২ টাকা দামের একটা Center Fresh গাম, ১৯৯৮ এর দিকে। একটা কিনলে ছোট সাইজ কার্ড দিতো। ক্রিকেটারদের ছবি সম্বলিত। দোকানদার কার্ড এর পুরোটা বান্ডেল আমার হাতে দিয়ে দিতো। কোনটা নিবো কষ্ট হতো বেছে নিতে। সাথে আম্মার ঝাড়ি “তারাতারি করো” । নিয়ে নিতাম। মনে মনে ঠিক করা ছিল যখন বড় হবো, টাকা আয় করবো তখন সব গুলা কিনবো একসাথে। দেখে নিবো কে কি বলে। স্বপ্ন দেখতাম ইচ্ছা মতন জেমস চকলেট কিনতেছি । সুপার মারিও খেলতেছি। আমার টিভি গেম ছিলনা। মানুষের বাসায় গিয়ে খেলতাম। ওইটাও বাইং লিস্টে ছিল। এস.এস.সি. ৫ পাওয়ার খুশিতে আব্বা একটা ডিভিডি প্লেয়ার কিনে দিয়েছিল। টাকা জমায় DVD কিনতাম। ফ্যান্টাসি ছিলো DVD এর আর্কাইভ থাকবে আমার একদিন। কি অদ্ভুদ, এখন যা কামাই তার অর্ধেক চলে যায় গাজা/সিগারেট আর স্ট্যাটাস maintain এর পিছে। কলেজ পাস করার পর একটা নতুন নেশা Internet। এক সময় বন্ধুরা বলতো মাছ যতক্ষণ থাকতে পারে আমি Internet ছাড়া ঠিক ততোক্ষণ ও থাকতে পারবোনা। আসলেও তাই ছিল। সারা দিন চ্যাট করতাম। ডায়াল-আপ Internet দিয়ে শুরু করেছিলাম। অসাধারণ ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হতো। কোনও কোন সময় ৩০/৩৫ বার ডায়াল করার পর লাইন পেতাম। এখন হাজারটা কাজ থাকে নেটে। কিচ্ছু করতে ইচ্ছা করে না। কিচ্ছুনা, ২ ঘণ্টার কাজ ২ দিন লাগাই। মনের ভেতর প্রচন্ড অস্থির লাগে।
একজন আমাকে বয়ান দিলো এইভাবে সিগারেট খাইয়ো না। হারাম জিনিস। সোজা দোজখে যাবা। উনার মুখের দিকে তাকায় হাসি দিলাম। খুব বলতে ইচ্ছা করছিলো আপু আমি এখন কই আছি ?