হেরে যাওয়ার মানসিকতার মাঝে এক অন্যরকম মানসিক শান্তি আছে। ল্যাবেটরি এর মত ভালো স্কুলে পড়ছি কিন্তু সেখানে ভর্তি পরীক্ষা দেই নাই। হেডমাস্টার স্যার বাপের বন্ধু হবার সুবাদে সরাসরি ক্লাসরুমে এন্ট্রি পাই। স্কুলে থাকতে ক্লাসের সব চেয়ে খারাপ ছাত্র এর মধ্যে আমি ছিলাম। ৭০/৮০ ঘরে রোল নাম্বার। না স্যারেরা জীবনে পাত্তা দিসে না আমার থেকে কেউ ভালো রেজাল্ট আশা করছে। পাশ মার্ক পাইলেই খুশি থাকা আমি বুঝে গিয়েছিলাম রেস, কম্পিটিশন আমার জন্য না। আমার সাথের / ব্যাচের বেশির ভাগ ক্যারিয়ারে আমার থেকে যোজন যোজন দূরে আগায় গেছে। Read More
Author: Imrul
বাবা
বছর পাচ আগের কাহিনী। বাবা দিবসের কিছুদিন আগে। ২০২০ সালের করোনার পিক টাইমে বাবা হাসপাতালে ভর্তি। শুধু আমি আর বাবা। করোনার ভয়ে ডাক্তার, নার্স, বয় কেউ ই রোগীর কাছে ঠিক মত ঘেষতে চায় না। সারা রাত ঘুম হয় নাই। সকালে ডাক্তার ব্লাড রিপোর্ট দেখে বললেন ইমারজেন্সি ব্লাড দিতে হবে। হিমোগ্লোবিন লেভেল ৬ এর নিচে। করোনার মধ্যে ব্লাড ডোনার জোগার করা বেশ ঝামেলার। তাও এদিক সেদিক কল দিচ্ছি। কোন মতে একজন ডোনার পাওয়া গেলো। দুপুরে আসবে কথা দিলো। এইদিকে নার্স এসে বললো বাবার ভেইন পাওয়া যাচ্ছে না। হার্টে নাকি ডিরেক্ট ব্লাড পুশ করা লাগবে। সেটার জন্য যেই সেটাপ দরকার সেটা ধানমন্ডি এলাকায় পাওয়া যায় না। মিডফোর্ট হাসপাতালের আসে পাশের এলাকায় পাওয়া যায়। বাবাকে নাস্তা করায় রওনা দিলাম। Read More

ফ্রেডরিক ফোরসাইথ

আমি

Mennist
আনভীর স্যারের রক্ষিতা, কম বয়েসি গার্লফ্রেন্ড থাকার পরও তার বৌ তারে ছাইড়া যায় না। কারন বিশাল সম্পত্তি, টাকা আর ক্ষমতা। যেই দুই জন আপু ইভ টিজিংয়ের (!) স্বীকার হয়ে ছেলে বন্ধুদের ডেকে পারভেজ কে শিক্ষা দিতে মেরেই ফেললেন, বিশ্বাস করেন অই দুই আপুর কিছুই হবেনা। নয়ন বন্ডের গার্লফ্রেন্ড মিন্নি র ফাসির আদেশ হইছে। জীবনেও ফাসি হবে না। মহিলা মানুষের ফাসি হয় না। এরা পৃথিবীতে আসে কিছু এক্সট্রা প্রিভিলিজেস নিয়ে। দেশের আইনের নামটাই দেখেন, নারী ও শিশু নির্যাতন আইন! নারী আর শিশু কিভাবে এক হয়? দুনিয়ার সব চেয়ে কম্পলেক্স মেকানিজম মহিলা মানুষের। শিশুর কাতারে কিভাবে পরে?
নারী ও পুরুষের সমঅধিকার এর বুলি শুধু খুজে পাওয়া যাবে এসি অফিসের ডেস্কজবে। আইন নারীর জন্য আলাদা। বিয়ের প্রমিস করে খে*য়ে ছেড়ে দেয়া নারীরা মামলা করতে পারে। কিন্তু বছরের পর বছর প্রেম করে আমেরিকা প্রবাসী পাত্রের জন্য প্রেমিক ছেড়ে যাওয়ার পর বেচারা প্রেমিক এর জন্য কিন্তু কোন আইন নাই।
যে অপরাধে পুরুষের ফাসি হয়, সেইম অপরাধে নারীর কখনোই ফাসি হবেনা। যখন কেউ নারী অধিকার নিয়ে কথা বলবেন, এই বিষয় গুলাও জুড়ে দেবেন হ্যাডম থাকলে।
আমাকে এখন কেউ Misogynist বললে একটুও খারাপ লাগে না। কিন্তু আমার কাছে প্রিয় শব্দ Mennist (Anti-Feminist). যদিও শব্দ টা এই অর্থে অভিধানে পাওয়া যাবেনা।

