অনেককেই অনেক কিছু বলা হয়নি। সব কিছু সবাইকে কে বলার মানে হয় না। তবু মনে হয় সময়মতো অনেকেই অনেক কিছু বলা হয়তো বলা উচিত ছিলো। একটা সময় বাচালের মতন অনর্গল কথা বলে যেতাম। সম্বভত মনে অনেক সুখ থাকলে মানুষ অনেক কথা বলতে পারে। সুখ আর দুঃখের মধ্যে সব চেয়ে বড় তফাৎ হোল আমরা বুঝিনা যখন সুখে থাকি। কিন্তু দুঃখ গুলোকে খুব সহজেই আলাদা করে ফেলা যায়। যতই বড় হোক না কেন তোমার বন্ধু মহল , যতই তোমার স্ত্রী তোমাকে ভালবাসুক তুমি একা। সূর্যাস্তের সময় তুমি এটা অবশ্যই অনুভব করবে যদি কখনো মনযোগ দিয়ে সূর্যাস্ত দেখে থাকো। নদী তীরে কিংবা সৈকতে অথবা কোন উঁচু বাড়ির ছাদে। তুমি বুঝবে তুমি একা। মহান সৃষ্টিকর্তার মতই তুমি একা। তুমি একা মহাসড়কের মত। তুমি নিঃসঙ্গ সেই মাঠটার মতন , যেই মাঠটা পড়ে থাকে সন্ধ্যায় ছেলেরা খেলে চলে যাওয়ার পর। কিন্তু নিঃসঙ্গতাকে ভালোবাসতে হয়না। কিন্তু যদি ভালোবেসে ফেলো তোমার আর কোন ফেরার পথ থাকবেনা। তোমাকে ফিরতে দিবেনা নিঃসঙ্গতা। রেখে দিবে তার সাথে। ট্রয় যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে ওডিসিয়াস কে যেভাবে ক্যালিপ্সো রেখে দিয়েছিলো নির্জন দ্বীপে । সেভাবেই তোমাকে বেঁধে ফেলবে নিঃসঙ্গতা। ক্যান্সারের মতন ছড়িয়ে পড়বে পুরো মনে। কোন কেমোথেরাপি কাজ দিবে না তখন আর। শুধু তাকেই ভালোবাসতে হবে তখন। নিঃসঙ্গতা ঈর্ষাকাতর স্ত্রীর মতন। অন্য কারো সাথে তোমাকে সে পছন্দ করে না। তোমার পাখা থাকবে তখন কিন্তু তুমি হবে ঈগলের মতন। দলবেধে উড়ে বেড়ানো গাঙচিল না। অনেক উপর দিয়ে উড়বে তুমি। সবার থেকে দূরে। অন্য কাউকে ভালবাসতে চাইলেও পারবেনা। নিজেকেও না। ভালবাসতে হবে শুধু নিঃসঙ্গতাকে। নিঃসঙ্গতাও তোমাকে ভালোবাসবে। জীবনে হয়তো প্রথমবার সত্যিকারের ভালোবাসার স্বাদ পাবে তুমি। হেলা করো না তাকে। তাকে হেলা করা যায় না।