অ্যাম্বিশন

Spread the love

টিপিক্যাল অ্যাম্বিশন কোনদিন ই ছিল না আমার রক্তে। বড় চাকুরি পাওয়া কিংবা বড় কোন ব্যাবসায়ি হয়ার স্বপ্ন দেখতাম না। ইচ্ছাও করত না। হাড়ে হাড্ডিতে মধ্যবিত্ত আমি। ভবঘুরে হয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা করত। কিন্তু পরিবারের পিছুটান। পারি নাই। ইচ্ছা করত ঢাকা বরিশাল লঞ্চে বাদাম বিক্রি করি। কিংবা শান্ত একটা বিচে ছোট্ট একটা জুসবার। সারা দিন বিক্রি শেষে রাতে দোকান বন্ধ করে বিচে শুয়ে আকাশ গঙ্গা দেখব। যতক্ষন না চোখ ভর্তি ঘুম আসে। পিছুটান ভাল্লাগেনা আমার। চাইনা কেউ আমার জন্য অপেক্ষা করুক! নাকি চাই? কে জানে। সোজা চিন্তা করতে পারিনা। সব ঘোলাটে। শুধু এটা জানি এই শহর ছাড়তে হবে। যেভাবেই হোক। জ্যোৎস্না আর ঝিঝিপোকার আলো চাই, শপিং মলের ঝিকিমিকি আলো না। রাতের রাস্তার নিয়ন লাইটও না। মাটি দরকার কিংবা সৈকতের বালু, শক্ত পাষান টাইলস না। সময় কমে আসতেছে। কবে যাব জানি না। গেলে আর আসবনা। ট্যুরে যেতে ভাল লাগে না। কারন ফিরে আসতে হয়। ফিরে আসতে চাই না। অন্তত এই শহরে না। তীব্র বৃতৃষ্ণা নিয়ে শহরের অমৃত গেলার চেয়ে জঙ্গলের বিষ আমার কাছে অধিক পছন্দ। মনে যা আসে লিখে ফেলি। খুব বাজে আর অপ্রয়োজনীয় কথা। ভয় লাগে, কখন যেন সব স্মৃতি চলে যায়। আবার ভালও লাগে। ভালই হবে। একটা ফ্রেস স্টার্ট দিতে পারবো। কিন্তু যায় না স্মৃতি গুলা। চলে আসে কোথা থেকে যেন। কোথায় যেন কি ফেলে আসছি। খালি মনে হয় গিয়ে ফেরত নিয়ে আসা দরকার। পারিনা। কষ্ট হয় অনেক। কিছু মনে থাকে না এখন আর। বিয়ে করাটা কি খুব এ দরকার? নিজেরে খোজা করে ফেলে দিলেই তো হয়। শরীরের চাহিদাটা থাকবেনা। খোজা হয়ে গেলে প্রেম ভালবাসার অনুভুতি থাকে ? জানি না। শুধু জানি হাতে টাইম বেশি নাই। ভাগতে হবে। অনেক দূরে। অনে বেশি দূরে।


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *