মাল্টি ন্যাশনাল কোন কোম্পানিতে জব, কিংবা বিজনেস টাইকুন হওয়ার স্বপ্ন কোনটাই ছিলোনা কখনও আমার। অতি অল্প তে সন্তুষ্ট হওয়ার গুণটি আমার আব্বাজানের কাছে থেকে পাওয়া। দেশের বাইরে চলে যাওয়ার কোন ইচ্ছাও নেই। কিন্তু এই সিমেন্টের জঙ্গলে গাড়ির হর্ন শুনতে শুনতে আজ আমি ক্লান্ত। খুব ইচ্ছা ছিল চা বাগানে ম্যানেজার এর জব করবো। স্ট্রেস ছাড়া একটা লাইফ। অথবা সী-বিচে একটা ছোট্ট একটা জুসবার। যতদূর চোখ যাবে নীল সমুদ্র অথবা চা বাগানে রাতের ঝি ঝি পোকার ডাক। বিকেল বেলা নদীর তীরে হাটতে যাওয়া। হাজারটা ওয়াইফাই সিগন্যাল এর মাঝে চোখ বুজলেই আমি চলে যাই পাহাড়ে। অনেক মাইল দূর থেকে আমি সমুদ্রের গন্ধ পাই। চোখটা খুললেই আবার আমার সামনে সেই কম্পিউটারের মনিটর কিংবা হাতে একটা স্মার্টফোন। আজ আমি চাইলেই পাহাড়ে চলে যেতে পারিনা। আজ আমি চাইলেও সমুদ্র সৈকতে খুলতে পারিনা একটা জুসবার। আমার হাত পা যে শিকলে আটকা। দামি দামি গেজেটস আর এখন আমাকে টানে না। ছোট বেলায় পড়া হেনরি রাইডার এর অ্যাডভেঞ্চার গল্প গুলো পাগলের মতন ডাকে আমাকে। পাগলের মতন মনে হয় তখন। সারা রাত আকাশে তারা গোনার কোন জব পাওয়া যায় কি? জানি যায় না। আমি ঠিকই মনে মনে চোখ বুজে তারা গুনি। কিন্তু একটু পরেই জীবন্ত লাশ হয়ে আবার ফিরে আসতে হয় আমার দুর্গন্ধময় বাস্তবতার জগতে। একদিন এই শহর টা একটা মেগাসিটি হবে। সব কিছুই বড় বড় হয়ে যাবে। শুধু ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশার খবরগুলো কেউ রাখবেনা।
কবে যাবো পাহাড়ে … আহারে ………………