Kishkindha Kaandam (2024) – স্লো বার্নিং ইমশোনাল মিস্ট্রি থ্রিলার
স্লো বার্নিং ইমশোনাল মিস্ট্রি থ্রিলার Genre তে জাপানিজ সিনেমা আর মালায়লাম মুভি গুলার আসলেই কোন জুড়ি নাই। Kishkindha Kaandam (2024) শেষ করার পর মনে হচ্ছে একটা অদ্ভুত বিষন্ন উপন্যাস পড়লাম। এক কগনিটিভ ইম্পেয়ারমেন্ট পেশেন্ট যে কিনা তার ভুলে যাওয়া আর বদমেজাজের সমস্যার জন্য আর্মি থেকে চাকুরিচ্যুত হয়। তার একটা লাইসেন্সড পিস্তল হারিয়ে যাওয়া, রহস্যময় চলাফেরা সন্ধেহের সৃষ্টি করে তার পুত্রবধূর মনে। বানর অধ্যুষিত রিজার্ভ ফরেস্টের কাছে ছোট্ট একটা জনপদে পূত্রবধুটি নিজের মত অনুসন্ধান শুরু করে। Read More

সেথান ভ্যালি – মানলির গভীরে প্রায় অনাবিষ্কৃত এক টুকরো রত্ন
শেষ রোজার ইদ থেকেই ভারত যাওয়ার প্ল্যানিং করতেছিলাম আমি আর আমার বয়েসে জুনিয়র কিন্তু অফিসে সিনিয়র কলিগ সাদু (সাদমান) এর সাথে। কিন্তু কুত্তামারা প্রেশার আর সঠিক সময়ে ভিসা না পাওয়ায় ট্যুর পেছাতে পেছাতে কুরবানির ইদ চলে আসলো। এবার আর মিস দেয়া যাবেনা। রবিবার ইদ হওয়ায় কোন মতে বৃহস্পতিবার থেকে ছুটি ম্যানেজ করলাম। টার্গেট কোলকাতা হয়ে দিল্লি, আর দিল্লি থেকে মানালি। Read More

প্রিয় ঢাকা
মানুষ সাধারণত প্রকৃতির প্রেমে পড়ে। পাহাড়ের নিরবতা, সমুদ্রের গর্জন, নির্জন বনে একটা কেবিন, রাতের আকাশের নর্দান লাইটস, আরো কত কি! অনেকেই আবার বড় বড় শহরের প্রেমে পড়ে। পৃথিবীর সব চেয়ে রোম্যান্টিক শহর প্যারিস, নিউ ইয়র্কের রাত কিংবা দুবাইতে নাইট ক্লাবে আলো ঝলমলে একেকটা রাত আসলেই শহরগুলোকে ভালবাসতে শেখায়। কিন্তু একটা ঘিঞ্জি , ময়লা , দূষিত শহরকেও যে ভালোবাসা যায় সেটা আমাকে শিখিয়ে ছিলো অঞ্জন দত্ত আর কবির সুমন। স্যাঁতস্যাঁতে লোনা ধরা বাড়ির দেয়াল, কানাগলি , মাঝে মাঝেই ডাস্টবিন থেকে আসা উৎকট দূর্গন্ধ সব কিছু মেনে নিয়েও কি সুন্দর ভালোবেসে ফেলেছি ঢাকাকে। Read More

তুমি থাকলে না
তাকে বলেছিলাম থেকে যেতে
বলেছিলাম তুমি থাকলে আমি সব ঠিক করে দেবো
এই ধূসর রুক্ষ শহরে আবার নিয়ম করে বৃষ্টি নামাবো
প্রতিটি ঘরের কার্নিশে বাসা বাধবে চুড়ই
সেবারের কালবৈশাখীতে যত বাবুই বাসা হারিয়েছে
সবার বাসা সরকারি খরচে
মেরামত করে দিতে পার্লামেন্টে বিল পাস হবে
রমনা পার্কের সব চেয়ে বড় গাছটায়
একটা ছোট্ট পরিপাটি একটা ট্রিহাউজ থাকবে আমাদের
যেখানে তুমি আর আমি শীতের বিকেলে কফি খাবো
তোমার জন্মদিনের দিন পুরো শহরে
কোন অনাথ অভুক্ত থাকবেনা
যেদিন তোমার মন খুব বেশি খারাপ হবে
দুপুরে হাত ধরে হাটতে হাটতে
মাহীনের ঘোড়াগুলির গান শুনবো
তোমার মন ভালো করতে মরিচ বাতি দিয়ে
ছেয়ে দিবো পুরো মানিক মিয়া এভিনিউ
আমি জানি তোমার পাহাড় অনেক পছন্দের
তাই তোমার বাড়ির সামনের রাস্তায়
থাকতো রডোডেন্ড্রন ফুলের গালিচা
শহরের যেই রাস্তাতেই যেতে তুমি
কানে তালা লাগা দুঃসহ গাড়ির হর্নের
বদলে শুনতে তুমি পাহাড়ি ঝর্ণার কলকল শব্দ
তুমি একা থাকতে চাইলে
পুরো শহরে কারফিউ জারি হতো
শুধু একটা রিকশা তোমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো
কিন্তু তুমি থাকলে না
থাকলো শুধু এক আকাশ কষ্ট
আর এক সাগর যন্ত্রণা …