imrul_net

ধোয়া, নিকোটিন ও অন্যান্য

ধোঁয়া হতে ইচ্ছা করে খুব। গাড়ির ধোঁয়া না, পবিত্র আগর বাতির ধোঁয়াও না। সিগারেটের ধোঁয়া হব আমি। কোন ব্যর্থ প্রেমিকের দুআঙুলের ফাকে জ্বলন্ত গোল্ডলিফের ধোঁয়া। তার ভিজে ওঠা ঝাপসা চোখে ধোঁয়া গিয়ে কিছুটা জ্বালা-পোড়া করবো। হয়তো কোন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে দিতে ক্লান্ত আত্থহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়া বেকার যুবকের হাতের শেষ সিগারেটের ধোঁয়াটা হব। সিগারেটের ধোঁয়া মিলিয়ে যাওয়ার আগেই হয়তো গলায় ফাঁসটা পরে নিবে সে। পরকীয়ায় ভেঙ্গে যাওয়া কোন সংসারের সেই Read More

imrul-2

প্রথম প্রেম

প্রথম প্রেমটার মতন জীবনে আর কিছুই হয় না। সব কিছুতেই অদ্ভুদ ভালোলাগা আর মুগ্ধতা যেন মিশে থাকে। প্রথমবার হাত ধরা , একসাথে কোথাও ঘন্টাখানেক বসা, চোখে চোখ রেখে তাকানো আর কখনোই ফিরে আসেনা। ওই অনুভূতই আর হবে না কখনো। পরের প্রেম গুলো হয়তো হবে শরীরের টানে। কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনের খাতিরে। আর বিয়ে, সে তো হবে একটা বিজনেস ডিল। প্রথম সেই অনুভূতি ম্রিয়মান হয়ে যাবে একদিন কিন্তু ভোলা যাবে না, বিশ্বাস করো ভোলা যাবেনা। ভোলা যায় না ওসব। একবার চলে গেলে খুজেও পাওয়া যায় না। বয়সের সাতেহ সাথে কমে যাবে তোমার চোখের জল। মন খারাপ হলেও কাঁদতে পারবেনা। হয়তো সাহায্য নিবে নিকোটিনের। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখির মতন তাকিয়ে থাকবে উপড়ে। আসবেনা সেই বৃষ্টি। একটা ফোটাও পাবেনা বাস্তবে। Read More

blog-imrul

ইচ্ছে

জানো আমার খুব রেলগাড়ি হতে ইচ্ছে করে
দ্রুতগামী ম্যাগনেটিক রেলগাড়ি না
উঝিক-ঝিক  করে ছুটে চলা রেলগাড়ি
কয়লার আগুন বুকে নিয়ে চলে সে
তার  বুকে কখনো আগুনের অভাব হয় না
রাতের বেলা ছুটে বেড়াবো মাঠ ঘাট জঙ্গল চিঁড়ে
কখনো কখনো থামবো নির্জন কোন রেলস্টেশনে
মাথার উপর তারার ছাদ আর চারিদিকে ঝিঁঝিঁর ডাক
হয়তো দু-তিন জন যাত্রী আমার অপেক্ষায়
আবার ছুটে চলবো সারাক্ষন
কিন্তু ভয় হয় যদি কেউ মাথা পেতে দেয় রেললাইনে
রক্তমাখা চাকা নিয়ে ছুটে চলতে হবে হয়তো
আর ইচ্ছে করেনা রেলগাড়ি হতে … Read More

ছায়াপথ

যন্ত্রনার ছায়াপথ

ছায়াপথ ধরে হেটে যাওয়া যায়। সবাই পারে না। হাঁটা শিখতে হয়। আকাশ সবার জন্য না। রাতের আকাশ আরো না। ভেজা চোখে মাঝরাত্তিরে আকাশ দেখার সৌভাগ্য ও সবার হয় না। আলো সহ্য হয় না আজকাল। রোদের আলো আর ইলেকট্রিক আলো দুটোই অস্বাভাবিক রকমের যন্ত্রনা দেয়। কিন্তু তারার আলো কেন এত ভালো লাগে? তারার আলোতে নেশা হয়। চাদের আলোতেও নেশা হয়। হুইস্কি/ব্র্যান্ডি কিংবা ব্রাউন সুগারের চেয়ে কোন অংশে কম না সে নেশা। শুধু সেই আলোর সাথে নিজেকে সিঙ্ক্রোনাইজ করে নিতে হয়। সাথে সাথে সিঙ্ক্রোনাইজ করতে হয় রাতের অন্ধকারের সাথেও। তারপর শুরু হয় জীবনের চাওয়া পাওয়ার সব হিসাব। অনেক না পাওয়ার মাঝেও প্রাপ্তির সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু পূরণ না হওয়া বিবর্ণ স্বপ্নগুলোকেই চাদের আলোতে তখন ট্রেজার মনে হয়। হারানো শৈশবের কথা ভেবে কখনো দু-এক ফোটা নোনা জল চলে আসে। স্কুল গেটের বাইরে ২ টাকার হজমির স্বাদ যে কেন্টাকির  তিনশ টাকার জিঞ্জার বার্গারের চেয়ে ভালো ছিল। নিজের তেমন কোন দুঃখ ছিলো না। কখনো দুঃখ ধার করেছি ভিক্টর হুগোর জাঁ ভালজার কাছে থেকে , কখনো ডিকেন্সের অলিভার টুইস্টের কাছে থেকে। হারানো জন্য জুল্ভার্নের মিস্টেরিয়াস আইল্যান্ড তো ছিলোই। আজ কোন জায়গা নাই হারানোর। কোন মটরসাইকেল যখন তীব্র হর্ন বাজিয়ে পাশ দিয়ে চলে যায় তখন সত্যিই নিজেকে অন্য কোন নির্জন দ্বীপে নিজেকে টেলিপোর্ট করে ফেলতে ইচ্ছা করে। কখনো কখনো আলকেমিস্টদের গুপ্তবিদ্যার খোঁজে পুরো আরব চসে ফেলতে ইচ্ছা করে। কখনোবা হাজার বছরের পুরনো হারিয়ে যাওয়া মার্শাল আর্ট এর কোন কলা শিখতে চলে যেতে ইচ্ছে করে দুর্গম কোন অঞ্চলে। কিন্তু এই ফ্যান্টসি দিয়ে পেট চলে না। পেট চালাইতে হইলে গলায় চেইন দিয়ে বুর্জোয়াদের বানানো সিস্টেমে নাকে খত দিয়ে ঢুকতে হবে।

