campfire

অ্যাম্বিশন

Spread the love

“অ্যাম্বিশন” শব্দটা আমি কোন ইংরেজি বই থেকে শিখার আগেই শিখেছিলাম নচিকেতার একটা গানে। স্কুলের “Aim In Life” রচনায় যখন ডাক্তার আর  ইঞ্জিনিয়ার হবার মুখস্ত প্রক্রিয়া ফাটিয়ে লিখছি তখন নচিকেতার মুখে শুনছি আমি ভবঘুরেই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন/ আমি কোন বাউল হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন / তবু আমি বোকাই হব, এটাই আমার অ্যাম্বিশন। সম্ভবত তখনই অ্যাম্বিশনের ভুল(!) অর্থটা মাথায় গেথে গিয়েছিল। যত বড় হয়েছি শিখানো হলো কিভাবে সাকসেসফুল হওয়া যাবে জীবনে। বিল গেটস থেকে শুরু করে স্টিভস জবস এর জীবনী। কিংবা মুরগীভাজা বেচা কান্টোকি সাহেবের জীবনী। কিভাবে ৫০ এর পরেও জীবনে সফল হয়েছিলেন। জীবনের প্রকৃত মানে যেন বড় কোন ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হওয়া অথবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো কোন পোস্ট। কিন্ত অবচেতন মন যেন কোনভাবেই মেনে নিতে পারতো না। ওয়ারেন বাফেটের জীবনী আমাকে যতটা না আকৃষ্ট করে তার চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে আমি পড়েছি লিভিংস্টোন সাহেবের স্টোরি। বার বার মনে হয়েছে ইসস আফ্রিকার কোন জায়গা যদি এখনো আনএক্সপ্লোরড থাকতো! অথবা এল-ডোরাডো শহরের খোজে যদি বেড়িয়ে পড়া যেত। তুমি যখন মার্সিডিজ হাকিয়ে আকাশ ছোঁয়া কোন ভবনে অফিস করবে তখন না হয় আমি আমাজনের জঙ্গলে পথ হারিয়ে ঘুরছি। প্রচণ্ড ভয় লাগে আমার যখন আমি চিন্তা করি এই কংক্রিটের জঙ্গলের কোন এক হসপিটালে আমার মৃত্যু হচ্ছে। মরতে ভয় নেই তেমন একটা কিন্তু এই কনক্রিটের জঙ্গলের দমবন্ধ করা জাহান্নামে কোন মতেই মরতে চাই না। কোন জঙ্গলে কিংবা পাহাড়ে এক তাঁবুতে অল্প আলোয় যদি আমার জীবনের শেষ মুহূর্ত গুলো কাটতো। বাইরে ক্যাম্পফায়ারের শব্দ। কি ম্যাজিকাল সেই শব্দ। কি অপরুপ সেই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *