যে তুমি তারার মত – আব্বুলিশ

যে তুমি তারার মত যে, তুমি মেঘের থেকে উঁচু
যে আমি ধুলোর মত, যে আমি তোমার থেকে নিচু
তুমিতো পরীর বেশে তুমি মায়ার বেশে নামো
আমি যে ছুটেই চলি তোমারই পিছু পিছু থামো…

দেখোতো বনের কাছে দেখোতো নদীর কাছে  চলো
বানাবো কাঠের বাড়ি
আমাকে নেবে কি? তুমি বলো? Read More

সমুদ্র

সমুদ্র

আমি সমুদ্রকে দেখেছি , যাতবার পেরেছি
আমি সমুদ্রের কাছে গিয়েছি, যতকাছে পেরেছি
তোমরা বলো এটা আটলান্টিক, আর ওটা আরব সাগর
এটা বঙ্গোপোসাগর তো ওটা সেল্টিক সাগর
আমি কোন বিভেদ পাইনা সাগরে
সব সাগরের জলই তো চোখের পানির মতন লোনা
তীরে দাঁড়ালেই তার শোঁ শোঁ শব্দ
আচ্ছা কেউ কি কখনো  খুজেছে
সাগরের  শোঁ শোঁ শব্দের মানে
খোঁজেনি কেউ খোঁজেনি
শুধু কষ্ট গুলোই জমা রেখে এসেছে
যখনই গিয়েছে , যত কষ্টই নিয়ে গিয়েছে
সব কষ্টই চোখের জলে মিশে বয়ে গিয়েছে সমুদ্রে
যেমনটা নদী এসে মিশে যায়
সমুদ্র কখনোই কাউকে ফেরায় না
সমুদ্র কখনোই কেউকে ফেরায়নি Read More

যাযাবর

যাযাবর

একদিন আমি ঠিকই সুখী হবো
বসন্তে গাছের পাতাদের মতন
সবুজে সবুজে ছেয়ে থাকা বনের স্নিগ্ধতা নিয়ে
বউ কথা কউ পাখির ডাক শুনে সম্বিৎ ফিরে পাবো
হেটে বেড়াবো মসৃণ বালুর সৈকতে
দ্বীপ থেকে দ্বীপে ঘুরে বেড়াবো
না কোন দামী জাহাজে না
কোন জেলের ছোট একটা নৌকায় চড়ে
পকেটে থাকবেনা কোন স্মার্টফোন
থাকবেনা বুর্জোয়াদের কোন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড
মাঝ সমুদ্রে ঢুলু ঢুলু নৌকা ডুবে যাওয়ার উপক্রম হবে
কিন্তু খুব দক্ষতার সাথে মাঝি সামলে নিবে নৌকা
হয়তো কোন পিছুটান থাকবেনা
থাকবে কিছু সুখ আর দুঃখের  স্মৃতি
কোন কিছুই হয়তো আমাকে আর ভাবাবে না
হয়তো প্যারিসের কোন দামি হোটেলের বাইরের ডাস্টবিনের পাশে  অপেক্ষা করবো Read More

imrul-blog

মধ্যবিত্তের প্রেম

মধ্যবিত্তের জীবনে প্রেম টা ভয়ঙ্কর রকমের একটা উভয় সংকট। কাউকে কখনো ভালো লেগে গেলে সেত আরেক যন্ত্রনা। না যাবে বলা, না যাবে সওয়া। বলতেও ভয়, ওপাশের উত্তরটা যদি না হয় বিপদ, হ্যা হলে আরো বড় বিপদ। এমনেই নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, তার মধ্যে আরেকজন যদি চলে আসে জীবনে? কিভাবে মিলিয়ে চলবে? ওভারথিংকিং  যদি কোন আর্ট হয় তাইলে  মধ্যবিত্তের চেয়ে আর কোন সমাজে এই আর্টের বেশি আর্টিস্ট নাই। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি। হাজারটা শঙ্কায় সারাক্ষণ তটস্থ , তার উপরে যদি প্রেম নামের গজবটা পড়ে তাইলেই ষোলকলা পুর্ন। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত ছেলের প্রেম তাই হয় কল্পনায়। সেইখানেই ঘুরে বেড়ায় সে তার ভালোবাসার সাথে। সেই মানুষটার হাসিটাই হয়তো তার মানিব্যাগের শেষ সম্বল। কে চায় প্রিয়োজনের সাথে নরকে থাকতে ? মধ্যবিত্তের বাসই যে বাস্তবতার নরকে।  কল্পনাই একমাত্র এসকেপ রুট! আরো একটা এসকেপ রুট আছে, ঠিক ধরেছেন গলায় দড়ি কিংবা সায়ানাইড। কিন্তু ওটা বেশি এক্সট্রিম। সবাইতো আর এক্সট্রিমিস্ট না। এক্সট্রিমিস্ট হতে চাইলেও পারা যায় না। যন্ত্রনার পাহাড়ের চূড়ায় কিন্তু চোখের জলের ফোঁটা গুলোই তারাদের রিপ্লেসমেন্ট।

