখনোই করিনি আমি
মৃত্যুকেই চেয়েছিলাম আলিঙ্গন করতে
অবশেষে এসেছিল মৃত্যু আমার দুয়ারে
হাত বাড়িয়ে আলিঙ্গন করিনি সত্য
দরজা বন্ধ করে তাড়িয়েও দেইনি মৃত্যুকে
অনেক অভিমান জমেছিল
এত দিন পর তার আসার সময় হলো ?
কত কত রাত অপেক্ষায় কেটেছে একা একা
ঝিঁঝিঁ আর হুতুম প্যাঁচার  ডাক শুনে কেটেছে সময়
চোখের জল, সেটাও তো শুকিয়ে গিয়েছিল
ভয় করছিল, অপেক্ষা করতে করতে করতে
কখন না যেন আমি নিজেই অপেক্ষা হয়ে যাই
শেষ পর্যন্ত আমাকে দেখা দিয়েছিল মৃত্যু
দুপুরের তপ্ত রোদেও যেন সেদিন
হিমাঙ্কের নিচে নেমেছিল তাপমাত্রা
মৃত্যুর চোখে তাকানোর সাহস হয়নি আমার
শুধু তাকে অনুসরণ করেছিলাম মাত্র
জানতাম সময় ফুরিয়ে এসেছে । Read More

ডিসেম্বারের বৃষ্টি

ডিসেম্বারের তীব্র শীতে
কেউ কি বৃষ্টি চায়
কান্না বুকে চেপে রেখে
শান্তি ক’জন পায় ?

ঝাপসা চোখ, ঝাপসা শহর
ঝাপসা যখন মন
ভাবি তোমার কাছেই থেকে গেছে
সব ভালো লাগার ক্ষণ

আবার ফিরি বাস্তবেতে
ভাঙলো বুঝি কাঁচ
আগুনের মতই গরম
বাস্তবতার আচ

Khoma-Koro-Sanjhbati-Dev-Paoli-Anupam-Roy

ক্ষমা করো আমি ভালো নেই – Anupam Roy

ক্ষমা করো আমি ভালো নেই
এলোমেলো হয়ে গেছি
যেন সব হারিয়েছি
হে বসন্ত বিদায়

ক্ষমা করো আমি ভালো নেই
এলোমেলো হয়ে গেছি
যেন সব হারিয়েছি
হে বসন্ত বিদায়

পথে পড়ে থাকা মন খারাপ
চুপি চুপি খুঁজে নেয় নির্বাসন
স্মৃতিটুকু ধুয়ে গেছে পায়ের ছাপ
মনে পড়ে যায় আজ তার শাসন Read More

A-Place-Where-Dreams-Reality-Collide

স্বপ্ন

রঙ্গিন স্বপ্ন দেখা তো সেই কবেই ছেড়ে দিলাম
তেপান্তরের মাঠও আমার কোনোদিন দেখা হবে না
মডার্ন অ্যাপার্টমেন্ট গুলোতে না কার্নিশ নেই
চুড়ই ও বাসা বানায় না তাই
নিষ্পলক দৃষ্টিতে আমি তাকিয়ে থাকি আর ভাবি
কেউ কি আমাকে একটা রাজকন্যার নূপুর দিতে পারো ?
কিংবা পলাশের বনের পাশে একটা কুড়ে ঘর?
চাইনা আমি তোমাদের বূর্জ খলিফা
তোমাদের পরিপাটি বেশভূষা তোমাদের কাছেই থাক
আমাকে একটা ভাঙ্গা নৌকাই না হয় দিয়ো
চাদনী রাতে কোন বিলের ধারে নৌকায় শুয়ে ব্যাঙের ডাক শুনবো
বিশ্বাস করো তোমাদের এটিএম বুথের টাকার কড়কড়ে শব্দের চেয়ে
ঝিঝিপোকার ডাক আমার অনেক বেশি প্রিয়
তোমার ধোপদুরস্ত কালচার টা তোমার কাছেই রেখো

Read More