কোন এক পাহাড়ি রাস্তার বাঁকে ছোট একটা দোকান। চা, সিগারেট আর পানের সাথে ট্যুরিস্টদের জন্য ইন্সট্যান্ট নুডুলস। সারা দিন বেচা বিক্রি শেষে দোকান বন্ধ করে একটা সিগারেট ধরায় বাসায় ফেরা। হয়তো সেখানে কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করছেনা। তবুও আমি স্বপ্ন দেখি সেই নিস্তব্ধতার। ছোট একটা কাঠের ঘর ধোঁয়ায় ভর্তি। বাইরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। সকালে ঘুম ভাঙতেই পাহাড়ের রডোডেনড্রন ফুলের উপড়ে শিশির বিন্দুর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে অনেকটা সময় চলে যাবে। তারপর আবার গিয়ে দোকান খোলা। দোকানটা বেশ নিরিবিলি জায়গায় হবে। খুব বেশি ট্যুরিস্ট আসবেনা। যারাই আসবে অনেক কথা বলবো তাদের সাথে। তারপর আবার বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা। আমার আবার বাড়ি ফেরা। লোকাল বিড়ি টানতে টানতে। তোমাদের বিল গেটস কিংবা ওয়ারেন বাফেট হওয়ার স্বপ্ন তোমাদের কাছেই থাক। তোমাদের মোটিভেশনাল স্পিকাররা বেচুক সেসব স্বপ্ন। আমি কারো বেচা স্বপ্ন কিনতে চাই না। তোমাদের মতন বড় ও হইতে চাইনা।
হয়তো পাহাড় নয় কোন শান্ত বিচে একটা ছোট্ট জুসের দোকান। দিনের কিছুটা সময় জুস বিক্রি করবো। তারপর নিজের জন্য থাকবে বাকিটা সময়। হাল মডেলের অডি কিংবা ল্যাম্বরগিনি তো কখোনই আমাকে টানেনি। কিন্তু সমুদ্রের পাড়ে থাকলে নিজের জন্য একটা নৌকা আমার চাইই চাই। খুব ছোট ডিঙ্গি নৌকা না। একটু বড় নৌকা। মনের মত করে সাজাবো নৌকাটাকে। শান্ত রাত গুলোয় নৌকায় চড়ে সমুদ্রে ঘুরে বেড়াবো। চেষ্টা করবো মাছ ধড়াটাও শিখে নিতে। স্যালমন কিংবা কোরাল ধরবো। পারবো না জানি। তাও যদি পারি। পকেটে থাকবেনা কোন স্মার্টফোন। গুগোল ম্যাপ না, তারা দেখে রাস্তা চিনবো। তারা দেখে রাস্তা চেনা শিখে নিবো। ওয়ালেটে থাকবেনা বূর্জোয়াদের দেয়া কোণ ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড। গলা আমার যতই বেসুরো হোক না কেন গান তো গাবোই।
কবিতাও লিখবো। ডাইয়েরিতে, ব্লগে না। কেউ দেখবেনা, পড়বেনা। না দেখুক। না পড়ুক।