বরফগলা বাস্তবতায় , বৃষ্টি কেন চোখের পাতায় ?

চুরি যায় – দ্বিখণ্ডিত -Dwikhondito – Anwesha Duttagupta

Song: Churi Jay
Singer: Anwesha Duttagupta
Music: Arup Bhattacharya
Lyrics: Sudipto Chatterjee
Arranger/Programmer: Avijit Chakraborty
Recording Studio – Studio Kaan Mixing & Mastering Engineer
Debojit Sengupta

চুরি যায় বেদুঈনের রোজ চোরাবালি
বাসে আমি একা বসে পাশের সিটটা খালি
নোনা পুকুর ট্রাম ডিপো, নোনা ধরা তার দেয়াল Read More

রঙিন ছায়া

রঙিন ছায়া

ছায়ারা কখনও রঙিন হয় না, রঙিন হলে সেটা ছায়া হয়না। হয়তো অন্য কোথাও ছায়ারা রঙিন। রহস্যে ঘেরা সোনার শহর এল-ডোরেডো কিংবা মরুভূমির ইরাম নগরীতে হয়তো ছায়ারা কালারফুল। তাই এই জায়গাগুলো কখনও খুজে পাওয়া যায় না। যারা এল-ডোরাডো খুজতে গিয়ে কখনো ফিরে আসেনি তারা কি আসলেই খুজে পেয়েছিলো সেই শহর? অ্যামাজনদের বিখ্যাত ফাউন্টেন অফ ইউথ এর  লোভে পড়ে আর হয়তো ফিরে আসেনি তারা।  স্যাটেলাইটের যুগে সহজেই বলে দেয়া যায়, পৃথিবীর কোথায় কি আছে , কি নেই। তাই এহন এখানে আর এক্সপ্লোরিং সম্ভব না। এক্সপ্লোরিং হবে স্পেসে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে ।  ভর হিসাব হবে, নিউট্রন স্টারের আর ব্লাক হোলের। এল-ডোরাডো আর ইরাম নগরীর বর্ণনা খুজতে হবে উপকথায়। হয়তো আমাদের চোখের কোনায় লুকিয়ে আছে জায়গা গুলো। প্রাচীন কালে যারা এই সমস্ত জায়গার কথা বলে গেছে তাদের কি শুধুই গাজার হ্যলুসিনেশন ছিলো ? বাকি সত্যি দর্শন করেছিলো ? কে জানে। জানতে ইচ্ছা করে। স্পেসে হারাইতে চাই না। উচ্চতাকে যে বড় ভয় আমার। সেটা স্পেসশীপ থেকে হোক, কিংবা এরোপ্লেনে। হাসান রাজা বলছিলে ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপরে’ । দেখতে হলে চোখ বন্ধ করতে হবে। কত আজীব ব্যাপার। Read More

Ghure-Takao-ঘুরে-তাকাও-Shah-Jahan-Regency-Abir-Rittika-Anupam-Roy-Srijit-Mukherji-SVF

কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি | Aloy Phera Hoyni Badsha | Debojyoti Mishra | Brishti Tomakey Dilam

কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি
কতদিন ডাকিনি তোমায় ডাক নামে
ঘুমের গভীরে বয়ে চলা নির্জনতা আজ
দেখা হয়নি তোমার সাথে।
রং পেনসিল আর বৃষ্টির গুঁড়ো
আঁকেনি তোমার মুখ
কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি।

