সাকিব মুশফিকদের জন্য ছয় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। কিছু কিছু মানুষের চুলকানিও শুরু হয়ে গেছে। টাকাটা কি বন্যার্তদের জন্য দেয়া যেতনা? কিংবা জনগণের কল্যাণে টাকাটা কাজে লাগান যেত? চিন্তা করে বলেন তো ভাই টাকাটা কই থেকে আসতেছে ? বাংলাদেশ ভালো খেলে বলেই আমরা আইসিসি আর স্পন্সরদের কাছে বলতে গেলে ভালোই টাকা পাই। কিন্তু প্লেয়াররা বাকি দেশের প্লেয়ারদের তুলনায় বেশ কম টাকা পায়। কিন্তু এটা নিয়ে তাদের কোন ধরনের অভিযোগ নাই। তারা মাঠে মনঃপ্রাণ দিয়া খেলে। আচ্ছা এবার আসেন বলই কেন আমরা তাদের উৎসাহিত করব পুরস্কার দিয়া। আমাদের দেশের মানুষের নিজেদের বিনোদনের খুব অভাব। আমরা খুব অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকি। একদিন নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজ চলছিল। বেশ উত্তেজনাকর ম্যাচ। আমি তখন লোকাল বাসে দাড়িয়ে।ও তীব্র গরম-জ্যাম-ভির। বাট্টু হউয়ায় বাসে দাঁড়ানো অন্য মানুষ গুলোর বগলের গন্ধ আসছিলো আমার নাকে। জীবনের প্রতি তীব্র বৃতৃষ্ণা আর হতাশা থেকে অনেকক্ষণ ধরেই চিন্তা করছিলাম বাসের চাক্কার নিচে মাথা দেয়ার কথা। হটাত করেই পাশে থেকে একজন লাউডস্পিকারে এফ এম অন করলো বাংলাদেশ জিত্তেসে হারা ম্যাচ। মুহূর্তেই সব হতাশা ঊরে গেলো। আসে পাসে তাকায় বুঝলাম অনেকেরই অবস্থা আমার মত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরা বাসটা যেন একটা ছোট পরিবারে পরিণত হোল। যখন বাংলাদেশের খেলা চলে তখন সব জায়গায় একই চিত্র দেখবেন। হাজারটা কষ্ট, হতাশা বুকে নিয়ে মানুষ গুলা মজে আছে খেলাতে। আপনি হয়ত বলবেন এটা তাদের সমস্যার সমাধান করবেনা। আমিও জানি করবেনা। কিন্তু কিছুক্ষের জন্য হলেও ভুলিয়েদেবে যন্ত্রণাগুলা। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। আমাদের পক্ষে সম্ভব না বারে গিয়ে দুই পেগ মদ গিলে সব ভুলে থাকা। একবার চিন্তা করে দেখেন যতক্ষণ আপনি খেলায় ডুবে থাকেন আপনি আপনার সমস্য-হতাশা গুলার থেকে কত দুরে থাকেন!!! তাই ক্ষতি কি এই ছেলে গুলারে কিছু দিয়ে উৎসাহিত করতে।