লোডশেডিং কি মিস করার জিনিস ? হারিকেন কিংবা মোমের আলো এক প্রকার হারিয়ে গেছে। সাথে করে নিয়ে গেছে সম্ভবত সুখগুলোকেও। মোমের আলোতে পড়ার সময় নিজের হাতে দুই-এক ফোঁটা হাতে ফেলতাম। নিজেরে অনেক বড় মর্দ মনে হইতো। হাতপাখা তো এখন আর কোথাও দেখিনা শুধু কমিশনার প্রার্থীদের মার্কা ছাড়া। শুধুমাত্র বাসার টেলিভিশনটাই সাদাকালো ছিলো। বাকি সব কিছুই রঙ্গিন। ক্লাস নাইনে ওঠার আগেই জুল্ভার্ন আর শার্লক হোমস যখন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কখনো ওয়াটসন আবার কখনো ক্যাপ্টেন নিমো হয়ে কল্পনার ঘোড়াটা ছুটটো। শুক্রবার রাতের বেলা লুকিয়ে এক্স-ফাইলস দেখার সময় কখনো কখনো ফক্স মুল্ডার হতে চাইলেও ভূতের ভয়ে কল্পনাটা বেশি দূর আগাইতো না। বছরের প্রথম দিনে স্কুলে বাটার নতুন কেডস আর ব্যাগ কাঁধে ক্লাসে বসে নতুন বই পাওয়ার জন্য কি যে অপেক্ষা। বাংলা বইটা শেষ করতে সাত দিনের বেশি লাগতোনা কখনোই। বাকিগুলা বছর শেষেও শেষ হইতো না। স্কুলের গেটের বাইরে আচার, হজমি কিংবা সিঙ্গারা। স্কুলের পর সেই কলেজ। ক্লাস ফাকি দিয়ে পুকুড়পাড়ে বসে থাকা কিংবা নিউ মার্কেটে অযথাই ঘুরা। জীবনে খুব জিনিসের হিসাবই মিলতো। ফিজিক্স কিংবা কেমিস্ট্রি ল্যাবে কখনোই কোন এক্সপেরিমেন্ট মিলতো না। তখনো ঘটনাটা পুরা ধরতে পারি নাই। এখন পারি। আমার কিছুই মিলবেনা। কোন হিসাবই না। খুব যন্ত্রনায় চিন্তা করি যদি হাতে কি-বোর্ড, মাউস, স্মার্টফোন না থেকে টেপ-টেনিস বল আর Econo-DX কলম থাকতো। মাথা ভর্তি Anxiety না থেকে ক্যাপ্টেন নিমো হওয়ার ফ্যান্টাসি থাকতো।