দু’চোখ ভিজিয়ে আর জাগে নি শহর
ঘুমের কোণেতে মাথা রেখে
আলোর ছায়ারা মেঘ হয়ে জানালায়
ঘষা কাঁচে যায় জন্মের দাগ রেখে
কতদিন আলোয় ফেরা হয়নি। Read More

পারছি তো খুব – অনুপম রায়

তোমার বুকে বার বার মরে,
বাঁচার জন্য লড়ছি
কোন সে পাপের পাহাড় বুকে,
কিসের দায়ে গড়ছি
বাঁচাটাই তো মুখ্য তবে,
নেই মরণের মূল্য
প্রশ্নটাই করেই গেলাম,
মন টানা মুখ খুললো ।

চোখ মুছে যাই, জল না তো পাই
দৃষ্টি যেন কাঁদে ।
একজীবনে এতবার মরা,
একটু বাঁচার সাধে । Read More

.png

বাল ও কিছু কথা

প্রত্যেক ভাষাতেই কিছু এক্সট্রিম স্ট্রেস রিলিফ ওয়ার্ড থাকে। সেই শব্দগুলো তীব্র হতাশার কিনবা বিরক্তির মুখ দিয়ে স্বত:স্ফূর্ত ভাবে বের হয়ে আসে। খুব আশ্চর্যজনক ভাবে সেই শব্দ উচ্চারণ করা মাত্রই স্ট্রেস কিংবা বিরক্তির লেভেল আপনা-আপনি অনেকাংশে কমে যায়। ইংরেজিতে এমন একটি শব্দ আছে শিট (Shit)। আমরা অনেক সময়েই শিট বলে ফেলি । আমাদের বাংলা ভাষাতেও এই রকম কিছু শব্দ আছে। কিন্তু একটা এমন শব্দ আছে যেটাকে কিনা আমি বলবো একটা মিরাকল ওয়ার্ড। এই শব্দতার ক্ষমতা অবিশ্বাস্যজনক ভাবেই অনেক বেশি। প্রচণ্ড ট্রাফিক জ্যাম, স্লো ইন্টারনেট, হ্যাং হওয়া মোবাইল কিংবা ল্যাপটপের উপর বিরক্ত হয়ে ,  একটা ওয়ার্ড ই আমাদের মুখ থেকে বের হয়ে আসে, হা ঠিক ধরেছেন – ‘বাল’। ঘটনা যতই দুর্ভাগ্যজনক কিংবা হতাশাজনক হোকনা কেন, সিমপ্লি এই ‘বাল’ উচ্চারণ করার সাথে সাথে দেখবেন ভালো অনুভব করছেন। অদ্ভুত এক অলৌকিক শক্তি যেন আছে এই শব্দের ভিতরে। আমার মনে হয় না পৃথিবীর আর কোন ভাষায় এমন কোন শব্দ রয়েছে। ইংরেজিতে যতই  ‘Holy cow’, ‘Shit’ কিংবা ‘Fuck’  বলুন না কেন বাংলা ‘বাল’ এর সমকক্ষ কিছুই নাই। আমার মাঝে মাঝে অনেক অহংকার হয় যে আমাদের ভাষায় এমন একটি শক্তিশালী শব্দের উপস্থিতি রয়েছে। মানসিক অবস্থার উপর এই শব্দের প্রভাব অপরিসীম। তীব্র ট্রাফিক জ্যমের ঢাকা শহর অথবা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যখন ভয়ঙ্কর হতাশার কারন হয় তখন নিজের অজান্তেই মুখ চিরে বেড়িয়ে আসা ‘বাল’ শব্দটা আমাদের পরস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে বেশ সাহায্য করে। বালের দেশ, বালের জীবন , বালের জ্যাম, বালের ঢাকা এই সমস্ত শব্দ এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী।  তাই আমাদের দেশে জীবনের সংজ্ঞাটা একটু ভিন্ন। নচিকেতার ভষায় একটু পরিবর্তন করে বলতে হয় :

প্রতিদিন ঘরে ফিরে , অনেক হিসেব করে
এই বালের জীবন চাইনা তা বলাই জীবন