unnamed

আত্মহত্যা – আমাদের করনীয়

আত্মহত্যা – আমাদের করনীয়

একটা পাব্লিক কখন আত্মহত্যা করতে চায়? যখন তার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায় নাকি যখন সে মনে করে তার জন্য আর কোন দরজা খোলা নেই। প্রেমে ছেঁকা খেয়ে আত্মহত্যা করা কততুকু যুক্তিসংগত? আসলে আমাদের প্রপারলি জাজ করা উচিত। যদি কারও জন্য আত্মহত্যাই একটা ভালো সমাধান হয়ে থাকে তাহলে তাকে ছেড়ে দেয়াই কি মংগল নয়? এটা হারাম। মানি। আরও হাজারটা হারাম কাজ মানুষ করতেছে। হারামের দোহাই দেয়ার আগে মনে রাইখেন সুদ ও হারাম। পৃথিবীর নেতা দের এটা মনে রাখা উচিত এটাও একটা বেসিক হুম্যান রাইট। একজন মানুষ যদি সত্যি নিজেকে মেরে ফেলতে চায় তাহলে আমাদের উচিত তাকে বুঝানো। যদি তাতে কাজ না হয় তাহলে তাকে চলে যেতে দেয়াই উত্তম। কত কষ্ট করে মানুষ নিজেকে হত্যা করে!! গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পরে, বিষ খেয়ে কষ্ট পায়, ছাড থেকে লাফ দেয়… খুবই কষ্টদায়ক এবং বেদনার। অথচ আত্মহত্যাকে লিগালাইজ করা গেলে এই সুইসাইডাল মানুষ গুলাকে অনেক কম কষ্টে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দেয়া যায়। সামান্য একটা ভালো ইঞ্জেকশন দিয়ে হাসপাতালের বেডেই কাজ সেরে দেয়া সম্ভভ। সারা জীবন পোড় খাওয়া এই মানুষ গুলা একটু ভালো ভাবে চলে যাওয়া কি ডিসারভ করেনা? সব সময় মুদ্রার একই পিঠ দেখা কি ঠিক? এখনি কি সময় আসেনি মানবাধিকার কর্মীদের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার? ভেবে দেখা উচিত। আত্মহত্যাকে লিগালাইজ করা এখন সময়ের দাবি। আমাকে পাগল মনে হতে পারে কিন্তু বছরখানেক আগের Hrittik Roshan এর গুজারিশ সিনেমা এই কন্সেপ্টে করা। পৃথিবিতে অনেক জায়গাতেই এখন এমন দাবি উঠেছে। ছাদ থেকে লাফ দিয়ে কিংবা গলায় দড়ি দিয়ে মৃত কারো লাশ দেখলে বুঝবেন যন্ত্রনাটা। অথচ তাদের ভালোভাবে বিদায় দেয়া যেত যদি আত্মহত্যা কে লিগালাইজ করা যেত!! আবেগ না দিয়ে র‍্যাশনালি আর লজিক্যালি চিন্তা করলে উত্তর পেয়ে যাবেন।

https://en.wikipedia.org/wiki/Right_to_die

https://en.wikipedia.org/wiki/Suicide_legislation

imrul-net

শামুকের মতন

অঞ্জনের গানে শুনেছিলাম বয়সের সাথে সাথে নাকি চোখের জল কমে যায়। বুঝি নাই সেই ছোট বেলায়। গান গুলা কেবল শুনতেই ভালো লাগতো। এখন বুঝা যায়। মিডল ক্লাসের যন্ত্রনা সহ্যের ক্ষমতাটা অনেক বেশি। এরা ধাক্কায় পরে যায় কিন্তু মুহুরতেই এক গাল হাসি নিয়ে উঠে দাঁড়ায়। খুব কম স্বপ্নই এদের পুর্নতা পায়। মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখাও বন্ধ করে দেয় এরা। সামান্য চাওয়াটাও আকাশ কুসুম মনে হয়। নাগরিক জীবনের অসহ্য যন্ত্রনা, সাথে যোগ হয় হাজারটা দায়িত্ত্ব। তীব্র বৃতৃষ্ণা নিয়ে বেচে থাকা। শামুকের মতন গুটি গুটি পায়ে চলা। মনে হয় কে যেন হাজার কেজি ওজনের পাথর বেধে দিছে পায়ে। এই শহর আমার কাছে থেকে কেড়ে নিয়েছে তারা ভরা আকাশ। তারা দেখা যায়না এখানে। ইটের দেয়ালের চিপায় ফেলে সে নিংড়ে নেয় জীবনের বাকিটুকু চাওয়া। বিনিময়ে দেয় খুব সামান্যই।

