চিলেকোঠায় ছোট্ট একটা বাসা। কিনবা কোন চিপা গলিতে একটা পুরাতন ফ্ল্যাট। কিন্তু পচা গলির ভিতরেও বারান্দায় ঠিকই টুকরা টুকরা রোদের ছিটা আসে। বিকালে গলি দখল করে ক্রিকেট খেলে কত গুলা পোলাপান। ছোট্ট একটা চাকরি। নুন আনতে পান্তা ফুরায় টাইপ জীবন। তারপরেও মাসের প্রথম বেতনের টাকা দিয়ে একটু ভালো কোন রেস্টুরেন্টে একদিন ডিনার করা। পরের সাত দিন ভর্তা-ডাল খেয়ে সেই টাকা পুরণ করার চেষ্টা। একবারে কপিবুক মধ্যবিত্তের সংসার। কষ্ট আছে, অভাব আছে, অনিশ্চয়তা আছে। বছর শেষে অফিসে খুব ছোট্ট একটা ইনক্রিমেন্ট। দামি ওয়াইন না, সস্তা ভাজা পোড়া আর একটা কোল্ড ড্রিনক্সের বোতল দিয়ে সেলিব্রেশন। পার্কে বসে বাদাম চাবাতে চাবাতে বিকেল দেখা বন্ধের দিন গুলোয়। টাকা জমানো কোন সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়। কিন্তু তার বর্তমান টাও কিন্তু কম সুন্দর না। হয়তো তারো কষ্ট হয় যখন সে বন্ধুর দামি প্রিমিও গাড়ি দেখে। কিন্তু ওপাস থেকে সান্ত্বনা আসে। ব্যাপার না, একদিন আমাদের ও হবে। সেই স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়া। সকালে অফিস আছে যে। অফিস থেকে ফেরার সময় পথে মনটা আকুপাকু করে একটা বেনসন সিগারেটের জন্য। কিন্তু মনে পড়ে যায়, ওয়াদা করেছে যে তার কাছে, কখোনো ছোবেনা আর সেটা। আর কেনা হয়না সিগারেটটা, ভাবে ভালোই হোল টাকাটা বেচে যাবে। হটাত করেই বাড়িওয়ালার নোটিশ, ভাড়া বেড়েছে যে!! কপালে আরেকটা চিন্তার রেখা। আরেকটু টানাটানির মধ্যে পড়ে যাওয়া। কিন্তু অপর পাশ ঠিকই প্রেরনা আসে। সবই সম্ভব। শুধু ধৈয্য ধরতে হবে। চিন্তার রেখাটা চলে যায়, যখন সে শক্ত করে হাতটা ধরে। কন্টিনিউয়াস স্ট্রাগল, কিন্তু কোথায় যেন একটা অদ্ভুত প্রশান্তি।
এই রকম লাইফের স্বপ্ন কি কেউ দেখে? নাকি ছোট বেলা তেই সমারেশ মজুমদার আর শীর্ষেন্দু পড়ার সাইড ইফেক্ট? সবাইকেই কি এলন মাস্ক কিংবা বিল গেটস হবার স্বপ্ন দেখতে হয়? নইলে মাল্টিন্যাশনালে জব!!!
Being not ambitious is a serious crime.