বৃষ্টি পড়ছিলো অসময়ে মুষলধারে
ক্যাটস অ্যান্ড ডগস বলো যাকে তোমরা
আগে এক দৌড়ে চলে যেতাম ছাদে কিংবা রাস্তায়
ভিজতে ভিজতে জ্বর এসে পরতো কোন কোন দিন
এখন আর ভিজি না, ইচ্ছে করেনা।
ইচ্ছে করেনা বোগেনভিলিয়ার রঙিন পাতা ছিড়তে
ইচ্ছে করেনা সূর্যাস্তের আগে মাঠে খরগোশের মতন দৌড়াতে
ইচ্ছে করেনা বন্ধুর কাধে হাত রেখে বেঞ্চিতে বসে থাকতে
আর ইচ্ছে করেনা বেলা বোসের সাথে লালনীল সংসার পাততে
ইচ্ছে করেনা নীলাঞ্জনার জন্য দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে
ইচ্ছেই করেনা হারানো শৈশবে ফিরে যেতে
ইচ্ছে করেনা বৈশাখী মেলা থেকে বাতাসা কিনতে
ইচ্ছে করেনা নৌকায় শুয়ে রাতের বেলা জ্যোৎস্না দেখতে
ইচ্ছে করেনা চুরি করে লুডো খেলায় জিততে
ইচ্ছে করেনা কিচ্ছু ইচ্ছে করেনা
বেশির ভাগ ইচ্ছেরা মরে গেছে অকালেই
কিছু ইচ্ছেরা ঋনখেলাপী হয়ে পালিয়ে বেড়ায়
কিছু ইচ্ছেরা অ্যাসাইলামে আটকা
কসাই এর মতন ডাক্তার গুলা ওদের
তিন বেলা ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে
কতক ইচ্ছেরা তো দেশ ভাগের আগেই পালিয়েছে
আর কতক মারা পরেছে বর্ডার ক্রসের সময়
মানা করলাম কতো, শুনলোনা আমার কথা
বাকি যে ইচ্ছেগুলো ছিলো
যেন জয়নাল আবেদীনের দুর্ভিক্ষের ছবি থেকে উঠে আসা
কংকালসার, মৃতপ্রায়, অপেক্ষা করে শকুনের খাদ্যে পরিনত হবার