imrul-blog-dhaka

ধন্যবাদ, ঢাকা

ঢাকা আমার শহর। গালি কম দেয়া হয়নি এই শহর কে। ট্রাফিক জ্যামে ঘামতে ঘামতে কিংবা ছিনতাইকারীর হাতে টিউশানির টাকা জমায় কেনা মোবাইলটা খোয়ায় , সবার আগে গালিটা আমার শহর কেই দিয়েছি। সব কষ্টের কারণই যেন এই শহর টা। ভ্রমণ কাহিনী যতই পড়তাম কষ্ট ততই বেড়ে যেত। কেন যে আমার জন্মটা প্যারিস কিংবা ভিয়েনাতে হোল না ? ক্রমগত স্রষ্টা কে প্রশ্ন করতাম। পরে এক সময় বাস্তবতা মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু কখনোই হিসাব করা হয়নি কি পেয়েছি এই শহরে ? অলিতে গলিতে অজস্র স্মৃতি।  শ্যাওলা পড়া একটা গলিতে ভয়ে ভয়ে প্রথম সেই সিগারেটের টান। কিংবা প্রথমবার প্রেমে ব্যর্থ হয়ে যখন উদ্বাস্তুর  মতন কোন বাসস্টপে বসে থাকতাম তখন হয়তো এই শহরই আমাকে বুকে টেনে নিয়েছিল। দুপুরের কড়া রোদে বাসের ভিরে ঘামতে ঘামতে অনেক গালাগালি করেছি আমার শহর কে। কিন্তু মাঝরাত্তিরে পান্থপথের সিগন্যালের দাড়িয়ে যখন একটা বেনসন হাতে যখন সেই অদ্ভুত নিরবতা উপভোগ করেছি তার জন্য কখনোই একটা ছোট ধন্যবাদ জানাইনি এই শহরকে। রাতের বেলা এই শহর কে চেনা যায় না। এই শহর যেন তার নেকাব খুলে শুধু প্রিয়জনকে তার আসল রুপ দেখায় তখন। তারো অনেক কষ্ট হয়তো। দীর্ঘশ্বাসের মতন সারা দিন চেপে রাখে সে। রাতের ঢাকাকে সবাই চিনে না। চিনবেই বা কিভাবে? দশঘন্টা অফিসের ডিউটির পর কবিতার জন্য কি আর সময় থাকে ? এক গ্লাস জ্যোৎস্না আর এক গ্লাস অন্ধকার হাতে আর কয়জন ই বা দাঁড়িয়ে থাকে জেমসের মতন! আমার যা কিছু পাওয়ার, সবই তো এই শহর থেকে পাওয়া। ভালবাসার স্মৃতি কিংবা দুঃখ, সব কিছুর স্বাক্ষি এই শহর । কখনও পালাতে পারিনি তাই এই শহর ছেড়ে। হয়তো কখনো পারবও না। দুঃখ থাকবেনা কোন।

কবিতার মতো রাস্তারা ছুটে রোজ
বাড়ি ঘর গুলো ছোটো গল্পের বই
এখানেই পাবে তোমার আমার খোজ
এই শহর ছেড়ে যাবার উপায় কই?

