অন্ধকার

Spread the love

আমি রাতের কাছে অন্ধকার চেয়েছিলাম
ঠিক তখনি রাত শেষ হয়ে উকি দিয়েছিলো ভোরের আলো
আলো বাড়তে থাকলো ক্রমাগত
একটা সময় অতিবেগুনী রশ্মি কেড়ে নিলো আমার দৃষ্টিশক্তি
তারপর কতশত বছর অন্ধ ছিলাম , হিসেব করা হয়নি
হিসেব করা হয়নি কতগুলো ফাগুন চলে গিয়েছিলো
তার পর কোন এক শীতের রাতে
ফিরে পেয়েছিলাম চোখের আলো
চোখ খুলতেই দেখলাম নর্দান লাইটস
মুগ্ধ চোখে তাকিয়েছিলাম
ভুলে গিয়েছিলাম শত বছরের অন্ধ থাকার কষ্ট।

আমি কালবৈশাখীর কাছে চেয়েছিলাম ঝড়ের বাতাস
ঠিক তখনিই ঝড় থেমে গিয়ে শুরু হলো মুষলধারে বৃষ্টি
পুরো শহর ডুবে গিয়েছিলো সেই বৃষ্টিতে
নিচে থেকে উঠে এসেছিলো নর্দমার ময়লা
সারাটা দিন বৃষ্টিতে ভিজে অনেক জ্বর হয়েছিলো
ঠিক কত দিন জ্বরের ঘোরে ছিলাম জানা নেই
আমি টলছিলাম, যেন আমার সাথেই টলছিলো পুরো পৃথিবী
বর্ষা শেষ হয়ে কবে যে শীত পেরিয়ে বসন্ত এসেছিলো জানিনা
বসন্তের বাতাসে আমার জ্বর সেরে গিয়েছিলো
আর কোকিলের ডাকে ভুলে গিয়েছিলাম জ্বরের কষ্ট ।

তারপর আমি পাহাড়ে গিয়েছিলাম
ঝর্নার কাছে ঝিড়ি ঝিড়ি শব্দ চেয়ে ছিলাম
তারপর আস্তে আস্তে ঝর্নার পানি শুকিয়ে গিয়েছিলো
আমি একা বসে ছিলাম নাম না জানা
এক শুকিয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদীর পাশে
নিজেকে পাথর মনে হচ্ছিলো
হয়তো আমি পাথর হয়ে গিয়েছিলাম
তারপর একদিন পাহাড়ি ঢল নেমেছিল
পাহাড়ি ঢল আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিলো
পাথর হয়ে বেচে থাকার কষ্ট।

তারপর তুমি এসেছিলে জীবনে
চেয়েছিলাম খানিকটা ভালোবাসা
কিন্তু তখনি এক সাগর দুঃখ দিয়ে
তুমি চলে গেলে
সাগরের সব নোনা জল এখন আমার চোখে …


Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *