শুন্যতা

পাঁচ বছর হতে চলল। তোমার চেহারা টিও আমার কল্পনায় এখন ঝাপসা। সবার কাছে শুনেছি সময় সব ক্ষত ঠিক করে দেয়। কতো সময় লাগে কে জানে। মনে হতো এক সময় সব ঠিক হবে। এখন আর মনে হয়না। শুধু মনে হয় আমার জীবনের বাকি সব গুলো দিনের Read More

তাতিন তোমার নামটা তাতিন হল কেন – চন্দ্রবিন্দু

স্টালিন ছিলো ধূর্ত
ছটা ডামি নিয়ে ঘুরতো
গুলি খেয়ে গেল থিওডর অর্লিনভস্কি!
চিলির বাঁদর কামড়ায়
নীতিগতভাবে চামড়ায়
সেদিক দেখলে বংশধরদের দোষ কি? Read More

ন্যাংটা

কিছুই ছিল না .. কম্পিউটার্স , আন্ড্রএড ডিভাইসেস , হাই 5 আর ফেসবুক। ক্লাস ৭ এ থাকতে এক বন্ধু কে সফটওয়্যার এর সিডি কিনতে দেখে জিগ্যেস করছিলাম দোস্তো এইটা কি কাজে লাগে? ও আমাকে বুঝাইতে পারে নাই … সারা রাত বাসায় আইসা চিন্তা করসি .. তাও বুঝি নাই। বিনোদন বলতে একটা টিভি সেইটায় কখনো ডিশ থাকতো কখনো থাকতো না .. আর অনেক দিন পর পর একটা তিন গোয়েন্দা এর Read More

ভাল আছি

স্কুল লাইফের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সময় ছিল বার্ষিক পরীক্ষার সময়টা। একটা সাবজেক্ট এ ফেল করা মানে পরের ক্লাসে উঠা যাবেনা। খুব এ এভারেজ ছাত্র ছিলাম। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষার পরের টাইমটা ছিল অনেক জোস। বাবা লুকিয়ে রাখা মনোপলির বোর্ড , হ্যান্ডগেমস আবার বের করে দিত। কখন ও তিন গোয়েন্দার বই কিংবা রহস্য পত্রিকা। Read More

Anjan Dutta

লাইফে অনেক কিছুই চেঞ্জ হইছে …হাইট বাড়ে নাই বেশি .. বুদ্ধিও না .. সুন্দরী মাইয়া দেখলে আগে হা কইরা চাইয়া থাকতাম .. এখন টেকনিকেলি তাকাই .. কিন্তু যখন মন খারাপ থাকতো তখন অঞ্জন দত্তের গান শুনতাম । অনেক ছোট বেলায় একটাই ক্যাসেট ছিল কাছে “পুরনো গিটার”। কত শত বার শুনা একটা ক্যাসেট মাত্র ক্যাসেট র মাত্র ১১ টা গান। কিন্তু জীবনের সাথে অদ্ভুত ভাবে মিলে জেত গান গুলো. Read More

Brothaaaaaa তাহসিন

বেয়াদ্দব টা জন্মের পর থেকেই আমাকে ভাইয়া ভাইয়া ডাকতো। কথার পিঠে কথা বলার একটা বদভ্যাস আমার জন্মগত। কিন্তু এই বদভ্যাস টাকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে বেয়াদ্দবটা । এখন আর আমি কথায় পারিনা ওর সাথে। ১৭ বছর ছিলাম এক বাসায়। বাসা ছেড়ে চলে আসার সময় বেয়াদব টা রীতিমতো কেদে দিয়েছিল। একসাথে থাকাটা অনেক মিস করেছি আমি পরে। লোডশেডিং এর সময় হাজার কাজ ফেলে নিচে নেমে আড্ডা মারা, বিকাল হতেই সেই ক্রিকেট খেলা , মামার দোকানে স্পীড খাওয়া , বারান্দায় দারিয়ে ব্লু-তুথে ডাটা ট্রান্সফার আর কত কি। Read More

ক্যাপ্টেন নিমো

ক্যাপ্টেন নিমো নিজের ডুবোজাহাজ এ মারা গিয়েছিলেন। তার শেষ ইচ্ছে মোতাবেক তার ডুবোজাহাজটি গভীর সমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়া হয়। ক্যাপ্টেন নিমো জুলভার্নের সবচেয়ে ইন্টেরেস্টিং চরিত্র গুলার একটা। টুয়েনটি থাউসান্ডস লিগস আন্ডার দ্যা সী তে আবির্ভাব ঘটে ক্যাপ্টেন নিমোর। আর মৃত্যু ঘটে মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড এ। জীবনে প্রথম বার খুব ক্যাপ্টেন নিমোর মতন মরতে ইচ্ছা করেছিল। খুব ভক্ত ছিলাম আডভেঞ্চার উপন্যাস আর গল্পের। টম সায়ারের হাকালবেরি ফিন , কিংবা চাঁদের পাহাড়ের শঙ্কর ,খুবই ঈর্ষা করতাম যদিয়ও ওরা কাল্পনিক চরিত্র। কখনো কখনো আমার শরীরের প্রতিটি সত্তা চাইত ওরকম কোন অভিযানে যেতে। যত বড় হতে থাকলাম ততই কম্পিউটার আর ইন্টেরনেট আমাকে সরিয়ে দিয়েছে বই থেকে। কিন্তু রবিন্সন ক্রুসো কিংবা আলান কোয়াটারমেইন কে কখনই আমার মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি। একজন মিলিওনিয়ার হয়ে রোলস রয়েস চড়ে ঘুরার চেয়ে একটা রাইফেল হাতে আফ্রিকার গহিন জঙ্গলে রাস্তা হারিয়ে ঘুরাটা আমার কাছে অনেক বেশি এক্সপেক্টেড। বিল গেটস না, আমার আইডল লিভিংস্টোন , হাতে আইফোন না একটা রাইফেল, পায়ে হাস পাপিস না একটা শক্ত গামবুট… খুব কি বেশি ছিল আমার চাওয়া …

আমি জানি আমার কখনই এক্সপ্লোরার হউয়া হবে না … এই মিডেল ক্লাস লাইফ ই আমার লিড করতে হবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। যেই লাইফ থিকা বাইর হইতে পারে নাই আমার বাবা তার বাবা … তার বাবা ..