2248705010_a5c4ed60aa

ঘুম, কষ্ট ও অন্যান্য

আমি চাইনি কখনো জিততে
তবু হয়েছি হিস্যা অসংখ্য প্রতিযোগিতার
চুপ চাপ দাঁড়িয়ে দেখে গেছি অন্যের বিজয়োল্লাস
হিংসা হয়নি, হয়েছি ত্যাক্ত, বিরক্ত
বার বার ফিরে যেতে চেয়েছি ফেলে আসা শৈশবে
যেখানে দৌড়ে পার পার হয়ে যেতাম সবুজ মাঠ
সকাল বেলা কুয়াশা ভেজা মাটি থেকে কুড়াতে চেয়েছি বকুল ফুল
বিকেল বেলায় দু’টাকার চীনাবাদাম
সন্ধ্যেয় বাবার বকা খেয়ে সোজা টেবিল চেয়ারে
রাতে ঘুমের আগে চোখ বন্ধ করলেই জগতটা আমার
সেখানে আর কেউ রাজত্ত্ব করতে পারে না
রাজকার্য পরিচালনা করতে করতে কখন যে এক গাদা ঘুম চলে আসতো
এখন তো ঘুমও কিনতে হয় চড়া দরে
ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন হাতে ফার্মেসিতে পাতা পাতা ঘুম কিনি
তারপর বিছিনায় তেতো হয়ে যাওয়া জিহবায় দাত ঘষি Read More

কপালের ভাঁজে গাড়ি চলে সারারাত – Kopaler Bhanje | Piya Chakraborty | Anupam Roy

কপালের ভাঁজে গাড়ি চলে সারারাত
চাকার আঘাতে খানিকটা উঁচু নিচু
অহঙ্কার টা চিরদিন ই রয়ে গেল
তাই চোখের আড়ালে থেকে গেল কত কিছু

কারোর পায়ের শব্দ আমি মনপ্রাণ দিয়ে চাইছি
নিশ্বাস তুমি ফিরে যাও, আমি যন্ত্রনা ভালবাসছি
তাই ঝড়ের কাছাকাছি এই কাতর বিবরণ
এরপরেও জেগে থাকে এই পাথরকুচি মন Read More

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর – ঋতুপর্ন ঘোষ

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা ।

মন খারাপের খবর আসে বনপাহাড়ের দেশে ,
চৌকোণও সব বাক্সে
যেথায় যেমন থাক সে
মন খারাপের খবর পরে দারুণ ভালোবেসে ।

মেঘের ব্যাগের ভিতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পারি
পাগদন্দি পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ি ,
বাগান শেষে সদর দোয়ার বারান্দাতে আরাম চেয়ার
গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি ,
সেথায় এসে মেঘ পিওনের সমস্ত ব্যাগ খালি ।

মেঘ পিওনের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা ,
মন খারাপ হলে কুয়াশা হয় ব্যাকুল হলে তিস্তা । Read More

বেঁচে আছি

মৃত স্বপ্নগুলোকে শ্মশানে দাহ করতে করতে বলি বেঁচে আছি
মরে যাওয়া আশার কফিনে পেরেক ঠুকতে ঠুকতে বলি বেঁচে আছি
এক কখনো না জেতা চির পরজিত সেনাপতির মতন জীবন যার
জিতবে না জেনেও যাকে চালিয়ে জেতে হয় যুদ্ধ
বৃষ্টির দু-ফোটা জলে আশায় উপরে তাকালেই সে দেখে আজস্র শকুন
উড়ে বেড়ায় তার মৃতপ্রায় শরীরের মাংশের আশায়
ঘন গহীন  ভাঙ্গা কনক্রিটের জঙ্গলে তার শিবির
এই জীবনকে সে চায়নি, এই জীবনই তাকে বেছে নিয়েছে
নিঃসঙ্গ জঙ্গলে তার বন্দি জীবন
মুক্তির গান শুনে যায় দিন রাত কিন্তু দিন শেষে তাও মরিচিকা