-দুর্গ-_155

গোলকুণ্ডা ফোর্ট (গোলকুণ্ডা দূর্গ) ভ্রমন

গোলকুণ্ডা দুর্গ
গোলকুণ্ডা দুর্গ

গোলকুণ্ডা কিল্লা হায়দ্রাবাদের কাকট্য রাজবংশ শাসনকালের তৈরি একটি স্থাপনা। কালক্রমে বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠীর হাতবদল হয়ে অবশেষে কুতুবশাহী রাজবংশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এই দূর্গটি। এটি তৎকালীন হায়দ্রাবাদের কুতুবশাহী শাসকগোষ্ঠীর (১৫১৮-১৬৮৭) রাজধানী ছিলো যা হায়দ্রাবাদের ১১ কি:মি: পশ্চিমে গোলকুণ্ডায় অবস্থিত। গ্রানাইট পাহাড়ের উপর এই গোলকুণ্ডা দূর্গটি বহিঃশত্রুর আক্রমণ এবং যুদ্ধের জন্যে তৈরি হয়েছিলো। দূর্গটিতে রয়েছে সেসময়কার অস্ত্রাগার,তারামতি মসজিদ,ধ্বংসপ্রাপ্ত জেলখানা, ওসমানিয়া মসজিদ, হীরাখানা মসজিদ, শিব মন্দির, বারাদারী বা পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত কেল্লা, সেলাইখানা ইত্যাদি।  হায়দ্রাবাদ শহর থেকে সহজেই অটোতে করে চলে আসা যায় গোল্কুন্ডায়। সকাল সকাল চলে আসাই ভালো। প্রায় সারা দিন লেগে যাবে  পুরো কিল্লাটি ঘুরে দেখতে। অনেক উপড়ে উঠতে হবে পুরো কিল্লাটি দেখতে হলে। কিন্তু যখন আপনি  পুরো হায়দ্রাবাদ শহরটি দেখবেন কিল্লার উপড় থেকে তখন আপনার সব কষ্ট সার্থক মনে হবে। বাংলাদেশ থেকে আসতে হলে কোলকাতা হয়ে হায়দ্রাবাদের ট্রেন ধরতে পারেন। হায়দ্রাবাদ শহর একটি ঐতিহাসিক শহর। আপনি যদি একা হন এবং কম খরছে থাকতে ঘুরতে চান তাহলে খুব সহজেই ম্যানেজ করতে পারবেন। হালাল খাবার চাইলে অনেক হালাল মুসলিম খাবারের দোকান রয়েছে। Read More

যে তুমি তারার মত – আব্বুলিশ

যে তুমি তারার মত যে, তুমি মেঘের থেকে উঁচু
যে আমি ধুলোর মত, যে আমি তোমার থেকে নিচু
তুমিতো পরীর বেশে তুমি মায়ার বেশে নামো
আমি যে ছুটেই চলি তোমারই পিছু পিছু থামো…

দেখোতো বনের কাছে দেখোতো নদীর কাছে  চলো
বানাবো কাঠের বাড়ি
আমাকে নেবে কি? তুমি বলো? Read More

সমুদ্র

সমুদ্র

আমি সমুদ্রকে দেখেছি , যাতবার পেরেছি
আমি সমুদ্রের কাছে গিয়েছি, যতকাছে পেরেছি
তোমরা বলো এটা আটলান্টিক, আর ওটা আরব সাগর
এটা বঙ্গোপোসাগর তো ওটা সেল্টিক সাগর
আমি কোন বিভেদ পাইনা সাগরে
সব সাগরের জলই তো চোখের পানির মতন লোনা
তীরে দাঁড়ালেই তার শোঁ শোঁ শব্দ
আচ্ছা কেউ কি কখনো  খুজেছে
সাগরের  শোঁ শোঁ শব্দের মানে
খোঁজেনি কেউ খোঁজেনি
শুধু কষ্ট গুলোই জমা রেখে এসেছে
যখনই গিয়েছে , যত কষ্টই নিয়ে গিয়েছে
সব কষ্টই চোখের জলে মিশে বয়ে গিয়েছে সমুদ্রে
যেমনটা নদী এসে মিশে যায়
সমুদ্র কখনোই কাউকে ফেরায় না
সমুদ্র কখনোই কেউকে ফেরায়নি Read More

যাযাবর

যাযাবর

একদিন আমি ঠিকই সুখী হবো
বসন্তে গাছের পাতাদের মতন
সবুজে সবুজে ছেয়ে থাকা বনের স্নিগ্ধতা নিয়ে
বউ কথা কউ পাখির ডাক শুনে সম্বিৎ ফিরে পাবো
হেটে বেড়াবো মসৃণ বালুর সৈকতে
দ্বীপ থেকে দ্বীপে ঘুরে বেড়াবো
না কোন দামী জাহাজে না
কোন জেলের ছোট একটা নৌকায় চড়ে
পকেটে থাকবেনা কোন স্মার্টফোন
থাকবেনা বুর্জোয়াদের কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
মাঝ সমুদ্রে ঢুলু ঢুলু নৌকা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হবে
কিন্তু খুব দক্ষতার সাথে মাঝি সামলে নিবে নৌকা
হয়তো কোন পিছুটান থাকবেনা
থাকবে কিছু সুখ আর দুঃখের  স্মৃতি
কোন কিছুই হয়তো আমাকে আর ভাবাবে না
হয়তো প্যারিসের কোন দামি হোটেলের বাইরের ডাস্টবিনের পাশে  অপেক্ষা করবো Read More