আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা সকালের, যে সকালে আলো ঝলমল করবে
গরম ধোঁয়া উঠা লাল চায়ে একটা আলতো চুমুক
জীবনে পাওয়া – না পাওয়ার হিসেবের খাতাটা ছুড়ে ফেলে
আমি হাঁটবো রাস্তায় , আমার সঙ্গী হবে এক রাশ আনন্দ
আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা দুপুরের , সানকি ভরতি গরম ফেনা ভাত
সাথে বেগুন ভর্তা, ডাল আর কাচকি মাছে চচ্চড়ি
আমি আঙুল চেটে পুটে খাবো যেন অমৃত খাচ্ছি
দুঃখগুলো দূরে বসে আমাকে দেখবে
যেমনটা রাস্তার অভুক্ত কোন শিশু কাউকে খেতে দেখে
আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা বিকালের, যে বিকালে আমি কোন মাঠে
অনেকে মিলে খেলবো বরফ পানি
বিকালের সোনারোদ আমার না পাওয়ার কষ্ট গুলোকে
গলিয়ে পানি করে দিবে
সেই পানি মিশে যাবে সবুজ দুর্বাঘাসে
আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা সন্ধ্যার, যে সন্ধ্যায় ছাঁদে হাঁটবো আমি
আমার দু-আঙ্গুলের ফাঁকে থাকবে না কোন সিগারেট
ডুবে যাওয়া লাল সুর্যটা আমাকে আর বিষণ্ণ করবেনা
মরে যাওয়া স্বপ্নেরা সুর্যের সাথেই ডুবে যাবে
দুচোখে যায়গা করে নেবে নতুন কোন স্বপ্ন
আমি অপেক্ষায় ছিলাম
একটা রাতের, যে রাতে কোন ঘুমের বড়ি ছাড়াই
আমার চোখে ভর করবে রাজ্যের যত ঘুম
স্বপ্নে আসবে আলাদীন নয়তো আলিবাবা
আমি হয়তো কোন শিশুর মতন ঘুমাবো
দখিনের জানলাটা খোলা থাকবে, হুহু করে আসবে বাতাস
আমি অপেক্ষায় ছিলাম তোমার
পুড়তে থাকা কোন বাড়িতে যেমন কেউ
কোন দমকল কর্মীর অপেক্ষায় থাকে
ঠিক তেমন, ধোঁয়ায় বন্ধ হয়ে আসা বুক
তুমি আসলে না ।