ছায়ারা কখনও রঙিন হয় না, রঙিন হলে সেটা ছায়া হয়না। হয়তো অন্য কোথাও ছায়ারা রঙিন। রহস্যে ঘেরা সোনার শহর এল-ডোরেডো কিংবা মরুভূমির ইরাম নগরীতে হয়তো ছায়ারা কালারফুল। তাই এই জায়গাগুলো কখনও খুজে পাওয়া যায় না। যারা এল-ডোরাডো খুজতে গিয়ে কখনো ফিরে আসেনি তারা কি আসলেই খুজে পেয়েছিলো সেই শহর? অ্যামাজনদের বিখ্যাত ফাউন্টেন অফ ইউথ এর লোভে পড়ে আর হয়তো ফিরে আসেনি তারা। স্যাটেলাইটের যুগে সহজেই বলে দেয়া যায়, পৃথিবীর কোথায় কি আছে , কি নেই। তাই এহন এখানে আর এক্সপ্লোরিং সম্ভব না। এক্সপ্লোরিং হবে স্পেসে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে । ভর হিসাব হবে, নিউট্রন স্টারের আর ব্লাক হোলের। এল-ডোরাডো আর ইরাম নগরীর বর্ণনা খুজতে হবে উপকথায়। হয়তো আমাদের চোখের কোনায় লুকিয়ে আছে জায়গা গুলো। প্রাচীন কালে যারা এই সমস্ত জায়গার কথা বলে গেছে তাদের কি শুধুই গাজার হ্যলুসিনেশন ছিলো ? বাকি সত্যি দর্শন করেছিলো ? কে জানে। জানতে ইচ্ছা করে। স্পেসে হারাইতে চাই না। উচ্চতাকে যে বড় ভয় আমার। সেটা স্পেসশীপ থেকে হোক, কিংবা এরোপ্লেনে। হাসান রাজা বলছিলে ‘আঁখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপরে’ । দেখতে হলে চোখ বন্ধ করতে হবে। কত আজীব ব্যাপার। আমি তো চোখ বন্ধ করলেই পাহাড় আর জঙ্গলে যাই। মার্কো-পোলো সাহেব সম্ভবত চোখ বুজিয়াই ওসব দেখেছিলেন। রঙিন ছায়ার খোজে আমার কখোনো বের হতে দিবে না আমার কঠিন মধ্যবিত্ত বাস্তবতা। এখানে কষ্ট, কল্পনা, ফ্যান্টাসি সযত্নে পুষে রাখতে হয়। কুকুর, বিড়াল কিংবা হ্যামস্টার না কষ্টই সম্ভবত মধ্যবিত্তের সব চেয়ে প্রিয় পোষা প্রানী। কষ্টের খাবার হলো নিকোটিন। কষ্ট গুলোর সু-সাস্থ্যের বিপরীতে কমতে থাকে সিগারেট খাওয়া শরীরের আয়ু। কমুক, বেঁচে থাকাই যখন যন্ত্রনার কারন তখন কেন মৃত্যুকে ভয়!!!