imrul-mens-day

পুরুষ

পুরুষ শব্দটাই অনেক মেয়ের কাছে নোংরা। কি চায় এই পুরুষেরা ? শুধু দেহ ? ভোগ করে ছেড়ে দিতে ? নাকি একসাথে অনেকগুলো নারীর সাথে সম্পর্ক করতে ? তারা মুদ্রার একটি পিঠই দেখেছেন শুধু। দোষ দিবোনা , জীবনের অনেক বাজে অভিজ্ঞতাই হয়তো তাদের এমন ধারনা দেয়। দৈহিক চাহিদার চেয়েও একজন পুরুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মানসিক চাহিদা। দিন শেষে সে একটা আশ্রয় চায়। কষ্ট গুলার কথা বলতে চায় কাউকে। যে শুনবে মন দিয়ে। তারপরে হাত ধরে বলবে Everything’s Gonna Be Alright.. You are doing your best. হাজারটা বিজনেস কলের মাঝেও একটা কল আসবে যখন মোবাইলের ওপাশ থেকে কেউ জিগ্যেস করবে দুপুরে খেয়েছে কিনা? হাতে সিগারেট দেখে কেড়ে নিয়ে বলবে আজকে কয়টা হোল? আর নয়। জীবনের সব গুলো অনিশ্চয়তা একটু সরিয়ে রেখে কারো কোলে মাথা রেখে একটু নিশ্চিন্ত হতে চায়। ইভ টিজিং এর শিকার নারীর সংখ্যার তুলনায় ইভ টিজিং এর প্রতিবাদ করে নিহত কিংবা আহত হওয়া পুরুষের সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়। স্যাক্রিফাইস কি শুধু মেয়েরাই করতে জানে? নারীরা মায়ের জাত সো স্যাক্রিফাইস বিষয়টা তাদের জেনেটিক। বাইরে নয়, নিজেদের মায়ের দিকে তাকালেই বুঝা যায় তাদের ত্যাগের সক্ষমতা সম্পর্কে। তার মানে কি পুরুষ জাতটা শুধু ভোগ বিলাসেই ব্যস্ত কিংবা খুব স্বার্থপর ? নিজেদের পিতার স্যাক্রিফাইস গুলার কম অংশই আমরা জানি। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু প্রত্যেকটা জায়গায় নিরবে, পরিবারের অজান্তে তারা কত ধরনের আপোষ করে চলে। নিজেরাও সেটার হিসাব জানে না। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের শিকার অনেক নারী। কিন্তু বিয়ের প্রোলভনে ধর্ষনের শিকার পুরুষকে কে দেখে? ৫/৭ বছর প্রেম করে যখন মেয়েটা একটা আমেরিকা প্রবাসী পাত্রকে বিয়ে করে, আর ছেলেটা মাথা নুইয়ে সেটা মেনেও নেয়, বিশ্বাস করেন সেখানে ধর্ষিত হয় পুরুষ। কিন্তু তথাকথিত পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সেটার বিচার করবে কে? না, কেউ না। এটা মেনে নিয়েই তাকে পথ চলতে হয়। একজন নারি তার ক্যারিয়ারে সফল হোক বা না হোক সেটা নিয়ে তাকে জীবনে খুব বেশি দুঃখিত না হলেও চলে, ইউরোপ আমেরিকা প্রবাসী কোন না কোন পাত্র তার জন্য অপেক্ষা করছে অথবা কোন বাড়িওলার সুপুত্র (!)। সফল ক্যারিয়ার গড়তে না পারলে কিনবা বাপ জানের অঢেল সম্পত্তি না থাকলে একজন পুরুষের জীবন যে কত খানি দুর্বিষহ হয় সেটা একমাত্র সেই জানে। ঘটনা যাই হোক গতকাল ছিল International Men’s Day !! সো জগতের

Read More

far-imrul

কতটা

ঠিক কত দূর গেলে আমি একজন মুসাফির হবো ? কতটা বছর জঙ্গলে একা  কাটালে  একজন মানুষ সন্ন্যাসী  হয় ? এক মুহূর্ত ঠিক কতটা সময়? একটা মাঠ ঠিক কত বড় হলে সেটা তেপান্তরের মাঠ হবে ?  মরুভূমিতে ঘোড়ায় চড়ে কতদূর গেলে আমি বেদুইন হব? কত পৃষ্ঠার কাব্য লিখলে সেটা মহাকাব্য ? ঠিক কতটা কালো হলে একজন নিগ্রো হয় কিংবা কতটা সাদা হলে বার্বি ডল ?  কতটা বড় হলে একটা হৃদয় আকাশের মতন বড় হয়? কতদুর গেলে স্মৃতির কাছে থেকে পালানো যায় ? কতটা জানলে একজন সবজান্তা হয়? কত বড় যুদ্ধ হলে সেটা মহাযুদ্ধ হয় ? কত দিন কাঁদলে এক জোড়া চোখের জল শুকায় ? ঠিক কতখানি কষ্ট পেলে একটা হৃদয় পাথর হয় ? কতটা বোকা হলে একজন মানুষ গাধা হয় ?

imru_pain_failure

নিঃশব্দের সুর

মধ্যবিত্তদের জীবনের সব চেয়ে কঠিন আর নির্মম বিষয়টি হোল তাদের প্রতিনিয়ত কোন না কোন ইচ্ছেকে কুরবানি দিতে হয়। আর তারা খুব ভাল ভাবেই হাসি মুখে কাজ টা করে থাকে। কাউকে বুঝতে না দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাসে কষ্টটা লুকিয়ে ফেলার শিল্পটা একজন মধ্যবিত্তের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। কেউ না। এদের স্বপ্ন গুলাও অনেক ছোট ছোট হয়। তাই হয়তো তারা কখনো বিল গেটস কিংবা স্টিভ জবস হয় না। চাওয়া গুলো ছোট থাকা কি দোষের ? মনে হয় দোষের। বড় কিছু প্রত্যাশা করে না পাওয়ার চেয়ে ছোট কিছু প্রত্যাশা করে না পাওয়া বেশি কষ্টের। কিন্তু ব্লাডি মিডলক্লাসের জীবনে কষ্টের কোন কমতি নাই। তাই গায়ে লাগে না। কখনো কখনো কিছু ইচ্ছেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেই, কখনো পাঠাই নির্বাসনে। কখনো বা নিকোটিনে কালো হয়ে যাওয়া ফুস্ফুসে লুকায় রাখি। ইচ্ছা গুলোও মরে যায় নিকোটিনের বিষে। নিকোটিনের অনেক গুন। আলো সহ্য হয় না এখন একবারেই। অন্ধকার আমাকে ডাকে। সব সময়। মানুষ মরে গেলে তারা হয়ে যায় শুনছিলাম। তবে মধ্যবিত্তেরা মনে হয় মরে যাওয়ার পর ব্লাকহোল হয়। যে মানুষ এক বার শুন্যতার হাত ধরে অনেকটা পথ হেটেছে সে অন্য কারো হাত ধরে বেশি দূর যেতে পারে না। শুন্যতাও একটা উপভোগের বিষয়। বুকের Read More