hope_and_dreams

অদ্ভুত সমাজ ব্যাবস্থা

একটা অদ্ভুত সমাজ ব্যাবস্থা। আপনাকে অবশ্যই বড় স্বপ্ন দেখতে হবে। বড় বড় বুলি অউরাতে হবে। আরও আজিব আমাদের মোটিভেশনাল স্পিকার ভাইয়েরা। সবাই আপনাকে শিখাবে কিভাবে বড় হবেন। কাকে ফলো করবেন। আপনি যদি বলেন আপনার স্বপ্ন ছোট একটা কফির দোকান খুলে সারা দিন কফি বেচবেন আর বই পড়বেন। সবাই হাসবে। কারন তারা বলে ড্রিম বিগ। কেউ বলেনা বি হ্যাপী (নট রুবেলের হ্যাপী)। আপনি কেমন ড্রিম দেখবেন, কি হবেন সেটাও সোসাইটি ঠিক করে দিবে। ফ্রি উইল একটা ভ্রম। একবার লুপে পড়ে গেলে আর বের হতে পারবেন না। চিৎকার করে কাদলেও না। আর লুপে পরতেই হবে। লুপে পরা ছাড়া কোন উপায় নাই। সোশাল চাপ, পরিবারের চাপ, বন্ধুবান্ধবের চাপ , কাদেরের চাপ … Read More

লাই লা লাই – আমি আসবো ফিরে

রঞ্জনা আজ তার বাড়ি থেকে পালাবে
নীলাঞ্জন আজ তার অফিসে রুখে দাঁড়াবে
ছেড়ে দেবে তার সস্তার কেরানির কাজ
শিমুল আর শিলা পালিয়ে বিয়ে করবে
সঞ্জয় দুর পাল্লার ট্রেন ধরবে
ছেড়ে চলে যাবে তার চৌক চ্যাপ্টা সমাজ Read More

আমার দুঃখগুলো কাছিমের মতো – দৃষ্টিকোণ

আমার দুঃখগুলো কাছিমের মতো,
গুটিগুটি পায়ে আর এগুতে পারেনা।
আমার দুঃখগুলো কাছিমের মতো,
আমাকে ছাড়িয়ে আর এগুতে পারেনা।
আমার কষ্টগুলো ডালিমের মতো,
লালের জমাট কেউ ভাঙতে পারেনা। Read More

বাংলাদেশের বালের চিকিতসা ব্যাবস্থা

লাস্ট ৬ মাসে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা যা দেখলাম তাতে বুঝলাম কেউ সখ করে বিদেশে ডাক্তার দেখাইতে যায় না। আব্বার ক্যান্সার ধরা পড়ার পড় তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। কারো সাথে কারো মতামতের কোন মিল নাই। কেউ বলে কেমো লাগবে ২ টা , কেউ বলে ৩টা আবার আরেকজন বলল ৮ টার কমে হবে না। তিন জন তিনটা ডিফারেন্ট টেস্ট দিছে। আরেকজন আবার তার পছন্দের জায়গা থেকে টেস্ট করাই নাই বলে যাচ্ছেতাই ব্যাবহার ও করলো। ক্যান্সার ধরা পড়ার ঠিক পুর্বে আব্বার পেটে ব্যাথার দরুন এক জন ডাক্তার তার সার্জারি করেন। তিনই আব্বার পৌষ্টিকনালিতে টিউমার দেখেন এবং বলেন এটা ক্যান্সার। biopsy না করে টিউমার অপারেশন সম্ভব না। তার কথা মতন biopsy করে আবার আব্বাকে সার্জারিতে নেয়া হয়। অবাক করা বিষয় হলও দ্বিতীয় অপারেশনের পরেও উনি টিউমর টা ফেলতে ব্যর্থ হন। যখন জিজ্ঞেস করলাম কেন আমার ৭০ বয়সের বাবাকে দ্বিতীয় বার সার্জারি করলেন যদি টিউমার ফেলতে না পারবেন উনি তখন তেমন কোন সন্তোষ জনক উত্তর দিতে Read More

আমি কি তোমায় খুব বিরক্ত করছি ?

