চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনে অর্ধেক গোসল সেরেই ভেজা লুঙ্গি পড়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলেন মতিন সাহেব। চোর ধরা পরেছে তার বাড়িতে। সিকিউরিটি গার্ডের ক্রমাগত লাঠির বাড়ি পরছে চোরের পিঠে আর পায়ে। মতিন সাহেবের নতুন কিনা প্রিমিয়ো গাড়ীর লুকিং গ্লাস চুরি করার চেষ্টা করছিল। নিচে নেমে মুহূর্তেই তিনি রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন। লুকিং গ্লাস খুলতে গিয়ে একটা দাগ ও ফেলে দিয়েছে হারামজাদা তার নতুন গাড়িতে। রাগকে আর নিয়ন্ত্রন করতে পারলেন না। লাথি দিয়ে ফেলে দিলেন অভুক্ত শরীরটাকে। মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এলো কিন্তু লাথি মারা থামালেন না। পিছন থেকে সিকিউরিটি গার্ডের মন্তব্য “মারেন স্যার, মারেন। হালায় ইচ্ছা কইরা রক্ত বাইর করছে মুখ দিয়া।”
দুদিন পর। মতিন সাহেব কাস্টমসে জব করেন। বিশাল এক সোনার চালান আটক করেছেন তিনি আর তার টিম। চামে চিকনে বেশ কিছু সোনার বার মেরেও দিয়েছেন। একজনকে পাঠিয়েও দিয়েছেন বার গুলো বেচে টাকা আনতে। পরিচিত পার্টি আছে। ভাল দাম দেয়। এইবার বউকে একটা নেকলেস সেট গিফট করবেন। ইতিমধ্যেই বিক্রির টাকা চলে এসেছে। টাকাটা নেবার সময় হটাত করেই তার দুই দিন আগে চোর পিটানোর ঘটনাটি মনে পড়লো। আচ্ছা পেটের দায়ে চুরি করতে আসা চোরটির যদি এত শাস্তি হয় তাহলে তার নিজের কতো বড় শাস্তি হউয়া উচিত! জীবনে প্রথমবার টাকাটা নেবার সময় তার হাত কেঁপে উঠলো। যদিও কেউ সেটা লক্ষ্য করলো না………