সেইসব রাত্রির কথা মনে পড়ে
হিমাঙ্কের নিচে থাকতো তাপমাত্রা
প্রেমিক হতে গিয়ে খরচ করে ফেলা আমার সব উষ্ণতা
এই দরজা সেই দরজায় কড়া নেড়ে
শেষে কাচুমাচু হয়ে বরফের উপর শুয়ে
নর্দান লাইটস দেখতে দেখতে সব ভুলে থাকা
আমার সত্যি আর প্রেমিক হতে ইচ্ছা করে না …
যখন অণুচক্রিকার অভাবে বুকের ভেতর রক্ত ক্ষরণ বন্ধ হয়না
আর ভেজা চোখে জন্মের শ্রাবণ
যেন ফেরারী কোন আসামির মতন ঘর ছাড়া , ছন্নছাড়া
সীমান্ত পার হতে গিয়ে রক্ষীর গুলিতে আহত
জঙ্গলে দুচোখে শূন্যতা নিয়ে পড়ে ছিলাম মৃত্যুর অপেক্ষায়
হয়ত যমেরও হয়তো অরুচি ধরেছিলো
আমার মতন ব্যর্থ প্রেমিকের উপরে , তাই
আমার সত্যি আর প্রেমিক হতে ইচ্ছা করে না
এখন আমি তীব্র ঘুটঘুটে অন্ধকারে তড়পাই
কয়েক বিন্দু জোনাকির আলোর জন্য
প্রচণ্ড দূষণে জোনাকিরা এইদিকে আসে না এখন
চাঁদের আলো কবেই হারিয়ে গেছে দুঃখের সূর্যগ্রহনে
শশ্মানে বসে সুখের বাঁশির সুর কেবল শুনে যাওয়া
কখনো পাওয়া হলো না সেই বাঁশির নাগাল ……