আমি কি তোমায় খুব বিরক্ত করছি ?
বলে দিতে পারো তা আমায়।
হয়তো আমার কোন প্রয়োজন নেই
কেন লেগে থাকি একটা কোনায়।
তুমি বলে দিতে পারো তা আমায়
চিঠি লিখবো না ঐ ঠিকানায়
আমারও তো মন ভাঙ্গে, চোখে জল আসে
আর অভিমান আমারও তো হয়।
যদি এই মুঠো ভরা শিউলি ফুল
যদি এই খুলে রাখা কানের দুল Read More

fissurefilms-20180401-0001

থিওরি অফ এভরিথিং

ছোট বেলা থেকে পড়ে আসতেছেন সব কিছু অনু পরমানু দিয়ে গঠিত। তাইনা! পরমানু আবার নাকি ইলেক্ট্রন, প্রোটন আর নিউট্রন নামক হাবিজাবি দিয়ে গঠিত। লুক ক্লোজলি। আসলে সব বাল দিয়ে তৈরি। সব কিছু বাল। আপনি একটা বাল। আমি একটা বাল। আমরা সবাই একটা একটা ইন্ডিভিজুয়াল বাল। আবার আমরা সবাই মিলে একটা সমষ্টিগত ভাবেও বাল। এই সব ইলেক্ট্রন, প্রোটন, নিউট্রন কিছুই না। এইগুলাও বাল। সব বাল। এইটা থিওরি অফ বাল।

what-the-night-sky-looks-like-at-8-different-levels-of-light-pollution-2

আলো দূষণ

সবাই ব্যাস্ত পানি, বাতাস আর শব্দ দূষণ নিয়ে। এইদিকে আমার রাতের আকাশ কেড়ে নিয়ে গেছে আলো দূষণ। এখন রাতের আকাশ উপভোগ করা হয়না আগের মতন। শহরে তো নয়ই। শহরে থেকে মিল্কিওয়ে দেখবার আশা করাটা বোকামি। সম্ভব না জানি। কিন্তু একটু তারা ভরা আকাশ দেখতাম ছোট বেলায়। বিশেষত লোডশেডিং এর সময়। পাক্কা এক ঘণ্টার লোডশেডিং হত। এখন ও হয় কিন্তু জেনারেটরের শব্দ কেড়ে নেয় রাতের আকাশ। তারা দেখা হয় না। যেখানেই তাকানো যায় সেখানেই অতি মাত্রায় ঝিলিমিলি আলো। সবখানেই বিয়ে বাড়ির উৎসব। কিন্তু হায় আনন্দ নাই। সবই শো অফ। চোখ বন্ধ করে রাস্তায় হাটতে ইচ্ছা করে। চোখে লাগে আলো। ভালো লাগে না। মানুষ ভারসাম্যহীন হওয়ার আগে নাকি আলো সহ্য করতে পারে না। মনে হয় সত্যি না। অনেক দিন ধরেই আলো সহ্য হয়না। তাহলে এত দিনে উন্মাদ হওয়ার কথা। না হই নাই এখনও। হইলেও ভালো ছিল। এস্পার নয়তো ওস্পার। দুই দিনের জন্য যদি পুরো ঢাকাকে আধারে ডুবায় দেয়া যেত। হোক কিছু লস। সম্ভব না। কোনভাবেই সম্ভব না। সময় শেষ হয়ে আসতেছে। বাকি নাই বেশি আর। হিলসে যদি কোন জব করতে পারতাম। কিংবা ফরেস্টে। আজকাল ট্রেন্ড সবাইলে বড় স্বপ্ন দেখতে শিখায়। দুবাইয়ে পাচতারা হোটেলে পার্টি কিংবা লাস ভেগাসে ট্রিপ। কর্পোরেট জায়ান্ট কিংবা বিজনেস ম্যাগনেট। মোটিভেশনাল স্পিকাররা সারাক্ষণ ই তাদের ভাঙ্গা ক্যাসেটে বলে বেড়াচ্ছে স্বপ্নও বড় দেখতে। গরিব হয়ে জন্ম নেয়া আমার দোষ না হলেও গরিব অবস্থায় মারা যাওয়া নাকি আমার দোষ। আবার ছোট বেলায় পড়েছিলাম অর্থই নাকি সব অনর্থের মুল। কোনটা মানবেন ? আসলে ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশার খবর কেঁউ রাখেনা। সবাই ওই চুড়ায় উঠতে ব্যাস্ত। আর যারা এই কম্পিটিশনে যেতে অস্বীকার করে তারা সমাজের দৃষ্টিতে অলস, ভাদাইম্মা আর নির্বোধ হিসাবে পরিচিতি পায়। এসব দেখে নচিকেতা একদা বলেছিলেন ” এ সবই থাক তোমাদের, আমি বড় চাই না হতে, ধুলো মাখা পথই আমার, তুমি চড় জয়রথে। শত লাঞ্ছণা দিও, করো আমায় অসম্মান। তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশান ! “