আমার জন্মটা যদি পাহাড়ে হত? শহরের কনক্রিটের বস্তির বদলে পাহাড়ি কোন বস্তিতে বেড়ে উঠতাম। সকালে রাস্তায় নেমে জঘন্য গাড়ির হর্নের শব্দের বদলে পাখির কিচিরমিচর। ছেড়া প্যান্টের পকেটে পাহাড়ি ফল। রাতের বেলা কোন আলো দুষন নাই। শান্ত চোখে আকাশ দেখা। চাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা অনেক সাধারন। হয়তো আ্যম্বিশন গুলাও অনেক ছোট থাকতো। ক্যাপিটালিস্টিক সোসাইটিতে সারাক্ষণই বড় হবার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। প্রতিটা বিজ্ঞাপনের পিছনে থাকে কোন না কোন প্রডাক্ট বেচার ধান্দা। ওরা যাকে আশা বলে সেটা আসলে মরীচিকা। মরীচিকার পিছনে ছুটে চলতে চলতেই একদিন সব শেষ। আমি চাই না কোন মরীচিকার পিছনে ছুটতে। পাহাড়ে ছুটতে চাই, ছুটতে চাই বনে বাদারে কিংবা সাগরের তীরে। রাতে চোখ ঝলসানো দেখতে চাই না। অনেক কষ্ট হয় চোখে শহরের তীব্র আলোকসজ্জা দেখতে। লেটেস্ট মডেলের মার্সিডিজের চলা কোন বড় কোম্পানির CEO হওয়ার স্বপ্ন দেখিনা। পাহাড়ের উপর বিচ্ছিন্ন একটা কটেজ। সকালে করা এক কাপ চায়ের সাথে একটা সিগারেট। খালি পায়ের নিচে কুয়াশায় ভিজা ঘাস। দূরের কোন পাহাড়ে সজ্জিত চা বাগান। কোন দিন বৃষ্টি ঝরাবে মমতা ভরা মেঘের দল। শহরের ডিজিটাল বস্তিতে আস্তে আস্তে দম শেষ হয়ে যাচ্ছে। নিকোটিনে ভরা ফুসফুসে খুব বেশি শ্বাস বাকি আছে বলে মনে হয় না। জীবনের প্রতিটা জায়গা তেই চরম ভাবে ব্যর্থ আমি। পড়াশোনা থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার, কিংবা ভালোবাসায়। জীবনে চাওয়ার লিস্ট টাও
অনেক ছোট হয়ে এসছে। এখন শুধু এই শহরের জেলখানা থেকে মুক্তির অপেক্ষা। ধৈর্য ধরি আর মুখে আওড়াই মুক্তি মিলবে মুক্তি মিলবে ……
আনন্দ আর নেই যে এখানে
শুধু মুখের হাসি সাজিয়ে রেখে
লাভ কি সেখানে !!