দুঃখ স্রোত – মাইলস

আমার রঙিন কতগুলো দিন
রয়েছে তোমারই কাছে- ফিরিয়ে দাও

না হয় আমার হৃদয়ে যে ব্যথা
বুকের মাঝে জমে আছে- ফিরিয়ে নাও

এরপর যাও, চলে যাও, যেখানে যেতে চাও
এরপর যাও, চলে যাও, যেখানে যেতে চাও।

আমার রঙিন কতগুলো দিন
রয়েছে তোমারই কাছে- ফিরিয়ে দাও

রূপকথাসম যে স্মৃতি রয়েছে হাজার
আঘাত করে কেন যায় শুধু বারবার
বড় কষ্টে জমানো ধূসর সে প্রেম
কালো দাগ রেখে গেছে- তুমি নিয়ে যাও Read More

biri_imrul

সিগারেট , নিকোটিন আর আমি

আমার সিগারেট খাওয়ার শুরুটা হইছিল কলেজে থাকতে। সিগারেট না খাইলে নাকি পার্ট নেয়া হয় না ঠিক মতন। বয়েজ স্কুল – কলেজে  ছিলাম। সেভাবে মেয়েদের সামনে পার্ট নেয়ার সুযোগ  বেশি আসত না। যখনি আসতো মিস করতে চাইতাম না, দুই আঙ্গুলের ফাকে বেনসন রাইখা পার্ট নিতাম। সব সময় বেনসন খাওয়ার অওকাত থাকতোনা। তৎকালীন বাজারে লিজেন্ড নামে এক খানা সিগারেট ছিল যেটা দেখলে দূর থেকে মোটামুটিভাবে বেনসন লাইট মনে হইতো। শুধু লিজেন্ড ব্যাক্তিরাই লিজেন্ড সিগারেট খাইতো।  আর দোকানদার মামারে হাত কইরা বেনসনের প্যাকেট ম্যানেজ কইরা ওইটার ভিতর লিজেন্ড নিয়া ঘুরতাম আর মাঝে  মাঝে মাইয়া দেখলে একটা বাইর কইরা ধরাইতাম। সত্যি বলতে ভিতরের কোন টান ছিলোনা সিগারেটের জন্য। সময়ের বিবর্তনে ডাইনোসর মুরগিতে পরিণত হইছে। আর আমার দু আঙ্গুলের ফাকে থাকা সিগারেটাটা কখন যে লাক্সারি প্রোডাক্ট থেকে জীবনের সব চেয়ে নেসেসারি প্রোডাক্টে পরিণত হয়েছে টের পাই নাই। এখন মেয়ে মানুষ দেখলে সরে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে সিগারেট ধরাই। সময়ের সাথে সাথে কত কিছুই না চেঞ্জ হয়ে যায়। যখনি পুরনো কোন কষ্ট মাথাচড়া দিয়ে উঠে কিংবা একটার পর একটা ব্যর্থতার চিত্র চখের সামনে ভেসে উঠে তখনি হাতটা নিশপিশ পরে একটা সিগারেটের জন্য। একটু নিকোটিনের জন্য। একটা সুখটান যতটুকু মনটাকে শান্ত করে অন্য কোন কিছুই সেটা পারেনা। দু আঙ্গুলের ফাকে সিগারেটের  অনেক ব্র্যান্ড চেঞ্জ হইছে কিন্তু নিকোটিনের প্রতি আসক্তি এক রত্তি কমেনি। মনে হয় না মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কমবে। একাকীত্বের রাতে , কষ্ট চেপে রাখা দুপুর গুলোতে, ঘুম না না আসা মাঝ রাতে, অনেক পুরোনো কোন স্মৃতিকে মনে করে যখন চোখ দিয়ে এক দুই ফোটা জল গড়ায় তখন হাতে একটা সিগারেত না হলে কি চলে ? না চলে না। এক দিন এক বড় আপু বড় আপু বললেন ছাইপাশ ছাড়। হারাম জিনিষ। দোজোখে যাবি সোজা। প্রচন্ড হাসি পাইসিলো সেদিন। Read More